বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ফাইনালি ভালোবাসা বিষয়টা ঠিক কীরকম?
ছবিটা তিনটে আলাদা গল্প নিয়ে। অসুখের নামে সেগুলির নাম—ইনসোমনিয়া,আর্থ্রাইটিস ও এইচআইভি। গল্পগুলি আলাদা হলেও কোথাও একটা যোগসূত্র থাকছে। অসুখে আক্রান্ত এক একটি চরিত্র নিয়েই ছবির গল্প এগিয়েছে।
ছবিতে আপনার চরিত্রটা কী?
ইনসোমনিয়া গল্পে আমার চরিত্রের নাম বিবেক। আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে। বিবেক বসের স্ত্রীকে নিয়ে একটি সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে বিবেক নিজেকে কীভাবে উদ্ধার করে সেটাই গল্পের বিষয়। এই গল্পে আছেন রাইমা সেন।
একটা সময়ে ছবিতে ভালো সুযোগের জন্য আপনি দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছেন। না পেয়ে টেলিভিশনে ফিরেছেন। এখন ছবিতে যে ধরনের সুযোগ পাচ্ছেন তাতে কী মনে হচ্ছে- খরাটা কেটেছে?
আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো হয়েছে। আগে যে ধরনের কাজ পেয়েছি আর এখন যা পাচ্ছি, তার মধ্যে কোনও তুলনা চলে না। তবে আমি সবসময় আমার ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করি। আগের ছবিগুলো নানা কারণে সফল হয়নি। সেদিক থেকে বলব, গত বছর ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ করার পর থেকে সময়টা যেরকম ভালো যাচ্ছে-আশা করব সেইরকম আগামী দিনেও চলবে।
ভালো সময়টার জন্য একটু বেশি অপেক্ষা করতে হল ?
হ্যাঁ। কারণ গানের ওপারে করার পরও ছোটপর্দা-বড়পর্দা কোথাওই সেভাবে ভালো কাজের সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আর এটা থেকেই প্রমাণ হয়েছে যে-নামী বাবা-মায়ের সন্তান হলেই সবকিছু সহজলভ্য হয় না। আমাকে আর দাদাকে (গৌরব) ইন্ডাস্ট্রিতে আজও নিজেদের মতো করে স্ট্রাগল করতে হচ্ছে। টিকে থাকার জন্য এমন অনেক কাজই করেছি যেগুলো হয়তো মন থেকে করতে চাইনি। অভিনয়টা ভালোবাসি। সব টিমের সঙ্গে তো দারুণ কেমিস্ট্রি হয় না। প্রয়োজনের তাগিদে করেছি। এখন যে কাজগুলো করছি সেগুলো অবশ্য বেশ ভালো লাগছে।
ব্যোমকেশ গোত্র ছবিতে আপনার অভিনীত সত্যকাম দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। কী বলবেন?
প্রশংসা পেতে ভালোই লাগে। বিশেষত যারা একসময় সমালোচনা করেছেন, তাঁরাও যখন সত্যকাম চরিত্রে আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন তখন ভালো লেগেছে। আমার মনে হয় সমালোচনা ও প্রশংসা দুটো একইভাবে গ্রহণ করা উচিত। তবে কোনওটাই বেশিদিন মাথায় রাখা ঠিক নয়।
বর্তমানে ছবি নির্বাচনে কী কী বিষয় মাথায় রাখছেন?
পরিচালকের নাম নয়, ছবিতে আমার চরিত্রটার গুরুত্ব বুঝে তবে কাজ করছি। চরিত্রটা গুরুত্বহীন হলে সেই ছবির অংশ আমি হতে চাই না।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়,কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এখনও কাজ করা হয়নি। কী মনে হয়, কবে হবে?
সময় আছে। আমি এখনও তিরিশ হইনি। ইতিমধ্যে বিরসা দাশগুপ্ত, অরিন্দম শীল, অঞ্জন দত্তর সঙ্গে কাজ করেছি, সেটা বড় পাওনা। সন্দীপ রায়ের সঙ্গে কাজ করা হয়নি। অবশ্য ছোটবেলায় সন্দীপ রায়ের একটা টেলিফিল্মে কাজ করেছিলাম। আমাকে যোগ্য মনে করলে নিশ্চয় ডাকবেন ওঁরা। আশায় আছি।
মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করতে চান?
আপনি যদি বলেন দেবদা বা জিৎদা যে ধরনের ছবি করেন-নাচ গান অ্যাকশনে ভরপুর-আমি তেমন ছবিও করতে চাই। তবে বর্তমানে বাণিজ্যিক ছবি, তার নায়ক-দুটোরই সংজ্ঞা বদলেছে। দর্শকের কাছে এখন হিরো মানে লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্র নয়, রক্তমাংসের মানুষ।
অভিনয় জগতে আসার পিছনে বাবা মায়ের ভূমিকা কতটা ছিল?
বাবা-মা কখনই আমাদের কোনও ব্যাপারে জোর দেননি। আমি স্বেচ্ছায় অভিনয় জগতে এসেছি। থার্ড ইয়ারে পড়ার সময় বুম্বামামু (প্রসেনজিৎ) গানের ওপারের প্রস্তাব দেন। তখনও সিদ্ধান্ত নিজে নিয়েছিলাম। আজও তাই। তবে হ্যাঁ, অভিনয় হোক বা ব্যক্তিগত জীবন বাবা-মা-ই আমার আইডল।
নতুন কী কী কাজ চলছে?
‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’ মুক্তি পাবে। এরপর ‘অপারেশন রাইটার্স’।
টেলিভিশনে ফেরার ইচ্ছা আছে?
এখনই নয়, ছবির কারণে সময় দিতে পারব না।
মেয়ে কত বড় হল?
এই মাসের ১৫ তারিখ এক বছর হবে।
আপনি ও আপনার স্ত্রী দুজনেই নিজেদের পেশায় ব্যস্ত। মেয়েকে সময় দেন কখন?
আমার স্ত্রী সৃজাই সব দায়িত্ব পালন করে। আমরা কম বয়সে বাবা-মা হয়েছি। সৃজা এতো অল্পবয়সে চাকরি, সংসার, মেয়ের দায়িত্ব সবটা যেভাবে সুন্দর করে সামলাচ্ছে সেটা সত্যি তারিফযোগ্য। আমি সবসময় বলি, সৃজার মতো মেয়ে যে আমাকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছে এবং এতো বছর ধরে প্রতিনিয়ত আমাকে সহ্য করে চলেছে সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা। তবে আমি অতটাও ব্যস্ত নই যে মেয়েকে একটুও সময় দিতে পারব না। যখন বাড়িতে থাকি, মেয়ের সঙ্গে খেলাধুলোও করি।
সেলিব্রিটি হওয়া সত্ত্বেও আপনি সেভাবে লাইমলাইটে থাকেন না কেন?
(হাসি)আসলে মানুষের ধারণা, সেলিব্রিটি মানেই ক্লাব, পার্টি, দামি গাড়ি, রাতে কালো চশমা, সবসময় লাইমলাইটে থাকা, হাজারো গসিপ—আমি এগুলোয় বিশ্বাসী নই। অভিনয় ভালোবেসে করি। নিজের পরিবার আর হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধু— এই আমার গণ্ডি। সিনেমা দেখতে বা ডিনারে গেলেও সৃজাকে নিয়েই যাই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও আমি খুব একটা সক্রিয় নই। হাজার আলোয় চোখ ঝলসানো জীবন আমার ভালো লাগে না। আর আমার ব্যক্তিগত জীবনটা আমি ব্যক্তিগতই রাখতে চাই।
মহিলা অনুরাগীদের নিয়ে স্ত্রী কী বলেন?
পুরুষ অভিনেতাদের মহিলা অনুরাগী বেশি থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। তাঁরা যখন আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন, সেটা উপভোগ করি। কাজের উন্নতির জন্য অনুরাগী দরকার। তবে এর বেশি নয়। আমি আর সৃজা আমাদের পেশাগত জীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবনটাকে খুব সচেতন ভাবেই আলাদা করে রেখেছি।