বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
অনেকদিন পর আপনার সঙ্গে দেখা। কেমন আছেন?
ভালোই আছি। এবছর অনেক কাজ করছি। তবে সবই হিন্দিতে। বাংলায় ‘হ্যালো থ্রি’ ওয়েব সিরিজও করছি। কথা চূড়ান্ত হয়েছে। ওরা আমার ‘ডেট’ চেয়েছেন। নেটফ্লিক্সের জন্য একটা হিন্দি ওয়েব সিরিজ করছি। বিনয় পাঠকের সঙ্গে ‘আলিয়া গায়েব হো গয়ি’ ছবির শ্যুটিং আগামী ১৫ তারিখ থেকে শুরু। মহেশ মঞ্জরেকরের সঙ্গে একটা ছবি করলাম। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘পরছাই’ করলাম। রাস্কিন বন্ডের লেখা ভূতের গল্প। জি ফাইভে দেখানো হবে।
বাংলা ছবিতে তো আপনাকে নিয়মিত দেখাই যায় না। মাঝে মাঝেই কোথায় উধাও হয়ে যান?
আমাকে অনেকেই এই প্রশ্নটা করছেন। গত বছর কিন্তু আমি হিন্দি ছবিতেই ব্যস্ত ছিলাম। আশা করি ছবিগুলো এই বছর রিলিজ করবে। চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘তারিখ’ রিলিজ করবে। এগুলো হলে, আমাকে আর এমন প্রশ্ন শুনতে হবে না। সৃজিতের সঙ্গে একটা ছবি করার কথা চলছে।
রাইমা সেনের তাহলে ফাইনালি ভালোবাসা হল?
না, হল না। (হাসি)। ছবিতে ভালোবাসা হল, কিন্তু বাস্তব জীবনে হল না। ছবিতে আমার চরিত্রের নাম মালবিকা। ইনসোমনিয়া আছে। প্রচুর স্লিপিং পিল নিতে হয়। বৈবাহিক জীবন সুখের নয়। মালবিকা আসলে স্বাধীনতা আর প্রেমের সন্ধানে আছে।
অর্জুন চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
অর্জুন খুব কম কথা বলে। রিজার্ভড। নিজের মতো থাকে। তবে অভিনয়টা অসম্ভব ভালো করে।
ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী প্রত্যেকের সঙ্গে কাজ করেছেন। এদের একটা করে গুণ বলতে বললে কী বলবেন?
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পারফেকশনিষ্ট। অনিরুদ্ধ ভীষণ ভিস্যুয়ালাইজ করতে ভালোবাসেন। অপর্ণা সেন আমাকে মেয়ের মতো ভালোবাসেন। ‘জাপানিজ ওয়াইফ’ ছবিতে আমাকে বকেছেন। পরে ‘সরি’ বলে কোলেও টেনেছেন। এটা সমানে চলত। সৃজিত ভীষণ রিলাক্সড।
এদের মধ্যে কার সঙ্গে কাজ করা সবচেয়ে কঠিন?
নিঃসন্দেহে ঋতুপর্ণ ঘোষ। অতো বকা আর কখনও খাইনি।
ঋতুপর্ণর পরিচালনায় ৬টি ছবি করেছেন। একটাতে সহশিল্পী ছিলেন। তারপরও কী মনে হয় বাংলা ছবি আপনাকে ঠিকমতো ব্যবহার করছে না।
না, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় করেছেন। তবে ঋতুদা বেঁচে থাকলে আমার কেরিয়ার অন্য খাতে বইত। দর্শক অন্য রাইমাকে দেখতেন। শুধু পরিচালক নয়, ঋতুদা ছিলেন আমার বন্ধু, পথপ্রদর্শক। ওঁকে অসম্ভব মিস করি।
সামনেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। মনখারাপ হচ্ছে এখনও মনের মানুষ খুঁজে না পাওয়ার জন্য?
শুনুন আমি ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে বিশ্বাসী নই। শুধু প্রেম দিবস নয়, এরকম কোনও দিনেই বিশ্বাস করি না। আমার কাছে দিন মানে রবিবার, সোমবার...। তবে সব ভ্যালেন্টাইনদের বলছি, ফাইনালি ভালোবাসা দেখুন। (হাসি)
বিক্রম পুরীর সঙ্গে আপনার স্টেডি রিলেশন নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে চর্চা তুঙ্গে। ব্রেক আপ কেন হল?
দেখুন আমি ডেস্টিনিতে বিশ্বাস করি। বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস করি। ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। আর কী বলব!
আপনি তো পরমব্রতকে ‘ভালোবাসার যত্ন’ নিতে শেখান। তাহলে নিজের জীবনে কী এমন হল?
পরমব্রতর সঙ্গে আমার অদ্ভুত একটা কেমিস্ট্রি আছে। মা টিভিতে ওই বিজ্ঞাপনটা দেখে আমাকে বলেছিলেন, পরমের সঙ্গে তোকে স্ক্রিনে বেশ ভালো লাগে। আমি পরমকেও এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে ও বলেছিল, আই আন্ডারস্ট্যান্ড ইউ। আমরা একে অপরকে বুঝি। সুখী কাপল হতে গেলে এই আন্ডারস্ট্যান্ডিং জরুরি।
ব্রেক আপের পর তো সিভিয়ার ডিপ্রেশনে পৌঁছে গিয়েছিলেন?
দেখুন ডিপ্রেশন সবার জীবনেই আসে। আমি তো সুপার ওম্যান নই। আমারও হয়েছে সত্যি। এরমধ্যে একটা স্কুলে গিয়েছিলাম। একটা বাচ্চা মেয়ে জানতে চাইল, রাইমা ডিপ্রেশন কীভাবে সামলান? ব্রেক আপের জন্যই তো শুধু ডিপ্রেশন হয় না। আমার যেটা মনে হয়, ডিপ্রেশনে হতাশ হয়ে না পড়ে যত দ্রুত সম্ভব ওই অবস্থাটা কাটিয়ে উঠতে হবে। গান শুনুন। গান মনখারাপের জন্য অসম্ভব ভালো ওষুধ। আর সবসময় পজিটিভ চিন্তা করতে হবে। জীবন খুব ছোট। এই ছোট্ট জীবনটা ডিপ্রেশনে কাটিয়ে দেওয়ার কোনও মানেই হয় না।
ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার ভালো বন্ধু কে?
পার্ণো মিত্র।
সম্প্রতি অন্য এক নায়িকার বয়ফ্রেন্ড কেড়ে নিয়েছেন বলে গুঞ্জন...
এর কোনও ভিত্তি নেই। ও ফোটোগ্রাফার। আমার একটা-দুটো ফোটোশ্যুট করেছে মাত্র। দ্যট ডাজ নট মেড হিম প্রিন্স চার্লস।
তাহলে রাইমা সেন সিঙ্গল?
অফকোর্স। হ্যাপি টু মিঙ্গল।
শেষ প্রশ্ন। অনেকের অভিযোগ সংসদ সদস্য মুনমুন সেন সেভাবে কাজ করেননি। মেয়ে হিসেবে আপনার চাহিদা কী?
আমার কোনও এক্সপেক্টেশন নেই। পলিটিক্স নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমার মনে হয় মা নিজের কাজে খুশি।