বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর কাছ পাঠানো ওই চিঠি নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে বিস্তারিত জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই খোঁজ নিয়ে তৃণমূল শিবির জানতে পারে যে, ওই সই জাল করা হয়েছে। কারণ, ঠাকুরবাড়ির সব সিসি টিভি ফুটেজে শান্তনু ঠাকুর ঢুকছেন বা বেরচ্ছেন এরকম কোনও ছবি নেই। তারপরই এদিন সন্ধ্যায় গাইঘাটা থানায় সই জাল করার অভিযোগে এফআইআর (কেস নং ১১৯) করেন মমতাবালাদেবী।
সোমবার ঠাকুরনগরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে তৃণমূল কংগ্রেস যাতে সমর্থন করে, সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বড়মা। তিনি ওই চিঠিও দেখান। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘স্নেহধন্যা মমতা, আমি বড়মা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে, আগামী দুই এক দিনের মধ্যে ভারতীয় নাগরিকত্বের সংশোধনী বিল ২০১৯ রাজ্যসভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। আমি তোমাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি উদ্বাস্তুদের নাগরিকতা এবং পুনর্বাসন। ভারতীয় নাগরিকত্বের সংশোধনী বিল লোকসভায় পেশ হয়েছে। এই বিল রাজ্যসভায় পাশ হলে পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুরা/মতুয়ারা নাগরিকত্ব পাবেন। তুমি আমার কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে যে, মতুয়াদের স্বার্থ তুমি দেখবে। ভারতীয় নাগরিকত্ব মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি। এইবার সুযোগ এসেছে মতুয়াদের নাগরিকত্ব পাবার। এ সময়ে তোমার কাছে আমার আবেদন, তোমার দল রাজ্যসভায় ভারতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ সমর্থন করুক। অন্যথায় মতুয়ারা আর তোমাকে সমর্থন করবে না। মতুয়াদের স্বার্থ তুমি রক্ষা করবে বলে আশা করি। ইতি তোমার বড়মা’। নীচে ‘বীণাপাণি ঠাকুর’ নামে সই রয়েছে।
ওই সাংবাদিক সম্মেলনের পরই চিঠিতে বড়মার সই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর বলেন, সই করার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই বড়মা। উনি এখন আর কিছুই লিখতে পারেন না। তার উপর দু’দিন ধরে জ্বরেও ভুগছেন। অথচ, তাঁর নামে সই জাল করা হয়েছে। ভোটের লোভে বিজেপি বড়মাকে নিয়ে এবার নোংরা রাজনীতি করছে। আমি এই জালিয়াতির ব্যাপারে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বিজেপি বুঝে গিয়েছে মতুয়াদের একটা ভোটও তারা পাবে না। সেটা জেনেই এখন বড়মাকে নিয়ে জালিয়াতি শুরু করেছে। এটা ভাবতেও আমাদের লজ্জা লাগে। তিনি বলেন, মেলার মাঠে মতুয়া ধর্ম সম্মেলন করার জন্য বড়মা মমতাবালা ঠাকুরকে যে সম্মতি দিয়েছিলেন, সেখানেও তিনি সই করতে পারেননি। উনি টিপ সই দিয়েছিলেন। কারণ, সই করার মতো শারীরিক ক্ষমতা এখন আর ওনার নেই। তাই আমরা চাই পুলিস এই জালিয়াতির তদন্ত করে অবিলম্বে মূল নায়ককে গ্রেপ্তার করুক।
অপরদিকে, শান্তনুবাবু বলেন, সোমবার বড়মা এই চিঠিতে সই করেছেন। মঙ্গলবার সকালে বড়মার ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ই-মেল মারফত পাঠানো হয়েছে।