উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
মিতালি রাজ: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ। ১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজস্থানের যোধপুরে মিতালির জন্ম। মিতালির পিতা দরাই রাজ ভারতীয় বিমান বাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা ছিলেন। মাত্র দশ বছর বয়সে মিতালি খেলা শুরু করেন। সতেরো বছর বয়েসে ভারতীয় দলের জন্য নির্বাচিত হন মিতালি। এরপর ১৯৯৯ সালে মিলটন কিনসে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ম্যাচে তার অভিষেক ঘটে। প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি ১১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। মিতালি রাজই একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার যিনি ছয় হাজার রান অতিক্রম করেছেন। তিনিই প্রথম মহিলা যিনি মহিলা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দু’হাজার রান অতিক্রম করেন।
এলিজা কার্সন: নাসার কনিষ্ঠতম সদস্য এলিজা কার্সন। নাসাতে তাকে নাম দেওয়া হয়েছে ব্লুবেরি। এলিজাই প্রথম মানুষ যিনি ২০৩৩ সালে মঙ্গলের বুকে পা রাখবেন। মঙ্গলে একবার গেলে ফিরে আসতে পারবেন কিনা জানেন না। তবুও এই আঠারো বছর বয়স থেকেই শুরু হয়ে গেছে মঙ্গলে যাওয়ার প্রস্তুতি। এলিজা ছোট থেকে তার বাবার কাছেই মানুষ হয়েছেন। মাত্র সাত বছর বয়সেই এলিজার বাবা এলিজাকে নিয়ে আলবামার একটি স্পেস ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। তখনই সেই ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা তাঁকে আর পাঁচটা শিশুর থেকে আলাদা করে দেয়। বারো বছর বয়সে এলিজা সবচেয়ে কমবয়েসি হিসেবে নাসার তিনটি ভিন্ন স্পেস ক্যাম্পে অংশ নেন। বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে সেই দিনটির দিকে, যেদিন মঙ্গলের মাটিতে প্রথম কোনও মহিলা পা রাখবেন।
আলিশা আবদুল্লা: ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা রেসিং চ্যাম্পিয়ন আলিশা আবদুল্লা। ছোট থেকেই রেসিংয়ের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। মাত্র নয় বছর বয়েসে প্রথম গো-কার্টিং রেসিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। এগারো বছর বয়সে তাতে প্রথমবার জয়ের মুখ দেখেন। মাত্র তেরো বছর বয়সেই তিনি এম আর এফ ন্যাশনাল গো-কার্টিং রেস চ্যাম্পিয়নশিপে জয়লাভ করেন। পনেরো বছর বয়স থেকে আলিশা বাইক রেসিং শুরু করেন। ২০০৪ সালে আলিশা জে কে টায়ার ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম পাঁচে ছিলেন। আলিশা হয়ে ওঠেন একমাত্র মহিলা বাইকার, যিনি পুরুষদের সঙ্গে রেসিংয়ে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। আলিশার বাবা আর এ আবদুল্লাও রেসার ছিলেন। আলিশা সমাজতত্ত্ব নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। বর্তমানে রেসিংয়ের পাশাপাশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনও করছেন।২০১০ সালে আলিশা একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে বাইক ছেড়ে রেসিং কারের দিকে পা বাড়ান।
ইউরোপা ভৌমিক: সবথেকে কমবয়েসি বাঙালি মহিলা বডি বিল্ডার ইউরোপা ভৌমিক। বডি বিল্ডিংয়ের স্বপ্নও কখনও দেখেননি ইউরোপা। তিনি চেয়েছিলেন ডায়েট করে ওজন কমাতে। তার ফলে এত রোগা হয়ে যান যে বডি ফিটনেস চলে যায়। এরপর শরীর শক্ত করতে তিনি জিমে ভর্তি হন। বডি বিল্ডিং সেই শুরু। ২০১৫ সালে ইউরোপা প্রথম কর্ণাটকে বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। সে বছর হেরে গেলেও পরের বছর ওই একই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেন এবং ভারতবর্ষের সবথেকে কমবয়সী বডি বিল্ডারের খেতাব অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ইউরোপা বডি বিল্ডিংয়ে মিস এশিয়া রানার আপ হন। ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড মেডেল এবং সিনিয়ার ন্যাশনাল বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থান দখল করেন। যখন ইউরোপা বডি বিল্ডিং করার কথা ভেবেছিলেন তখন মা সহ বাড়ির সবাই আপত্তি করেন। কিন্তু এখন সবথেকে বড় সাপোর্টার তাঁর মা। ইউরোপার ইচ্ছে ওলিম্পিয়াডে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন।