উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কবে থেকে অভিনয় করার কথা ভাবলেন?
সেরকমভাবে কোনও দিনই ভাবিনি। হঠাৎ হয়েছে।
কীরকম?
আসলে গ্র্যাজুয়েশনের পর আমি কিছুদিন চাকরি করেছিলাম। তারপর একটা আর্ট ইভেন্ট করি তখনই থিয়েটার করার ইচ্ছে হয়। আমার মাতৃভাষা যেহেতু হিন্দি সেহেতু আমার প্রথম থিয়েটার ছিল মিস্টার অভিমন্যু (পদাতিক)। সেটা করার পর ছ’ মাস আমি সৌরভ চক্রবর্তীকে অ্যাসিস্ট করি। এটা করতে করতেই জাহানারা করার অফার পাই। তারপর নির্বাচিত হই।
প্রথম শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
প্রথম যখন গেলাম দেখলাম ব্যাপারটা খুব মজার। অত লোক রয়েছে, কিন্তু তুমি নিজের মধ্যে একটা চরিত্র। সেই ফিলিংটাই বড় হয়ে উঠল।
যখন অভিনয়টাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবলেন, তখন বাড়িতে কোনও সমস্যা হয়নি?
মা প্রচণ্ড সাপোর্ট করেছিলেন। বাবাকে প্রথমে জানাইনি। যখন প্রমোটা রিলিজ হয় তখন বাবাকে দেখাই এবং বাবা বলেন, ঠিক আছে।
আপনারা ক’ভাই বোন?
আমরা দুই বোন। আমার বোন ক্লাস টুয়েলভ-এ পড়ে।
পড়াশোনা কোথায়?
আমি বহরমপুরের মেয়ে। বহরমপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ক্লাস টুয়েলভ অবধি পড়েছি। এরপর বোটানি নিয়ে স্কটিশচার্চ কলেজে পড়াশোনা করি।
ছোটবেলায় দুষ্টু ছিলেন?
ছোটবেলায় খুব বাধ্য ছিলাম। মা যেখানে বসিয়ে রাখত সেখানেই বসে থাকতাম।
এখন বিয়ে তো করবেন না, কিন্তু প্রেম করছেন কি?
এখন! সময় কোথায়। প্রেম করার মতো কোনও সময় আমার নেই।
আপনার বাড়িতে কে কে আছেন?
বাড়িতে মা আর বোন আছে। আর আমি কর্মসূত্রে কলকাতায় একা থাকি।
রান্না করতে পারেন?
একা থাকি বলে শিখতে হয়েছে। যদিও করতে ভালো লাগে না।
রোজগারের টাকা কীভাবে খরচ করেন?
আমি সেভিংসে বিশ্বাস করি। তাই সেভিংস করি আর কিছুটা ফ্যামিলিকে আর বোনের এডুকেশনের পেছনে খরচ করি।
গাড়ি, বাড়ি করার শখ নেই?
একটা বাড়ি খুব তাড়াতাড়ি করার ইচ্ছে আছে। আর গাড়ি বলতে আমি দু’চাকার গাড়ি পছন্দ করি। ইচ্ছে আছে একটা এন্ডফিল্ড বাইক চালিয়ে লেদার জ্যাকেট পরে ঘুরে বেড়াব।
অভিনেত্রী হওয়ার পেছনে কার অবদান বেশি বলে আপনার মনে হয়?
আমি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় আজকের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।
এখন তো লোকে আপনাকে চিনতে পারছে। কেমন লাগছে? লাইফস্টাইল কি কিছু বদল হল?
আমি এখন যে পর্যায়ে আছি, সে পর্যায়ে সবাই দেখলে ভাবে ‘ও কি জাহানারা, কথা বলে কনফার্ম হব’। আমি লর্ডসের মোড়ে প্রায় রবিবার ধোসা খেতে যাই। একদিন দেখি এক ভদ্রমহিলা বারবার দেখছেন। আমি যখন লাস্ট বাইটাটা দিয়েছি, তখন উনি আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি জাহানারা কি না। আমি হ্যাঁ বলাতে উনি ওঁর শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করান। এটা তো ভালোই লাগে।
পশুপাখি ভালোবাসেন?
হ্যাঁ। কুকুর আমার খুব প্রিয়। আমার বহরমপুরের বাড়িতে একটা স্পিটস আছে। নাম গুগুল। ও সব কিছু জানে।
বর্তমান সমাজে মেয়েদের অবস্থান কেমন বলে আপনার মনে হয়?
এখন যেটা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে। এত বছর ধরে মেয়েরা চুপ করে ছিল। এখন তারা প্রতিবাদ করতে শিখছে।
বর্তমানে সিরিয়ালগুলোতে মেয়েদের বড্ড বেশি করে ভিলেনের চরিত্রে দেখানো হচ্ছে। সত্যিই কি আমাদের সমাজেও মহিলারা এতটাই কুটিল আর জটিল?
কখনওই হতে পারে না। কিন্তু সিরিয়াল তৈরি হয় অডিয়েন্সের জন্য। আসলে এতটা কুটিল-জটিল চরিত্র সিরিয়ালে দেখতে চাইছে বলেই বানানো হচ্ছে।
ভূত আর ভগবানে বিশ্বাস আছে?
আমি কোনওটাতেই বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি একটা পাওয়ার আছে।
সিনেমায় অভিনয় করতে চান? স্বপ্নের চরিত্র কী?
অবশ্যই। হিন্দি, বাংলা যা পাব তাতেই করব। আমার স্বপ্নের চরিত্র ‘হাইওয়ে’-র আলিয়া ভাট।
পরজন্মে বিশ্বাস করেন?
সেরকম না। আমার মনে হয় একবার যে জন্মেছি এটাই অনেক।
অবসর সময়ে কী করেন?
বই পড়ি, সিনেমা দেখি, অথবা ঘুমই।