উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এবার একটু দেরি করেই এল বসন্ত। শীতের ফিরে যাওয়া যেন থমকে ছিল বেশ কিছুদিন। যাই যাই করেও থেকে যাচ্ছিল আকাশে বাতাসে তার শীতলতা ছড়িয়ে। বসন্তও তাই আসব আসব করে আসছিল না। ফাল্গুন শেষ হয়ে আসছে দেখে শীত বিদায় নিল সলাজে। আর শিমূলে পলাশে কৃষ্ণচূড়ায় রং ছড়িয়ে বসন্ত এল রঙিন সাজে। আর সেই রঙের ছোঁয়া লাগল শিল্পী ডিজানাইদের মনেও। আজ অভিনেত্রী রুম্পা এমনই রঙবাহারি চারটি বসন্ত সাজে হাজির চারূপমার পাতায়।
প্রথমটি মেখলা। নীল আর আবির রঙের ব্যবহার বেশ অভিনব। চেক ফ্যাব্রিককে মিলিয়ে মিশিয়ে দিয়েছেন ডিজাইনার জয়িতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর ‘ঘরোয়া’ বুটিকে স্প্রিং সামার কালেকশনে এবার শাড়ির পাশাপাশি মেখলাও সেজেছে নতুন রূপে। জরির পাড়, লেস, নেট এবং এমব্রয়ডারি শাড়ি ও মেখলাকে জমকালো করে তুলেছে।
দ্বিতীয়টি মলমলে ব্লকপ্রিন্ট। এক্ষেত্রেও রঙের ভূমিকা নজর কাড়া। নীল আর সবুজের মিলমিশে শাড়িটি যেন বসন্তের প্রতিমূর্তি। ডিজাইনার ছবি বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এবার গ্রীষ্মের কথা ভেবে মলমলকে নানারকম অ্যারেঞ্জমেন্টে ব্লকপ্রিন্ট, ব্রাশিং, হ্যান্ডপেন্টিং আর বাটিকে সাজানো হয়েছে। রং নির্বাচনেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বসন্ত আর গ্রীষ্মকে।
তৃতীয় শাড়িটি একেবারে অন্যরকম। কালো কলমকারি প্রিন্টেড কটনে হলুদ চেক ফ্যাব্রিকের পাড় বসানো। পাড়টিও সাধারণ নয়, ফ্রিল করে বসানো। ফলে গেটআপটাই অন্যরকম। ডিজাইনার জলি সরকারের নেশা নতুন ধরনের শাড়ি আর গয়না তৈরি। শুধু রঙিন বিডসই নয়, নানারকম কাপড়ের টুকরো দিয়েও গয়না তৈরি করেন জলি। শাড়ির সঙ্গে গয়নাও তাঁরই ক্রিয়েশন থেকে নেওয়া।
চতুর্থ শাড়িটি রেশম চেকে এমব্রয়ডারি করা। এক্ষেত্রেও নতুনত্ব আছে। সুতোর বদলে চেরা উল ব্যবহার করেছেন ডিজাইনার শাশ্বতী। তাঁর ‘সোনাঝুরি বুটিক’ সেজে উঠেছে বসন্ত স্পেশাল শাড়িতে। এবার এক্সক্লুসিভ হ্যান্ডলুমের পাশাপাশি বেশ কিছু অ্যাপ্লিক ও এমব্রয়ডারি করা শাড়িও রয়েছে তাঁর স্প্রিং সামার কালেকশনে।