উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
সবার রঙে রং মেশানোর দিন পার হয়েছে সদ্য। কিন্তু মনের রং? সেতো সারা বসন্ত জুড়ে দোলা দেয় প্রাণে। সেই দোলায় দুলতে দুলতে সাধ জাগে রঙিন হওয়ার। আবরণে, আভরণে, রূপসজ্জায় সেই রঙের ছোঁয়া রাঙিয়ে দিয়ে যায় মনকেও। আজ বাসবদত্তা সেজেছেন এমনই মন রঙিন করা বসন্ত-সাজে।
প্রথম শাড়িটি অফ হোয়াইট বাংলাদেশি তাঁতের। লালের নানান শেডে এমব্রয়ডারি করা স্কার্ট বর্ডার এবং আঁচল শাড়িটিতে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। সাধারণ একটি সেলফ ডুরে বাংলাদেশি তাঁত হয়ে উঠেছে পার্টিওয়্যার। এমব্রয়ডারির সঙ্গে মিরর ওয়ার্কও রয়েছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। শাড়িটি ‘স্বস্তিকা বুটিক’ থেকে নেওয়া। ডিজাইনার মালা চক্রবর্তী জানালেন, এই ধরনের এমব্রয়ডারি শুধু অফ হোয়াইটেই নয় নানান উজ্জ্বল রঙে তৈরি হয়েছে। আর আছে বাংলার তাঁতে কাটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকের আয়োজন। সবই বসন্তের উৎসবের জন্য।
দ্বিতীয় শাড়িটি হাফ অ্যান্ড হাফ স্টাইলে তৈরি। এটিও বাংলাদেশি তাঁত। অর্ধেকটা শাড়িতে আলপনার ঢঙে হ্যান্ডপেন্টিং বর্ডার, বাকি অর্ধেকে ফুলেল নকশায় তুলির টান। শাড়িটি ‘প্রমিতি’জ কালেকশন’ থেকে নেওয়া। ডিজাইনার ছবি বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, বসন্তে ফ্লোরাল হ্যান্ডপেন্টিংয়ের খুব চাহিদা থাকে। এবার স্পেশাল ডিজাইনে রয়েছে পলাশ, শিমূলের মোটিফ।
তৃতীয় শাড়িটির রংটি বেশ অন্যরকম। সবুজের এই শেডটি সাধারণত চোখে পড়ে না। বাংলাদেশি তাঁতে এমন অনেক আনকমন শেড আসে— জানালেন ডিজাইনার জয়শ্রী বসু। তাঁর ‘শিল্পী নিকেতন’ থেকেই শাড়িটি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি তাঁতে গুজরাতি কাজ করা এমন একটি শাড়ি পরে যে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়া যায়। গুজরাতি ছাড়াও কাঁথাকাজ, আড়ি কাজ ও অন্যরকম এমব্রয়ডারিও করা হয়েছে। এছাড়া বাংলার তাঁতেও অ্যাপ্লিক, এমব্রয়ডারি ও হ্যান্ডপেন্টিং করে স্প্রিং-সামার কালেকশনকে সাজিয়েছেন জয়শ্রী।
চতুর্থ শাড়িটি বেশ অভিনব। জরি স্ট্রাইপ বাংলার তাঁতকে তেরছা স্টাইলে কেটে জুড়ে হ্যান্ড পেন্টিং করা হয়েছে। এই ধরনের শাড়ি তৈরিতে বেশ সময় লাগে, জানালেন ডিজাইনার প্রবাল। তাঁর ‘জেনিস বুটিক’-এর সামার স্পেশাল এইরকম কেটে জুড়ে তৈরি শাড়ি। রয়েছে এক্সক্লুসিভ মলমল বাটিক
ও নতুন ধরনের ব্লকপ্রিন্টের তাঁত।
পঞ্চম শাড়িটি ধনেখালি। ডিজাইনার সবিতা ঘোষ জানালেন, এবার তাঁর নববর্ষ স্পেশাল কালেকশনে প্রথম স্থানে রয়েছে এক্সক্লুসিভ ধনেখালি। তাঁত শিল্পীদের দিয়ে রঙের কম্বিনেশন ও ডিজাইনে পরিবর্তন করিয়েছেন সবিতা। পুরনো দিনের অনেক নকশা ফিরিয়ে এনেছেন। ‘শ্রীমতী’ বুটিকে ধনেখালির বৈচিত্র সত্যিই চোখ টানবে আধুনিকাদের। বেশিরভাগ শাড়ির সঙ্গে আছে ম্যাচিং ব্লাউজ পিসও। এছাড়াও তাঁত ব্লকপ্রিন্ট, হ্যান্ডপেন্টিং, অ্যাপ্লিক ও এমব্রয়ডারি করা শাড়িও রয়েছে শ্রীমতীতে।