Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

  করুণা পাথার জননী আমার

জগৎজননী যখন সাংসারিক মায়ের মতো ধরা দেন, তখন পরিতৃপ্ত স্নিগ্ধতায় প্রাণমন জুড়িয়ে দেন। মায়ের সঙ্গে আমার জাগতিক যোগাযোগ ১৯৫৮ সন থেকে। প্রথম দর্শনেই আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি তাঁর কৃপা সমুদ্রে। আমার অন্তরের বিগ্রহ অনুগ্রহরূপে মাতৃমূর্তিতে আমার কাছে ধরা দেন অপূর্ব স্নেহ করুণায়। তাই মাকে অন্তরের সব কিছু জানাতে আমার কখনও দ্বিধাবোধ হয় না।
১৯৭৮ সনের মার্চ মাসে আমার স্বামী সরকারী কার্যোপলক্ষ্যে গৌহাটী(আসাম) গেলেন। কামাখ্যা পাহাড়ে একটি কুমারী পূজো করবো অভিপ্রায়ে আমিও সঙ্গে গেলাম। মাকে একখানি চিঠি দিয়ে গেলাম, “তুমি পূজো গ্রহণ করো, ফিরে এসে নববর্ষে তোমাকে প্রণাম করতে যেন যেতে পারি সে খেয়াল রেখো।” মা তখন কোথায় তাও জানি না। দু’সপ্তাহের পর আসাম থেকে ফিরে এসে দেখি বনখল থেকে মায়ের আবাহন এসেছে— “তুমি আসবে আনন্দের কথা।” তখন আর কোনো কিন্তু নেই। মাতৃকৃপায় টিকিটও অদ্ভুতভাবে মিলে গেল। আমার স্বামী ও আমি হরিদ্বার রওনা হব, শুনলাম তরুদির ভাগবত ১লা বৈশাখ থেকে। আমরা ১৪ই এপ্রিল দিদিমার সন্ন্যাস উৎসবের দিন হরিদ্বার পৌঁছালাম। ১৫ই এপ্রিল ভাগবত শুরু হলো। এর আগে কখনও দেখি নাই বা শুনি নাই যে, একজনের ভাগবতের সঙ্গে অন্যেরা ভাগবত দিতে পারে। এই ভাগবতের সঙ্গে পুষ্পাদি ও কান্তিদি ভাগবত দিচ্ছেন দেখে ভাগবতের ষষ্ঠ দিনে মাকে প্রণাম করতে গিয়ে আমার অন্তরের ইচ্ছা মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল। “মা, ছোটভাবে যে ভাগবত করা যায় তা তো জানতাম না। এসব দেখে আমার শ্বশুরমশায়, শাশুড়ী, বাবা, মা সকলেই মৃত, এঁদের উদ্দেশ্যে ভবিষ্যতে আমার একটা ভাগবত দিতে ইচ্ছা হচ্ছে।” মা কথাটা শোনামাত্র বললেন, “খুব ভালো কথা,তুই এখনই স্বামীজীকে বল্।” মার যেন তর সয় না। আমি স্বামীজীকে বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বললেন, “অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবের পর ১১ই মে থেকে একটি ভাগবত হবে সেই সঙ্গে কর।” আমি বললাম, “এতো তাড়াতাড়ি কি করে হবে? আমরা কাল কলকাতা ফিরে যাচ্ছি, টিকিট করা আছে। আমার স্বামী এখনই আবার ছুটি নিয়ে আসতে পারবেন না। মাত্র ১৫ দিন সময় পাবো।”
স্বামীজী বললেন, “তাহলে আবার কবে হবে জানি না।” শঙ্কিতমনে মায়ের কাছে গেলাম ও স্বামীজীর কথা বললাম। মা বললেন, “ভালোই তো— ১১ই তারিখ থেকে ভাগবত শুরু হবে।” এ কথা শুনে আমি আবার স্বামীজীর কাছে ফিরে এসে বললাম, “একলা আসতে হবে। ১৫ দিন মাত্র সময়, টিকিট পাওয়াও যাবে না মনে হচ্ছে।” স্বামীজী মাথা চাপড়ে বললেন, “তুই একলা আসলেই হবে। মা যখন বলেছেন সব ঠিক হয়ে যাবে, তুই শুধু চেষ্টা কর। ১দিন আগে পৌঁছলেই হবে।” আবার মার কাছে ছুটলাম। মার কাছে ঢোকার কতো তো বাধা। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি কোনো বাধার সম্মুখীন হ’লাম না। মাকে সব বলাতে মা তো খুব খুশী। বললাম, “তোমার বাবা, ছেলে কেউই আসতে পারবে না, আমাকে একলা আসতে হবে। টিকিটও পাওয়া যাবে কিনা জানি না।” মা শোনেন, হাসেন, মাথায় হাত দেন, তবুও মানা করেন না। এতো কম সময় পাবো, আমি মনে মনে ভাবি, মা যদি বলেন এখন না করে পরে করতে, তবে বাঁচি। টাকার কথা স্বামীজীর সাথে যা হয়েছে, মাকে সব বললাম মা মনোযোগ দিয়ে সব শুনে বললেন, “আচ্ছা।”
আবার স্বামীজীর কাছে ফিরে গেলাম, বললাম “স্বামীজী আমি যাঁদের সাথে ভাগবত করবো, তাঁরা কোথাকার এবং কে ভাগবত ব্যাখ্যা করবেন?” তখন আমি বললাম, “আমার শ্বশুর, শাশুড়ী, বাবা, মা কেউই হিন্দী বোঝেন না। স্বামীও সঙ্গে আসতে পারছেন না।” স্বামীজী বললেন, “তাতে কি হবে? স্বামীর মত নিয়ে তুই আসলেই হবে।” আবার মার কাছে চললাম। কোনো বাধা পেলাম না। চট্ করে মায়ের ঘরে ঢুকে পড়ে বললাম, “মা হিন্দীতে ভাগবত ব্যাখ্যা হবে। ওঁরা কেউই তো হিন্দী জানেন না।” মা বললেন, “আত্মার কাছে ভাষার সমস্যা নাই।” মা যখন কেবল উৎসাহই দিয়ে গেলেন তখন আমি বললাম, “আমার শরীরটাও খুবই খারাপ। টিকিট পাবার সম্ভাবনাও খুব কম। এতো অল্প সময়— আর যদি আসি, অক্ষয় তৃতীয়াতে শ্রী শ্রী শঙ্করাচার্য্যের মূর্তি প্রতিষ্ঠা দেখবো না কেন? তুমি সব খেয়াল রেখো তবে হবে।” মা হাস্যোজ্জ্বল মুখে আমার মাথায় ও পিঠে হাত বুলিয়ে দিলেন। মায়ের আশীর্বাদে মনে খুব বল ভরসা পেলাম। এ বিষয়ে তরুদির ভাগবতাচার্য্য শ্রীনারায়ণ গোস্বামী ও আমাদের আশ্রমের পূজ্যপাদ নারায়ণ স্বামীজী আমায় খুব উৎসাহিত করলেন। ওঁরা বললেন, “মা যখন খেয়াল কললেন, তখন করে ফেলাই ভালো, শুভকাজ ফেলে রাখতে নাই।” ওঁরাও দু’জনে বললেন, “স্বামীর অনুমতি থাকলে কাজ করা যায়। তাতে কোনো প্রত্যবায় হয় না।” আমার স্বামীও তখন উপস্থিত ছিলেন। শ্রীনারায়ণ স্বামীজী বললেন, “তোমার উপর মায়ের অশেষ কৃপা। তুমি ছেলেকে আনতে চেষ্টা করো।” তখন ছেলের ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। স্বরূপানন্দ স্বামীজী বললেন, “অসুস্থ শরীর, ফেরার টিকিটটা করে যাও নারায়ণ গোস্বামীজীর সাথে। উনি মায়ের জন্মোৎসবে আসবেন।” গোস্বামীজী বললেন, “আমি মায়ের আদেশ মতো অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবে উপস্থিত থাকবো। আপনার ভাগবত একদিন শুনতে পারবো। তারপর চলে যাবো। পরে আবার মায়ের জন্মোৎসবে স্বামীজীর নির্দেশানুসারে আসতে হবে। ২৯শে মে ফিরে যাব।” অন্য কোনো সঙ্গী না দেখে ওঁর সঙ্গে ফেরার টিকিট করার জন্য স্বামীজীকে টাকা দিলাম। এদিকে আসা হবে কিনা তারও তখনও নিশ্চয়তা নাই। নিজেও ভালো হিন্দী বুঝি না, ভাগবত হিন্দীতে ব্যাখ্যা হবে বলে মনটা খুঁতখুঁত করছিল। যাই হোক ২৩শে এপ্রিল কলকাতায় ফিরে এলাম। মা কয়েকজন ভক্তকে কিছু দিতে বলেছিলেন বলে ওদের জিনিষ নিয়ে রওনা হয়ে ঐদিন আমার ইচ্ছামতো ভাগবতের কিছু জিনিষ কেনা হয়ে গেল ও অর্ডার দেওয়া হয়ে গেল। ২৩/৪ তাং টিকিট কাটতে দেওয়া হলো। আমার শরীর ভালো ছিল না বলে বৌমা আমাকে একলা ছাড়তে রাজী হলো না। ওর পরীক্ষা ছিল বলে আমি ওকে যেতে মানা করেছিলাম। যাই হোক্ ২দিন পর খবর পেলাম ৭/৫ তাং একটা কূপে পাওয়া গিয়েছে। নিশ্চিন্ত হলাম। সবই মায়ের অদ্ভুত লীলা। এই পনেরো দিনের মধ্যে আমার যে ইচ্ছার উদয় হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে তা পূরণ হয়েছে। লোডশেডিং- এর জন্য স্যাকরা অনেকেই গয়না দিতে পারছিলেন না। অথচ আমার সামান্য যা কিছু সব তৈরী হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত ছেলে বললো যে সেও ৪/৫দিন ভাগবতে যোগ দিতে পারবে।
৭ই মে রওনা হয়ে আমরা ৯ই মে কনখলে পৌঁছলাম। স্বামীজী ও নির্মলদা থাকার সুব্যবস্থা করলেন। রাত্রে মাকে শ্বশুর-শাশুড়ী ও বাবা-মার ফটো দেখালাম। বললাম, কাল থেকে তো ভাগবত। মা কেমন অন্যমনস্ক ও ব্যস্তভাবে বললেন, “কাল থেকে হবে?” এদিকে ভদ্রেশ্বর থেকে গাঙ্গুলী দম্পতি সদলবলে এলেন। তখন শুনলাম ঐ বাঙালী পরিবারের সাথেই আমার ভাগবত হবে। আমি তো শুনে অবাক্। তারপর শুনি বৃন্দাবন থেকে পাঠকও আসেন নাই। এদিকে মা ভাগবত শুরু হবার আগের দিন রাত্রে নারায়ণ গোস্বামীজীকে ডেকে ভাগবত ব্যাখ্যা করার জন্য বললেন। ওনার খুব কাশি, গলা ধরে আছে। পনেরো দিন আগে উনি তরুদির ভাগবত ব্যাখ্যা করেছেন। শরীরও ক্লান্ত। গলাও খারাপ। উনি কিছুতেই রাজী হচ্ছেন না- মাও বারবার তাঁকে পাঠ করার জন্য বলছেন। গোস্বামীজী তখন মাকে বলছেন, “আপনি আমার গলায় হাত বুলিয়ে দিন তবে আমি পারবো।” মা বললেন, বাবা তুমি আগেরবার তো এ কথা বলোনি।” গোস্বামীজী বললেন, “তখন আমি বাড়ী থেকে গৃহদেবতার সুপ্রসন্ন মুখ দেখে বেরিয়েছিলাম, আমার কোনো ভয় ভাবনা ছিল না। এখন সবে একটা শেষ হয়েছে, গলা ধরে রয়েছে। আমি পারবো না মা।” কিন্তু মা তাঁকে ছাড়েন না। শেষ পর্যন্ত উনি রাজী হয়ে গেলেন। আমি ফেরার সময় ট্রেনে ওনার মুখ থেকে এ কাহিনী শুনেছি। তারপর উনি বললেন, “মার কাছে রাজী হয়ে আমি চিন্তিত মনে নিজের ঘরে শুয়ে পড়লাম। আমার ঘরের বারান্দায় ছবিদিদের কীর্তন সারা রাত ধরে হচ্ছিল। হঠাৎ শেষ রাত্রে শুনতে পেলাম কে জানি বলছে এই- ওষুধটা খাও। গলা ভালো হয়ে যাবে। তিনবার একথা শুনে আমি সকচিত হয়ে উঠে দরজা খুলে দেখলাম কোথায়ও কেউ নেই। বারান্দায় কীর্তন হচ্ছে। ওষুধটার নাম লিখে রেখে আমি আবার শুয়ে পড়লাম। তখন শেষ রাত। চোখবুজে শুয়ে আছি, দেখি একটা বাচ্চা ছেলে এসে বলছে, “আমায় সোনার বাঁশী করে দাও।” তখন আমার সর্বদেহ কন্টকিত হয়ে উঠেছে। আমি শয্যাত্যাগ করে উঠে পড়লাম। সকালে উঠে পাটনকে ওষুধটা এনে দিতে বললাম। পাটন ডাক্তারের প্রেসক্রিপসন্ বিনা ওষুধ খেতে মানা করলো। কাজেই আমি বাধ্য হয়ে পাটনকে ঘটনাটা বললাম। পাটন অনেক দোকান খুঁজে ওষুধটা জোগাড় করে এনে দিল। ওষুধটার উপর লেখা ছিল যে সেটা কাশি ও গলাভাঙা সারার ওষুধ। মা পাটনের কাছে ব্যাপারটা জেনে আমাকে ডেকে সব কথা শুনলেন।” ওনার শরীর খারাপ থাকা সত্ত্বেও মাতৃকৃপায় অতি সুন্দরভাবে ভাগবত ব্যাখ্যা করছিলেন। গলাভাঙার জন্য কোনো অসুবিধাই হয়নি। আমাদেরও বাংলায় শোনার বাসনা মা এভাবে পূর্ণ করেছিলেন।
বাসন্তী মৈত্রের ‘মূর্ত্তিময়ী কৃপা মা আনন্দময়ী’ থেকে
13th  April, 2019
 কাব্য

 রবীন্দ্রবাবুর জীবনে এবং কাব্যে এত বিচিত্র ভাবের সমাবেশ আছে যে তাহার নানান মহলায় প্রবেশদ্বারের চাবি সকল সময়ে খুঁজিয়া পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে জন্মগ্রহণ করিয়া বিচিত্রতার স্বাদের জন্য কবির চিত্তে এমন সুগভীর আকাঙ্ক্ষা কি করিয়া জাগিল, তাহা আমার কাছে বিস্ময়কর।
বিশদ

মানুষের রূপান্তর

জগতের ইতিহাসে এমন কতকগুলি আশ্চর্য উদাহরণ দেখা যায় যে ক্ষেত্রে নিছক জৈবিক প্রবৃত্তিসম্পন্ন ‘পশু-মানুষে’র রূপান্তর ঘটেছে স্বচ্ছ ভাগবত জ্ঞান ও দৈবী করুনাসম্পন্ন ‘দেবতা-মানুষে’। সাম্প্রতিক কালের বিখ্যাত নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের কথা মনে পড়ে। পূর্বে তিনি ছিলেন ঘোর যথেচ্ছাচারী।
বিশদ

22nd  April, 2019
 স্বামীজী

মাদ্রাজের এগমোর স্টেশনে ট্রেন পৌঁছালে দেখা গেল হাজার হাজার ব্যক্তি স্বামীজীকে স্বাগত জানাবার জন্য সেখানে সমবেত হয়েছেন। তিনি মাদ্রাজে আসবেন জেনেই নগরবাসীরা তাঁর সংবর্ধনার সমুচিত ব্যবস্থায় নিরত হয়েছিল; মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতির শ্রীযুক্ত সুব্রহ্মণ্য আয়ার প্রভৃতি সম্ভ্রান্ত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ এই কার্যের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং আয়ার মহাশয়ের সভাপতিত্বে একটি অভ্যর্থনা সমিতি গঠিত হয়েছিল। বিশদ

21st  April, 2019
কালী

কালী দর্শনের পর যখন জগতের সব কিছুতেই মাকে দেখতে শুরু করলেন, তখন সাধারণ পূজারী ব্রাহ্মণের পূজা-জপ-তপ, নানা পার্বণের উপরে উঠে শ্রীরামকৃষ্ণের কণ্ঠে কেবল রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত ও অন্যান্য সাধকদের অনুভূতিময় সংগীত বেজে উঠল। আর সেই সংগীতের সঙ্গে সঙ্গেই মাতৃভাবে উদ্বুদ্ধ অবতারের মাতৃচিন্তায় সমাধি হতে শুরু করল।
বিশদ

20th  April, 2019
অমৃতকথা 

‘বাউল’ শব্দটি ‘বাতুল’ শব্দের অপভ্রংশ। ‘বাতুল’ শব্দ ক্রমশঃ রূপান্তরিত হয়ে ‘বাউল’ শব্দে পরিণতি প্রাপ্ত হয়েছে। ‘বাউল’ শব্দের প্রকৃত মর্মার্থ হল—বাহ্যজ্ঞান রহিত উন্মাদ। অর্থাৎ যিনি বাহ্য ইন্দ্রিয়ের চেতনাশূন্য, বিষয়বুদ্ধি রহিত ভগবৎ প্রেমে পাগল।  বিশদ

19th  April, 2019
জনগণের চৈতন্য জাগরণে শ্রীরামকৃষ্ণ—শিহোর-ফুলুই শ্যামবাজার

 কামারপুকুরের গদাধর অবতার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অবতারশক্তির প্রথম প্রকাশ হ’ল যখন শিহোরে খানাকুলের সুপ্রসিদ্ধ শাস্ত্রবিদদের সঙ্গে শাস্ত্র আলোচনায় শ্রীরামকৃষ্ণ জ্ঞানের রাশে পণ্ডিতদের স্তব্ধ করে দিলেন। এবার শুরু হল অবতার শক্তির প্লাবন।
বিশদ

18th  April, 2019
অমৃতকথা 

‘সুনীচেন’ শব্দের ব্যাখ্যায় মহাপ্রভু বলেছিলেন—
‘‘তৃণ হইতে নীচু হইয়া সবে নিক নাম।
আপনি নিরভিমানী, অন্যে দিবে মান।’’  বিশদ

17th  April, 2019
বেদান্ত 

বেদ ও উপনিষদের মর্মবাণীর মধ্যে ভারতের শাশ্বত সনাতন ধর্মের ভাবটি বিদ্যমান। এই উপনিষদ-ভিত্তিক ‘ব্রহ্মতত্ত্ব’ বা ‘আত্মতত্ত্ব’ই হল বেদের সার। এই ‘আত্মতত্ত্বে’র আলোচনামূলক গ্রন্থই ‘বেদান্ত’।
 
বিশদ

16th  April, 2019
 শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমে রামলালার প্রস্তর মূর্তিতে প্রাণসঞ্চার

কামারপুকুরের রঘুবীর জাগ্রত হয়ে উঠেছিলেন ক্ষুদিরামের সেবায় আর সেই রঘুবীরকে দর্শন করেছিলেন ক্ষুদিরাম পুত্র গদাধরের মধ্যে। রামরঘুবীর ও গদাই-এর একত্ব কোনদিন ছিন্ন হয়নি।
বিশদ

15th  April, 2019
শ্রীরামকৃষ্ণের কালীদর্শন

 গতানুগতিক পুরোহিত জীবনে অন্ন উপার্জনের জন্য পূজা পার্বণ, ঝামাপুকুরের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের নিত্যপূজা আর অগ্রজ প্রতিষ্ঠিত টোলের চালকলা বাঁধা বিদ্যা–এ সবই গদাধরের বাল্যকাল থেকে ঈশ্বরসন্ধানী মন প্রত্যাখ্যান করল।
বিশদ

14th  April, 2019
স্বপ্ন 

নানারকমের পূর্বাভাসবহ স্বপ্ন আছে। এমন অনেক পূর্বাভাসবহ স্বপ্ন আছে যা সঙ্গে সঙ্গেই ফলে যায় অর্থাৎ আগের দিনে স্বপ্নে যা জানতে পারা যায় তা ঠিক পরের দিনে ঘটে যাবে এবং এমন অনেক পূর্বাভাসবহ স্বপ্ন আছে যা ফলতে কিছু কমবেশী সময় লেগে যায়। সময়ের অবস্থান অনুসারে এই ধরনের স্বপ্ন বিভিন্ন পরিকল্পনায় দেখতে পাওয়া যায়। 
বিশদ

11th  April, 2019
 অহঙ্কার

 মানুষকে সব সময় অহঙ্কারবর্জিত হয়ে থাকতে হবে। মহামন্যতা (superiority complex) বর্জন করতে হবে। কমপ্লেক্স মাত্রেই রোগ। সে ভীতম্মন্যতাই (fear complex) হোক, পরাজিতসুলভ মনোভাবই (defeatist complex) হোক, হীনম্মন্যতাই (inferiority complex)হোক বা মহাম্মন্যতাই (superiority complex)হোক—সমস্ত কমপ্লেক্সই এক এক ধরনের মনের রোগ।
বিশদ

10th  April, 2019
মা

জীবনের সায়াহ্নে এসে ভাবছি জীবনে কি পেলাম? ‘কি পাইনি তার হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজী।’ আমি যে স্বয়ং ভগবতীর করুণাধারায় ও স্নেহাশীষে স্নাত হয়ে এ জীবনে পুষ্ট হয়ে উঠেছি, তার বেশী মনুষ্য জীবনে আর কি কাম্য থাকতে পারে?
বিশদ

09th  April, 2019
সাধন

সাধনে অন্তরায়—না, সাধনাই অন্তরায়? দুই-ই সত্য। তবে কোটির মধ্যে সম্ভবতঃ একজন সাধকই উপলব্ধি করেন যে, সাধনাই অন্তরায়। অবশিষ্ট একোনকোটি সাধক সাধনে অন্তরায় লইয়াই কোন-না-কোন সময়ে বিব্রত হন। মুনীশ্বর অষ্টাবক্র রাজা জনককে বলেছিলেন, ‘তুমি নিঃসঙ্গ নিষ্ক্রিয় স্বপ্রকাশ নিরঞ্জন—সুতরাং তুমি যে সমাধির অনুষ্ঠান করিতেছ, ইহাই তোমার অন্তরায়।’
বিশদ

08th  April, 2019
 ভাবধারা

  মনে রেখো, ‘সংগ্রামে বৈপরীত্যং’। সংগ্রাম করতে গেলে বিপরীত ভাবধারার সাহায্য নিতে হয়। মানব মনের কালিমা নষ্ট করবার জন্যে বিপরীত ভাবধারা গ্রহণ করতে হয়। কারো প্রগতি দেখে মনে ঈর্ষা জাগলে আনন্দের ভাব নিতে হয়। কারো সৎকর্ম দেখে দুঃখিত না হয়ে তাকে উৎসাহ দিতে হয়। মানসিক ক্ষেত্রেও একই কথা। বিশদ

07th  April, 2019
শ্রীশ্রী মায়ের স্বরূপ প্রকাশ 

সেবার নৈমিষারণ্যে দুর্গা পূজোয় শ্রীশ্রীমার কাছে গিয়েছিলাম। ফিরে আসার সময় মাকে বললাম—মা সংযম সপ্তাহে যেতে ইচ্ছা করে কিন্তু শারীরিক ও সাংসারিক কারণে বোধ হয় যাওয়া হবে না। মা যেন অমৃত ঢেলে দিয়ে বললেন—চেষ্টা করো।  বিশদ

06th  April, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, মালবাজার: চিতাবাঘের আতঙ্কে রাত জাগছে ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাটের ডুডুমারি, জ্বালাপাড়া ও আলে এই তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়াও ওই তিনটি গ্রামের ছয়টি স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যেও ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিগিং করতে পারছেন না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও সুদৃঢ পদক্ষেপ দিদির রিগিং প্রক্রিয়ায় বড়সড় আঘাত হেনেছে। ...

 জিয়াং (চীন), ২২ এপ্রিল: এশিয়ান কুস্তি প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রত্যাশা বেশি ওলিম্পিক ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী মালিক ও বিশ্বের একনম্বর বজরং পুনিয়াকে ঘিরে। মঙ্গলবার থেকে এই প্রতিযোগিতা ...

 আমেথি, ২২ এপ্রিল (পিটিআই): কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মনোনয়নকে সোমবার বৈধ বলে ঘোষণা করলেন আমেথির রিটার্নিং অফিসার রামমনোহর মিশ্র। আমেথি কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বই দিবস
১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপীয়রের জন্ম
১৯৪১ - বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী রে টমলিনসনের জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির জন্ম
১৯৯২: সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৫ টাকা ৭০.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৮ টাকা ৯২.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৯৮ টাকা ৭৯.৯৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩১, ৯৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৮১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭, ৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  April, 2019

দিন পঞ্জিকা

৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৪। জ্যেষ্ঠা ৩০/৫ অপঃ ৫/১৬। সূ উ ৫/১৪/২০, অ ৫/৫৫/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৯ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৫ মধ্যে।
৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ২০/১৭/২৩ দিবা ১/২১/৪৫। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র ৩৫/৫৫/৫৪ রাত্রি ৭/৩৭/১০, সূ উ ৫/১৪/৪৮, অ ৫/৫৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫০/৬ গতে ৮/২৫/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১১/১৮ গতে ২/৪৬/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২১/৫৪ গতে ৮/৪৬/৩৬ মধ্যে।
১৭ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব বই দিবস১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ...বিশদ

07:03:20 PM

আইপিএল: সিএসকের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট খাড়া করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ  

09:37:59 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯১/১ (১০ ওভার)

08:50:51 PM

গুরদাসপুরে সানি দেওলকে প্রার্থী করল বিজেপি 

08:08:03 PM

টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠাল সিএসকে 

07:36:29 PM