ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
সন্দেহ নেই, মোদি-শাহের শাসনে সবচেয়ে বিপন্ন দেশের গণতন্ত্র। এই আমলেই বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পাশ কাটিয়ে একাধিক বিল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাস করিয়ে নিয়েছে সরকার। এমন বহু ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে যা দেশের ঐক্য সম্প্রীতি সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক। সে সব নিয়েও কোনও আলোচনার অবকাশ রাখেনি মোদি সরকার। নোট বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া, শ্রম আইনের পরিবর্তন ইত্যাদি জনস্বার্থ বিরোধী একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অগণতান্ত্রিক উপায়ে, একতরফাভাবে। চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা করলেও আন্দোলনরত কৃষকদের উপর সরকার পক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে। যা স্বৈরাচারী পদক্ষেপেরই নজির। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। হচ্ছে বিনা বিচারে আটক, সরকার বিরোধী সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহী হিসাবে দেগে দেওয়া। গত কয়েক বছরে এভাবেই একের পর এক সংবিধান ও গণতন্ত্র বিরোধী কাজ করে গেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাই সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে গণতন্ত্রের জয়গান মোদির মুখে অন্তত শোভা পায় না। বিরোধী ঐক্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে যিনি প্রায়শই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন তাঁর মুখের উপর এবার উপযুক্ত জবাব দিলেন বিরোধীরা। সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে ১৪টি বিরোধী দল গরহাজির থেকে বুঝিয়ে দিল এই সরকারকে উচিত শিক্ষা দিতে তৈরি হচ্ছে বিরোধীরা। কার্যত তারা এভাবেই বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে একঘরে করে দিল। শুরু হল বিজেপির সিঁদুরে মেঘ দেখা।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বিজেপি। মোদি সরকার গৃহীত নানা জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে তাদের শরিকরাও মুখ ফেরাচ্ছে। একে একে সঙ্গ ছেড়েছে একাধিক শরিকদল। আবার বিরোধীদের সুরেই কথা বলতে শুরু করেছেন এনডিএ-র শরিকদলের কোনও কোনও নেতা। সমালোচনা হচ্ছে প্রকাশ্যে। ঘরে বাইরে তোপের মুখে পড়ছে মোদিবাহিনী। বলাবাহুল্য, যতই বিজেপির বন্ধুর সংখ্যা কমছে, ততই বিরোধী জোটের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চাপে সরকার। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরানোর ফন্দি এঁটেও কি মোদিবাহিনী শেষরক্ষা করতে পারবে? উত্তরটা অজানা। তবে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে বিরোধীদের একত্রিত হয়ে গরহাজির থাকার ঘটনা বুঝিয়ে দিল কাজটি সহজ হবে না। সমানে সমানে লড়াইয়ের জমি তৈরি হচ্ছে। কার্যত বিরোধীরা দেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এবার মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল। কেন্দ্র বিরোধী সুর যে এবার আরও চড়বে তা স্পষ্ট।