ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
ওই সংস্থার হলদিয়া ইউনিটের মানবসম্পদ(এইচআর) বিভাগের প্রধান প্রকাশ ভৌমিক সম্প্রতি হলদিয়া থানায় এনিয়ে এফআইআর করেছেন। ওই গ্যাংকে অবলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে রুচি সয়া কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল হলদিয়া বন্দরে আসার পর পাইপ লাইনের সাহায্যে প্ল্যান্টে আসে। কিন্তু, সেই পাইপ লাইন লিক করে এভাবে ক্রুড অয়েল বের করে নেওয়ার ফলে সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা রুখতে ওই গ্যাংয়ের নাগাল পাওয়া জরুরি।
হলদিয়া থানার আইসি সৌগত রায় বলেন, ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও কেউ জড়িত কি না, সেটা খুঁজে বের করা হচ্ছে। এর আগে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল থেকে একাধিক সংস্থার জ্বালানি তেলের পাইপলাইন ফুটো করে তেল বের করার ঘটনা ঘটত। সেই জন্য বিভিন্ন সংস্থা পাইপ লাইন রক্ষণাবেক্ষণে বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সি নিয়োগ করেছে। কিন্তু, ভোজ্য তেলের পাইপ লাইন ফুটো করে অপরিশোধিত তেল বের করে নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এরসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। রুচি সয়া ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকেও থানায় এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী সংস্থার হলদিয়া ইউনিটের এইচআর প্রধান প্রকাশ ভৌমিক বলেন, ৯নভেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ এসে বন্দরে থামে। ১১ নভেম্বর আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে জাহাজে কতটা তেল আছে, সেটা খতিয়ে দেখা হয়। তারপর বন্দর থেকে প্ল্যান্ট পর্যন্ত পাইপলাইনে ওই তেল সরবরাহ করা হয়। ১৪ তারিখ দেখা যায়, জাহাজে যে পরিমাণ অপরিশোধিত তেল ছিল প্ল্যান্টে, তার চেয়ে ৮০ টন কম এসেছে। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়। বাকি তেল কোথায় গেল, তা খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ একটি কমিটি গঠন করা হয়। দেখা যায়, রানিচক-চিরঞ্জীবপুর এলাকায় এক জায়গায় ছিদ্র করে তেল বের করা হয়েছে। আমাদের কমিটি সেই এলাকার ছবি সংগ্রহ করে আনে। ওই ছিদ্র রিপেয়ারিং করা হয়েছে। এধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমরা হলদিয়া থানায় এনিয়ে এফআইআর করেছি। আমাদের সকলের সুরক্ষার স্বার্থে এধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।