Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পথ দেখাল ত্রিপুরা
তন্ময় মল্লিক

অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল ত্রিপুরা পুরভোটের অঙ্ক। প্রত্যাশামতোই আগরতলা পুরসভার ৫১টি আসনই দখল করেছে বিজেপি। রাজ্যের ৩৩৪টির মধ্যে ৩২৯টি কব্জা করে পঞ্চায়েত ভোটের ট্র্যাডিশন বজায় রেখেছে গেরুয়া শিবির। হোম সেন্টারের যাবতীয় সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বিপ্লব দেবের দল ‘ইউনিট টেস্টে’ শুধু ফার্স্টই হয়নি, আদায় করে নিয়েছে ফুল মার্কস। ডুবন্ত মানুষ খড়কুটো আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। একের পর এক ভোটে হারতে হারতে খাদের কিনারায় পৌঁছে যাওয়া বিজেপি বাঁচতে চেয়েছে ঠ্যাঙারে বাহিনীর হাত ধরে। বিপ্লববাবু দেখিয়ে দিলেন দলের ঘোর দুর্দিনেও মানুষের ‘নিরঙ্কুশ আনুগত্য’ ছিনিয়ে আনা যায়। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির পিঠ চাপড়ানি। তাতে বিজেপির নেতা-কর্মীরা যতই উচ্ছ্বসিত হোন না কেন, লজ্জায় হেঁট হয়েছে ত্রিপুরাবাসীর মাথা। তাঁদের চোখে, এ জয়ে গৌরবের চেয়েও বেশি রয়েছে লজ্জা। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আম্বেদকরের গণতন্ত্রকে চোখের সামনে খুন হতে দেখার লজ্জা।
দেশের ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা অন্যতম। এ-হেন ত্রিপুরার পুরভোট নিয়ে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের খুব একটা আগ্রহ থাকার কথা নয়। থাকেও না। কিন্তু, এবার ত্রিপুরা পুরভোটের প্রেক্ষিতটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলায় সরকার গঠনে হ্যাটট্রিক করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি-বিরোধী অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। সেই সুযোগে তিনি অন্য রাজ্যেও তাঁর দলের নীতি ও আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। লক্ষ্য, ২০২৪ সালে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তার আগে ২০২৩ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে ভিতটা নড়বড়ে করে দিতে চাইছেন মমতা। তবে, ত্রিপুরায় গুছিয়ে বসার আগেই এসে যায় পুরসভা নির্বাচন। পুরভোটে তৃণমূল লড়ার কথা ঘোষণা করা মাত্র ত্রিপুরা নিয়ে মানুষের আগ্রহের পারদ চড়তে থাকে।
বড় বাড়ি তৈরির আগে সয়েল টেস্ট করে তার ভার ধারণক্ষমতা যাচাই করা হয়। ত্রিপুরার পুরভোট তৃণমূলের কাছেও ছিল বড় অট্টালিকা তৈরির আগে সয়েল টেস্ট। বিজেপির লাগামছাড়া হুমকি সন্ত্রাস সত্ত্বেও আগরতলায় তৃণমূল দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছে। তার ফলও পেয়েছেন। সিপিএমকে পিছনে ফেলে হয়েছে দ্বিতীয়। বলাই বাহুল্য, ত্রিপুরার মাটি পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ জোড়াফুল।
চার বছর আগে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখলের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সিপিএমের কোমর ভেঙে দিয়েছিল বিজেপি। পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন লাগানো, কমরেডদের খুন করার পাশাপাশি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল লেনিনের মূর্তি। ফলে আতঙ্কে ময়দান থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছিল সিপিএম। সেই সুযোগে পঞ্চায়েতের ৯৬ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। 
ত্রিপুরার পুরভোট তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সয়েল টেস্ট হলেও সিপিএমের জন্য এই ভোট ছিল অ্যাসিড টেস্ট। বিজেপির অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টরকে কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ বামেদের সামনে ছিল। কিন্তু সিপিএম সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। মানুষের আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে। তার প্রমাণ, রাজ্যের রাজধানী শহরের নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে দৌড় শেষ করেছে সিপিএম। অথচ পাঁচ বছর আগেও এই সিপিএমই ছিল ত্রিপুরার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। 
বাংলার নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটিকে পর্যুদস্তু করায় ভিনরাজ্যের মানুষের চোখেও মমতাই মোদি বিরোধী প্রধান মুখ। ত্রিপুরা পুরভোটের ফল সেটাই প্রমাণ করেছে। অথচ এই ত্রিপুরায় তৃণমূল পা রাখতেই সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব রে-রে করে উঠেছিল। সুজন চক্রবর্তী এবং অধীর চৌধুরীরা ‘বিজেপির সুবিধে করে দিতে মমতা বিরোধী ভোট ভাগ করতে চাইছেন’ এই ফাটা রের্কডটি লাগাতার বাজিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু, আগরতলা জানিয়ে দিল, কংগ্রেস যতই নিজেদের বিজেপির ‘বিশুদ্ধ প্রতিপক্ষ’ বলে দাবি করুক না কেন, তাদের ভোট মাত্র এক শতাংশ। আর সিপিএমের স্থান তৃণমূলের পিছনে। এরপর তৃণমূল বলতেই পারে, বিজেপি যাতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে না পড়ে তার জন্যই কংগ্রেস এবং সিপিএম পরিকল্পিতভাবে মমতাকে আটকাতে চাইছে।
বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতার সঙ্গে এঁটে উঠতে না পারায় সিপিএম বারবার ঘেঁটে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে ‘বিজেমূল’ থিওরি বাজারে ছেড়ে মানুষের মনে সন্দেহের বীজ পুঁতে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করেনি। তাই বাংলায় ভরাডুবির জন্য ‘বিজেমূল’ থিওরি ভুল ছিল বলে স্বীকার করলেও সিপিএম সেখান থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না। সেইজন্য আগরতলা পুরভোটে থার্ড হওয়ার পিছনেও সিপিএমের কেউ কেউ বিজেপির যোগসাজশে তৃণমূল দ্বিতীয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এভাবে বালিতে মুখ গুঁজে সিপিএম সত্যকে আড়ালের চেষ্টা যত করবে, ততই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
মুম্বইয়ে গিয়ে মমতা তাঁর রণনীতি স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেখানে কংগ্রেস সমঝোতা করেছে কিংবা লড়াই করতে পারছে না, সেখানে লড়াই করব। সেখানে বিজেপিকে বাড়তে দেব না।’এটা যে কথার কথা নয়, সেটা তাঁর কাজের ধারাতেই স্পষ্ট। 
এখনও পর্যন্ত তৃণমূল সুপ্রিমো যে সমস্ত রাজ্যে সংগঠন গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, প্রতিটিই বিজেপি শাসিত। বিজেপিকে বেগ দেওয়ার মতো অবস্থায় কংগ্রেস নেই। কারণ বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানে অক্ষমতা। তার ফলে বিজেপির ওয়াকওভার প্রায় নিশ্চিত। মমতা সেই সব জায়গায় ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’ মানসিকতা নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চাইছেন। আর যেখানে শক্তিশালী বিজেপি বিরোধী দল আছে, সেখানে তিনি সেই দলকেই সমর্থন করছেন।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী তিনটি দলের ম঩ধ্যে অখিলেশ যাদবের পার্টিই সর্বাধিক শক্তিশালী। তাই মমতা তাঁর দলকেই সমর্থন করছেন। বিজেপির ভোট ভাগ করা মমতার উদ্দেশ্য হলে তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করতেন। তাতে কংগ্রেসকে খুশি করা যেত, আর বিজেপিরও সুবিধে হতো। কিন্তু, মমতা অখিলেশের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। কারণ এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মুলায়ম পুত্রই। মায়াবতী ও কংগ্রেস অনেকটাই পিছনে।
কেউ বলতেই পারেন, উত্তরপ্রদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই। তাই মমতা সেখানে কাকে সমর্থন করলেন বা বিরোধিতা করলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমার বিশ্বাস, মমতার সমর্থন অখিলেশ যাদবকে উত্তরপ্রদেশের ভোটে অনেকটা এগিয়ে দেবে। আর অখিলেশ সেটা বুঝেছেন বলেই উত্তরপ্রদেশেও মমতার স্টাইলে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে শুরু করে দিয়েছেন লড়াই।
ভোটের রেজাল্ট যে কোনও রাজনৈতিক দলের জনসমর্থনের মাপকাঠি। ত্রিপুরাতে তৃণমূল নির্বাচনে লড়বে শুনে শুধু সিপিএম নেতারাই নন, এরাজ্যের অনেকেই ভেবেছিলেন, মমতার দল কিস্যু করতে পারবে না। কিন্তু, অনেক ভয়ভীতি, মারধর সত্ত্বেও আগরতলার ২০শতাংশ ভোটার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। স্রেফ মমতা-ম্যাজিকে। বাংলার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও মমতার নামের পাশে ‘ম্যা঩জিক’ শব্দটি জুড়ে যাচ্ছে। 
বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর জন্য তৃণমূলনেত্রী বহুবার বামেদের সহযোগিতা চেয়েছেন। চিঠি লিখে বা গোপনে দূত পাঠিয়ে নয়, প্রকাশ্যে। তাতে বামেরা তাঁকে দুর্বল ভেবে ভুল করেছে। সিপিএম নেতাদের কথায় স্পষ্ট হয়েছে ক্ষমতা তাঁদের ছেড়ে চলে গেলেও দম্ভ কমেনি একটুও। সেই কারণেই তাঁরা বলতে পারেন, ‘বিজেপির মোকাবিলার জন্য মমতার হাত ধরার দরকার হবে না। বামেরাই যথেষ্ট।’
হলফ করে বলতে পারি, ত্রিপুরা পুরভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ার প্রস্তাব দিলে বামেদের কাছ থেকে একই উত্তর আসত। তাই মমতার সামনে একটা রাস্তাই খোলা ছিল, নিজের শক্তি প্রমাণের। আর সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন। 
প্রতিপক্ষ দুর্বল হলে শাসক দলের সুবিধে হয়। এরাজ্যে কংগ্রেসের মতো দুর্বল দল প্রতিপক্ষ ছিল বলেই বামেরা নিশ্চিন্তে ৩৪ বছর রাজ্য শাসন করার সুযোগ পেয়েছিল। উত্তরোত্তর ভোট বাড়িয়ে চলেছিল। ত্রিপুরাতেও সিপিএম ও কংগ্রেস বিরোধী থাকলে সেখানেও পশ্চিমবঙ্গের পুনরাবৃত্তি ঘটত না, এমন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। কিন্তু সূচনালগ্নেই তৃণমূলের এই উত্থান বিপ্লব দেবের কপালে ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট। 
ত্রিপুরা কার দখলে যাবে, সেটা ভবিষ্যৎই বলবে। তবে শূন্য থেকে একলাফে কুড়িতে পৌঁছে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দলকে বাদ দিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধী লড়াই অসম্ভব। মোদি বিরোধী লড়াইয়ে মমতাকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছে ত্রিপুরা। ‘ডাকাবুকো’ মমতা হয়েছেন আরও সাহসী। শুরু করে দিয়েছেন ২০২৪ সালে মহারণের প্রস্তুতি। তাই এখনই শুরু হয়েছে বাংলার বাঘিনীকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা।
04th  December, 2021
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শিশুরাই বিপন্ন
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার মন্ত্রীরা বিরক্তিকরভাবে অনেক কথা বলে চলেন। যেমন—পাকিস্তানের হুমকি, নামোল্লেখহীন এক প্রতিবেশী দেশের (চীন) বৈরিতা, হিন্দুত্ব, সংসদে বিঘ্নসৃষ্টি, আন্দোলনজীবী (বারোমেসে প্রতিবাদী), রাজনীতিতে রাজতন্ত্র/পরিবারতন্ত্র, ৭০ বছরের অনুন্নয়ন, ভারত এক বিশ্বগুরু (বিশ্বের শিক্ষক), এবং আরও অনেক কিছু ।
বিশদ

কংগ্রেসকে নেতৃত্বে রেখে
মোদিকে হটানো যাবে না...
হিমাংশু সিংহ

কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্র করতে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলার তাগিদে। স্রেফ পরিবারতান্ত্রিক সরকার চালানোর জন্য নয়। দুর্ভাগ্য আমাদের, স্বাধীনতার পর সেই আবেগটাকেই একটা পরিবার ‘হাইজ্যাক’ করেছিল। পুরনো ইতিহাস খুঁড়লে এটাই ষোলোআনা সত্যি। বিশদ

05th  December, 2021
মাননীয় হাইকমান্ড,
একটু আত্মবিশ্লেষণ করুন
সমৃদ্ধ দত্ত

তৃণমূল কংগ্রেস কেন গোয়ায় লড়াই করতে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন ত্রিপুরায় গিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন মুম্বইয়ে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে?
বিশদ

03rd  December, 2021
দোভাল দর্শনে ভীত
নাগরিক সমাজ!
মৃণালকান্তি দাস

নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে যে সঙ্কেত দিতে চেয়েছেন, তা হল, পুলিস তথা নিরাপত্তা বাহিনীকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার নামে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ দমনে ‘তৎপর’ হওয়ার সঙ্কেত। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজ দেশবাসীকে রক্ষা করা। গভীর পাঁকে আটকে যাওয়া গেরুয়া শিবিরকে উদ্ধার করা নয়!
বিশদ

02nd  December, 2021
বিজেপির উন্নয়ন যেন
চৌর্যবৃত্তির মডেল

সন্দীপন বিশ্বাস

আদতে কোনও রাজনৈতিক দলের অসম্মানেই দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু এসে যায় না। সেটা একটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার, কেন্দ্রের মন্ত্রী, বিজেপির মন্ত্রী যখন এমন কাজ করেন, যাতে দেশের সম্মান ও গৌরব ভূলুণ্ঠিত হয়, তখন তা জাতীয় লজ্জা হিসেবেই দেখা দেয়।
বিশদ

01st  December, 2021
তথ্য সুরক্ষা বিল এবং
শাসকের ‘দূরের লক্ষ্য’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এ দেশের ক্ষেত্রে যদি নজরদারি চালানোটা আইনসিদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো আর আড়াল-আবডালের প্রয়োজনই থাকবে না। সেটাই চাইছে কেন্দ্র। আইনি সিলমোহর। সরকার বিরোধী মতামত দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে সরকারের ভাড়া করা সৈন্যরা। টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবে গারদের ওপারে।​​​​​
বিশদ

30th  November, 2021
প্রভাবশালী ধনীরা
জবাবদিহির ঊর্ধ্বে
পি চিদম্বরম

ধনীরা প্রভাবশালী হয় এবং প্রভাবশালীরা ধনী হয়। একবার প্রভাবশালী এবং ধনী হয়ে গেলে, স্পষ্টতই তারা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাবে। এটাই হয়েছে আজেকর বিপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন শেরম্যান (প্রথম অ্যান্টিট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৯০—সাধারণভাবে যেটিকে শেরম্যান আইন হিসাবে উল্লেখ করা হয়) বিশদ

29th  November, 2021
কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূল
হলে আপত্তি কোথায়?
হিমাংশু সিংহ

গোটা দেশে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধীদের শুকনো গাঙে তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্লবের নয়া কেতন উড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা থেকে গোয়া। জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও মমতাই আজ মোদির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিপক্ষ।
বিশদ

28th  November, 2021
পুরভোটের সন্ত্রাসে বিপদ
বাড়ল ত্রিপুরা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শূন্য প্রমাণের জন্য পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করে বিজেপি নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল। ২০২৩ সালে আর ইউনিট টেস্ট নয়, বিপ্লব দেবকে বসতে হবে বোর্ডের পরীক্ষায়। পরীক্ষকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

27th  November, 2021
কৃষকরা সকলের জন্যই
দিলেন জীবনের শিক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের কাছে একটাই সুসংবাদ যে, তিনি ইতিহাস চর্চা করেন না। যদি করতেন, তাহলে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভারতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখতেন। খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হতো না। কারণ তাঁর হাতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে।
বিশদ

26th  November, 2021
মোদির পিছু হটা কীসের ইঙ্গিত!
মৃণালকান্তি দাস

কে না জানে, একটি শাসকদল পিছু হটে তখনই, যখন সে বুঝতে পারে তার পায়ের তলার মাটি সরছে। পায়ের তলার মাটি একবার সরতে শুরু করলে কী হয় তা বাংলার মানুষ জানেন। সিঙ্গুরেও পিছু হটে নজির গড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবু ডুবেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষের মতামত না নিয়েই জোরজবরদস্তি জমি অধিগ্রহণ করে। মোদির ক্ষেত্রেও তাই। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ছাড়া কৃষিতে সংস্কারমূলক তিনটি আইন আনতে গিয়ে তিনিও ডুবেছেন।
বিশদ

25th  November, 2021
দুঃসময়ের রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী

একতারা হাতে এক বাউল এলেন। কোনও অনুরোধ ছাড়াই একটি প্রচলিত গান গেয়ে হাত পাতলেন। কিছু দেব কি দেব না ইতস্তত করছি। লোকটি আমার মন পড়ে নিলেন নিশ্চয়। কিছু দাবি করার পরিবর্তে প্রশ্ন রাখলেন, ‘বাবু, দুঃসময় কাকে বলে?’ বিশদ

24th  November, 2021
একনজরে
পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...

কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM