ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল ৩টে থেকে বিশাল বাড়িতে ছিল না। সন্ধ্যা হতেই পরিজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখুঁজি শুরু করেন। প্রতিবেশী, বন্ধু ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে এক প্রতিবেশীর বাড়ির সীমানা পাঁচিল ঘেঁষা ঝোপ থেকে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার বাঁ হাতের শিরা কাটা ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। দরজায় ব্যবহার করা পর্দার কাপড়ে দেহটি মোড়ানো ছিল। দেহের পাশ থেকে প্লাস্টিকের একটি বালতি উদ্ধার হয়েছে। রাতেই খবর পেয়ে কানকি ফাঁড়ির পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মৃতের বাবা প্রমোদ শাঁ গ্রিলের দরজা, জানালা তৈরি করেন। বড় ছেলে তাঁর সঙ্গেই কাজ করেন দোকানে। ছোট ছেলে বিশালের স্কুল বন্ধ থাকায় সে বাড়িতে পড়াশোনা করছিল। প্রমোদবাবু বলেন, আমরা ছেলেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজার পরও না পেয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়ির পাশের ঝোপে খুঁজতে থাকি। আলো পড়তেই কাপড়ে মোড়া কিছু দেখতে পাই। মোড়ক খুলতেই দেখি, ছেলের দেহ। কারও সঙ্গে আমার কিংবা আমার পরিবারের শত্রুতা নেই। তারপরও কে আমার ছেলেকে এমন নৃশংসভাবে খুন করল, ভাবতে পারছি না। মৃতের কাকা দুলাল শাঁ বলেন, এমন নিষ্ঠুরভাবে কে বা কারা বিশালকে খুন করেছে জানি না। তবে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। মৃতের মা গীতাদেবী শাঁ ছেলের শোকে পাথর।
এদিকে, ঘটনার পর কানকির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও দোষীর চরম শাস্তি চেয়ে সরব হয়েছে। সিপিএমের কানকি এরিয়া কমিটির সম্পাদক আনন্দ সিংহ বলেন, এত কম বয়সের ছেলে খুনের ঘটনা এর আগে এই এলাকায় ঘটেনি। খুবই দুঃখজনক। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। দোষীর শাস্তির দাবি জানাই।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিভাস জানা বলেন, যে কোনও মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। পুলিস তদন্ত করছে। এর সঠিক কারণ অবশ্যই বেরিয়ে আসবে।
ইসলামপুরের পুলিস সুপার সচিন মক্কর বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এক নাবালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত নিজেও পুলিসের কাছে স্বীকার করেছে যে, সে খুন করেছে। কোনও মেয়ের ছবিকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনা জানতে তদন্ত চলছে।
এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল, সেখানে রক্ত ছিল না। সেক্ষেত্রে অন্য কোথাও খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি ঝোপে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে দেহটি পড়েছিল, সেখানে মানুষজন বিশেষ যান না। তাই হয়তো মৃতের পরিবারের খোঁজ শেষ হলে দেহটি ওই জায়গায় পুঁতে রাখার পরিকল্পনা ছিল। ঘটনার সঠিক তদন্ত হলে সবটা বেরিয়ে আসবে।