ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিওলজিস্ট চুনচুন কুমার বলেন, এখানকার মিউজিয়ামের নতুন প্রদর্শনীকক্ষ খোলার জন্য দু’বার দিল্লির ডিরেক্টরেট জেনারেলের অফিসে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু, আমরা এ ব্যাপারে কোনও অনুমোদন এখনও পাইনি। তবে কেন অনুমোদন আসেনি, তা বলতে পারব না।
কোচবিহার রাজবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজবাড়িতে মিউজিয়ামের জন্য কয়েকটি প্রদর্শনীকক্ষ আছে। তার মধ্যে একটি প্রদর্শনীকক্ষ বা গ্যালারিতে রাজপরিবারের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র সাজানো রয়েছে। এর পাশেই একটি নতুন প্রদর্শনীকক্ষ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বছর দু’য়েক আগে সেই ঘরটি সংস্কার করা হয়েছিল। এএসআইয়ের উদ্যোগে কোচবিহার মহারাজাদের সময় চালু করা নারায়ণী মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যাঁদের সংগ্রহে ওই মুদ্রা ছিল, তাঁদের কাছ থেকে পরবর্তীতে সেসব সংগ্রহ করা হয়। এর সংখ্যা এখন প্রায় ২৭টি। সেগুলিও প্রদর্শনীকক্ষে রাখা হয়েছে। রয়েছে ব্রিটিশ আমলের রানি ভিক্টোরিয়ার ছবি সম্বলিত মহারাজাদের প্রাপ্ত মেডেল। সেগুলিকে ওই প্রদর্শনীকক্ষে রাখার পরিকল্পনা ছিল। এর সঙ্গে মহারাজাদের ব্যবহৃত চেয়ার, ড্রেসিং টেবিল, গ্রামোফোন, রেডিও প্রভৃতিও রয়েছে। নতুন প্রদর্শনীকক্ষ চালু করা গেলে এসব সেখানে রাখা যেত। কিন্তু, এতদিনেও সেই কক্ষ চালুর কোনও অনুমোদন দিল্লি থেকে আসেনি।
কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি দেখতে প্রতিদিনই বহু পর্যটক এখানে আসেন। বিশাল এই রাজবাড়ির গেট দিয়ে ঢুকে কিছুটা পথ পেরিয়ে রাজবাড়ির মূল ভবনের সামনে পৌঁছতে হয়। এরপরই একতলায় রাজ দরবারে প্রবেশ করা যায়। সেখান থেকে দোতলায় উঠলে পরপর কয়েকটি কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষে মহারাজাদের ব্যবহৃত নানা সামগ্রী সাজানো রয়েছে। এরমধ্যে মহারাজাদের ব্যবহৃত বিলিয়ার্ড বোর্ড, পানপাত্র, পোশাক, অস্ত্রশস্ত্র সহ নানা সামগ্রী রাখা রয়েছে। যেগুলি পর্যটকদের কাছে দারুণ আকর্ষণীয়। এসব দেখলে বোঝা যায়, সেসময় কোচবিহারের মহারাজারা কেমনভাবে জীবনযাপন করতেন। এসবের পাশাপাশি আরও সামগ্রী দিয়ে নতুন কক্ষ খোলা হলে মিউজিয়ামদের জৌলুস বৃদ্ধি পেত বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।