ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
প্রশ্ন: বিধায়ক ফের পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী। এটা কি বাড়তি পাওনা?
উত্তর: দেখুন, ছ’জন বিধায়ককে পুর নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে। নতুন-পুরনো সংমিশ্রণে এবার প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছে দল। মানুষকে পরিষেবা দেওয়াটাই মূল লক্ষ্য। তাতে একজন বিধায়ক যদি ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি হন, তাহলে অসুবিধা কোথায়? বিধায়ক তাঁর এলাকা সম্পর্কে জানেন, ফলে তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছে দল। আর একজন বিধায়ক সাধারণ মানুষকে যে পরিষেবা দিয়ে থাকেন, কাউন্সিলারের কাজের জাোয়গা তার থেকে আরও বেশি বলে মনে করি।
প্রশ্ন: বিধায়ক না কাউন্সিলার— আপনার কাছে কোনটা বেশি পছন্দের?
উত্তর: এখানে আমার চাওয়া-পাওয়ার কোনও বিষয় নেই। আমাকে দল যদি টিকিট না দিত, তাহলে আমি নির্দল হয়ে দাঁড়াতে যেতাম না। ১৯৮৫ সাল থেকে আমি নির্বাচনে লড়ছি। ফলে যাবতীয় রাজনৈতিক বিষয় আমার গুলে খাওয়া হয়ে গিয়েছে।
প্রশ্ন: দল এবার আপনাকে প্রার্থী করেছে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে এই ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে। সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে জিততে পারবেন?
উত্তর: দল যোগ্য মনে করেছে বলেই তো এখানে আমাকে প্রার্থী করেছে। ফলে জিতবই। আমরা লড়ব, জিতব, হাসব। ওরা কাঁদবে।
প্রশ্ন: আগেরবার আপনি প্রার্থী ছিলেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। কংগ্রেসের প্রকাশ উপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। সেই জায়গা থেকে এবার কি আপনার প্রেস্টিজ ফাইট?
উত্তর: আগের ভোট নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। সেই সময় আমাকে ড্যামেজ করার একটা চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তার কিছুদিন পর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বেলেঘাটার মানুষ তো আমার উপরই আস্থা রাখলেন।
প্রশ্ন: পরেশ পালকে নিয়ে বিতর্ক কম নেই। কখনও আপনি সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন। আবার পাহাড়ে অতীতের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় বিজেপি’র দিকে তেড়ে গিয়েছেন। টি-শার্ট পরে অটো নিয়ে বিভিন্ন ঘটনায় আপনাকে রাস্তাতেও নামতে দেখা গিয়েছে। আপনি কি বরাবরই এমন রাফ অ্যান্ড টাফ?
উত্তর: সাধনবাবুর সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। কয়েকবার মতপার্থক্য হয়েছে, এই যা। তবে তা মিটে গিয়েছে। আমি চাই, উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফিরে এলে আবার আমরা একসঙ্গে কাজ করব। আর এখন তো সাধনবাবুর মেয়ে এবং আমি একসঙ্গেই দলের কাজ করছি। পুরভোটে আমি তো সাধনবাবুর মেয়ের গাড়িতে করেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলাম।
প্রশ্ন: মেলা, গণবিবাহ, ইলিশ উৎসব— এই তিনটি বিষয় কি জনসংযোগে পরেশ পালের ইউএসপি?
উত্তর: বেলেঘাটা অঞ্চলে সিপিএমের আমলে অহরহ বোমা-গুলি পড়ত। আর আজ একটা ঢিল পর্যন্ত পড়ে না। এখানকার মানুষের সঙ্গে আমরা সবাই মেতে উঠি মেলা, গণবিবাহ, ইলিশ উৎসব, দুর্গাপুজো, কালীপুজোর আনন্দে। আমি সামাজিক অনুষ্ঠান করে আসছি বহু বছর ধরেই।
প্রশ্ন: আগামী দিনে মানুষের ভোটে জিতে এলে কীভাবে সাজাবেন ওয়ার্ডকে?
উত্তর: আমি বরাবরই একটু অন্যরকম। আমি একটা সময় অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। ডেড বডি গাড়িতে করে পৌঁছে দিয়েছি শ্মশানে। যে সমস্যা চোখে পড়বে, দ্রুত তার সমাধানের চেষ্টা করব। আমি তো কোনও কোম্পানির বিজনেস করছি না যে টার্গেট বেঁধে কাজ করতে হবে। ওয়ার্ডে জল জমার একটু সমস্যা রয়েছে, সেটা সমাধান করব আগে।