ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
পোস্ট-২: এজেসি বোস উড়ালপুল। বাইকটি ছুটে চলছে প্রতি ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার বেগে। ‘ডেডলি স্পিডে’ ফের ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট এক যুবকের। (১০ অক্টোবর)
পোস্ট- ৩: নিউটাউনের আর্টেরিয়াল রোড। সেখানেও ১৫৫ কিলোমিটারের বেশি গতি তুলে বাইকে চড়েই বিশ্ববাংলা গেটে ভিডিও শ্যুট। বিদেশি কোম্পানির সবুজ বাইকে সোশ্যাল মিডিয়া সেনশেসন হওয়ার চেষ্টা। (৭ অক্টোবর)
পোস্ট- ৪: মা উড়ালপুল। পাঁচ নম্বর গিয়ারে ঠেলে ‘ফুল অ্যাক্সিলারেশন’-এ বিলাসবহুল বাইক। স্পিডোমিটারে দেখাচ্ছে ১৬৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা। উড়ালপুলের নির্ধারিত সর্বোচ্চ গতিবেগের ধরাছোঁয়ার বাইরে। (১৯ নভেম্বর)
ঠিক যেন টম ক্রুজের মিশন ইম্পোসিবলে বিএমডব্লু এস-১০০০ আরআর বাইক চেজের সিন বা ধুমের হায়াবুসা— গতির খেলা দেখছে কলকাতা। শহরের বুকে সিনেমার পর্দার বাইক না এলেও, রেসিং বাইক নিনজা-৬৫০ চড়ে ‘ধুম-৩’-এর আমির খানের মতো পুলিসকে
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন এক যুবক। সেই ‘ডেডলি স্পিড’-এর ভিডিও নিয়মিত পোস্ট করছেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম পেজে। গত চার-পাঁচ মাস ধরে শহরের একাধিক ব্যস্ত রাস্তা, উড়ালপুলে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই যুবক। তাঁর বাইকের গতি দেখলে আমজনতার বুক কেঁপে উঠবে। ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে রাস্তার সহযাত্রী থেকে শুরু করে কলকাতা পুলিসকে কার্যত ‘ধাপ্পা’ দিয়ে ‘ধুম-২’-এর হৃত্বিক রোশনের মতোই মিলিয়ে যাচ্ছেন বাইকচালক।
যুবকের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখে বলাই যায়, শহরের একাধিক ঝাঁ চকচকে রাস্তা তাঁর পছন্দের ‘ট্র্যাক’। তার মধ্যে রয়েছে রেড রোড, পার্ক স্ট্রিট, এজেসি বোস উড়ালপুল, মা উড়ালপুল, চিংড়িঘাটা ক্রসিং থেকে নিক্কো পার্ক পর্যন্ত বিশ্ববাংলা সরণি, নিউটাউনের মেজর আর্টেরিয়াল রোড ইত্যাদি। যুবকের প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দিনের বেলা কার্যত ব্যস্ত রাস্তাই তাঁর সবথেকে প্রিয় ‘ট্র্যাক’। ‘জিগ-জ্যাগ’ করতে করতে বাইক ছোটানোই
তাঁর প্যাশন। ইনস্টাগ্রামের ভিডিওতে সেই কথা উল্লেখও করেছেন বাইকচালক। রেসিং বাইকের সর্বোচ্চ গতি ছোঁয়ার চেষ্টায় গত চার-পাঁচ
মাস ধরে চালকের দাপাদাপি দেখছেন শহরের একাধিক নাগরিক। প্রসঙ্গত, শনিবার গভীর রাতে নিউটাউনের রাস্তায় শ্যুটিং চলাকালীন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারকে ধাক্কা মারে এক বেপরোয়া ‘মত্ত’ যুবক। অভিনেত্রীর পায়ে গুরুতর আঘাত লেগে
হাড় ভেঙে যায়। বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তারও করে বিধাননগর পুলিস। এমন অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় গতির ভিডিও দেখে
তাজ্জব অনেক নেটিজেন। প্রায় ১৯০ ছুঁইছুঁই গতিতে শহরের রাস্তায় বাইক চালানো শুধু চালকের জন্য নয়, আশপাশের পথচারীদের জন্যও অত্যন্ত বিপজ্জনক।
প্রসঙ্গত, মা ফ্লাইওভার, বিশ্ববাংলা সরণি, এই সমস্ত রাস্তাতে স্পিড-সেন্সর রয়েছে। তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের করার কথা কলকাতা
ও বিধাননগর পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের। তবে যে ঘটনা চলছে, তাতে পুলিসের তৎপরতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যুবকের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ঘাঁটলে তা টেরও পাওয়া যায়। ১৮৪ কিলোমিটার গতিতে বাইক চালানোর পোস্টে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘মা ফ্লাইওভারে যেখানে গাড়ি-বাইকের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার, সেখানে তুমি ১৬০-এ চালাচ্ছো! কলকাতা পুলিস দেখলে কেস হওয়ার কথা।’ আরও এক নেটিজেন কলকাতা পুলিসকে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘প্লিজ টেক অ্যাকশন।’