Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দোভাল দর্শনে ভীত
নাগরিক সমাজ!
মৃণালকান্তি দাস

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদির প্রথম আমেরিকা সফর।
২০১৭-র ১৭ জুন। হোয়াইট হাউসের লনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মোদি। বক্তব্য রাখার জন্য মোদি যখন তৈরি, ঠিক তখনই দমকা হাওয়ায় উড়ে যায় ডায়াসে রাখা বক্তৃতার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ। প্রথম সারিতে তখন ভারতের বিদেশ সচিব এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসেন অজিত দোভাল। চোখের পলকে দৌড়ে গিয়ে উড়ে যাওয়া সেই কাগজ তুলে এনে সযত্নে ডায়াসে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন বক্তব্য রাখতে কোনও অসুবিধা হয়নি মোদির। এমন তুচ্ছ ঘটনাকে বেশিরভাগ সাংবাদিক কোনও পাত্তা না দিলেও, একটি ইংরেজি পত্রিকা সেদিন লিখেছিল, হোয়াইট হাউস ইভেন্টে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্ধার করেছিলেন দোভাল।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগে থেকেই মোদির সঙ্গে দোভালের ঘনিষ্ঠতা। দোভাল তখন বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রধান। সঙ্ঘ পরিবারের অনুগত। অনেকেই বলেন, গোয়েন্দা ব্যুরো থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদিকে পর্দার আড়ালে থেকে অনেক সাহায্য করেছেন। একসময় বিজেপির ঘনিষ্ঠ স্বামীনাথন গুরুমূর্তি টুইট করে বলেছিলেন, ‘দোভাল ছত্রপতি শিবাজি এবং ভগৎ সিংয়ের সমসাময়িক সংস্করণ।’ তাঁর বর্ণময় কেরিয়ারে মিলেছে পুলিস মেডেল, প্রেসিডেন্ট মেডেল, কীর্তিচক্র। দোভালকে ঘিরে তৈরি হয়েছে মিথের বলয়। ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ’—এই রক্ষাকবচ তাঁকে ঘিরে রাখে সব সময়। মোদি সরকারে মন্ত্রিসভা সমতুল্য পদ মর্যাদার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ক্রমেই সমান্তরাল ক্ষমতার কেন্দ্রও হয়ে উঠেছেন অজিত দোভাল।
অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার এম জি দেবসহায়মের কথায়, ‘১৯৬৮ সালের ৩/৪ জুলাই মুসৌরির ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিয়েছিলাম দু’জনই। সেদিন, দোভাল পুলিস পরিষেবা এবং আমি ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবাতে প্রবেশ করেছিলাম। কিন্তু কখনওই উদ্ভট মতবাদটি কল্পনা করতে পারিনি, যা বলেছেন অজিত দোভাল।’ সম্প্রতি হায়দরাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ন্যাশনাল পুলিস অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, নাগরিক সমাজই এখন নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধক্ষেত্র। দেশের নাগরিক সমাজই জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিপদ হয়ে উঠতে পারে!
দোভালের এই মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষত এমন একটা সময়ে এই কথাগুলো বলেছেন, যার কিছু দিন আগেই খোদ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তার জুজু দেখিয়ে রাষ্ট্র অবাধ ছাড়পত্র পেতে পারে না। সাম্প্রতিক অতীতে বারবারই নাগরিক সমাজের বিরোধী স্বরকে দমন করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। বিরোধী রাজনীতিকে দুর্বল ও বিভক্ত করার জন্য শাসকদের চেষ্টার কোনও বিরাম নাই। তার জন্য অর্থের লোভ, ক্ষমতার আকর্ষণ, প্রশাসনিক তদন্ত ও হানাদারির ভয় এবং মামলার চাপ— ছল-বল-কৌশলের কোনও ঘাটতি রাখা হয়নি। জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া, শাহিন বাগ, দিল্লি সংঘর্ষ, কৃষক আন্দোলন থেকে হালের পেগাসাস— অসংখ্য ঘটনায় নাগরিক সমাজের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপরে দমননীতি চাপানো হয়েছে বলে ঘরে-বাইরে সমালোচিত হয়েছে মোদি সরকার। এই অন্ধকার সময়েই নাগরিক সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উঠে এসেছে প্রতিবাদ। কৃষক আন্দোলন এই মুহূর্তে তার সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত। আর সেই কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করলেই তাকে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বলে। বিরোধীস্বরকে স্তব্ধ করতে শাসকদের মুখে ‘আরবান নকশাল’, ‘আন্দোলনজীবী’ ইত্যাদি গালিগালাজের অন্ত নেই। সমাজে বিদ্বেষ এবং বিভাজনের বীজ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটা অনেক বেশি করেছে গেরুয়া শিবিরই। এই প্রেক্ষাপটে দোভাল যে ভাবে নাগরিক সমাজকে কার্যত বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করলেন, তা চলতি বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
মনে করুন, যদি এমন হয় যে, দেশের সমস্ত জটিল সমস্যার মোকাবিলা করা হয় হিংস্র গা-জোয়ারি দিয়ে? যদি অগণিত মানুষের অসহায়তাকে চাপা দেওয়া হয় ধর্মীয়-গোষ্ঠীগত নিরাপত্তার ভুয়ো আতঙ্কের তলায়? যদি ধর্ম-রাজনীতি-রাষ্ট্র-প্রশাসন মিলেমিশে বানিয়ে নেয় এক অখণ্ড নিটোল গুন্ডামি আর বুজরুকির আসর? তখনই বোঝা যায়, এসে পড়েছে সেই কুৎসিত সময়, যখন আমাদের মস্তিষ্ক ও চেতনায় কামড়ে ধরে থাকবে ক্ষমতার প্রতি এক ভীতিমাখা আকর্ষণ, এবং ক্ষমতাহীন মানুষের প্রতি লুকোনো অযৌক্তিক ঘৃণা। আমাদের দেশ সম্ভবত আজ তেমনই এক প্রবল ঢেউয়ে আক্রান্ত। এখনই তো সিভিল সোসাইটির মৌলিকতম প্রশ্নগুলো তোলার আসল সময়! সমাজের নৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন। রাষ্ট্রের নৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন। ধর্মের নৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন। আমাদের সমগ্র নাগরিক অস্তিত্বের মূল শিকড়গুলোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন। অজিত দোভালরা আর সেই সব প্রশ্ন শুনতে নারাজ। ভয়টা সেখানেই!
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হওয়ার কয়েক মাস আগে, দোভাল এক গভীর দর্শন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমরা শত্রুকে তিনটি পদ্ধতিতে আটকানোর চেষ্টা করি। একটি হল প্রতিরক্ষামূলক। ঠিক যেমন চৌকিদাররা করেন। অপরটি আত্মরক্ষামূলক-আক্রমণাত্মক। আত্মরক্ষার জন্য, আমরা সেই জায়গায় যাই যেখান থেকে অপরাধ সংগঠিত হয়। আমরা এখন ডিফেন্সিভ মোডে...।’ ক্ষমতার খেলায় চূড়ান্ত ন্যায়বিচার তাঁর কাছেই থাকে যিনি শক্তিশালী। এটি ছিল কাশ্মীরে প্রয়োগ করা দোভালের ‘সামরিক মতবাদের’ বৈশিষ্ট্য।
যে মতবাদে বুলেট, প্যালেট গান, মানব ঢাল— লক্ষ্য একটাই, যে কোনও উপায়ে জয়লাভ করা। রক্ত বয়ে গেলে, শিশুরা মারা গেলে বা অন্ধ হয়ে গেলে, সন্তানহারা মা কেঁদে উঠলে, মানুষ যদি ভোট না দেয়— তাতেও কিছু যায় আসে না। রাষ্ট্রকে আরও বেশি করে সামরিক শক্তি দিয়ে, এমনকী তার নিজের জনগণের উপরেই সেই শক্তি প্রয়োগ করে জয়ী হতে হবে। বিশিষ্ট আইনজীবী এজি নুরানির মতে, দোভাল মতবাদের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ ‘নৈতিকতার অপ্রাসঙ্গিকতা’। যদি প্রয়োজন হয়, নিজেকে রক্ষা করাই হবে তাঁর সর্বোচ্চ ভূমিকা। এই নৈতিকতার দৃষ্টিভঙ্গিতেই তাঁর নতুন নাগরিক সমাজের মতবাদ। তাঁর কাছে রাষ্ট্রই প্রধান। জনগণ নয়। দোভালের ভাষণে এটা স্পষ্ট— সংবিধান, গণতন্ত্র এবং সুশীল সমাজ সম্পর্কে তাঁর আলাদা ধারণা রয়েছে। তিনি মনে করেন, ভারত এখনও একটি ঔপনিবেশিক রাজতন্ত্র, যেখানে জনগণ প্রজা মাত্র। অথচ, আমাদের সংবিধান ‘দ্য পিপলস অব ইন্ডিয়া’ শব্দ দিয়েই শুরু এবং এমন একটি সমাজকে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যেখানে নাগরিকরা সার্বভৌম। দোভাল কীভাবে তরুণ পুলিস অফিসারদের ‘দ্য পিপলস অব ইন্ডিয়া’-কে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলেন তা তিনিই জানেন। মনে হয়, সমস্ত প্রতিবাদ ও প্রশ্নকে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ বলে মনে করেন, যে কোনও বিরোধিতাকে দমন করার ব্যগ্রতায় গণতন্ত্রের ন্যূনতম শর্ত লঙ্ঘনেও তাঁর আপত্তি নেই।
এই সেই দোভাল, যাঁর ‘যো হো গয়া সো হো গয়া’— এই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ বাক্য উপদেশ হিসেবে ঝরে পড়তেই, দিল্লির দাঙ্গাদীর্ণ মানুষ বড়ই প্রশান্তি লাভ করেছিলেন। ‘যো হো গয়া সো হো গয়া’ মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে কোন কোন যন্ত্রণা দিল্লিবাসীদের ভুলতে হয়েছে? স্বজন হারানো, প্রচুর টাকার ব্যবসা ধ্বংস হয়ে রাতারাতি কপর্দকশূন্য হয়ে যাওয়া, মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকু হারিয়ে যাওয়া, স্কুল পুড়ে যাওয়ার ফলে পঠনপাঠন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। যে গভীর দার্শনিক বোধ, যে ললিত শান্তির বাণী এই বাক্যবন্ধটিতে সম্পৃক্ত আছে, তার দ্বিতীয় তুলনা কোথায়! ভবিষ্যতেও এই অসামান্য বাণী একইরকম ভাবে জনগণকে সমৃদ্ধ করবে। ব্যাঙ্ক লাটে উঠে সঞ্চিত সব অর্থ গায়েব হলে, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার তলানিতে ঠেকলে, জীবনদায়ী ওষুধ ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে যদি ভাবা যায় ‘যো হো গয়া...’, তবে গোটা দেশে অনাবিল শান্তি বিরাজ করবে! এর মতবাদের জন্য অজিত দোভালকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। 
নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে যে সঙ্কেত দিতে চেয়েছেন, তা হল, পুলিস তথা নিরাপত্তা বাহিনীকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার নামে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ দমনে ‘তৎপর’ হওয়ার সঙ্কেত। নাগরিক সমাজকে রাষ্ট্রের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ কর্মসূচি দমন করার, অর্থাৎ শাসকের ‘অনুগত’ থাকার সঙ্কেত। স্পষ্টতই, এই সঙ্কেতের প্রথমটি দমন-পীড়নে নিরাপত্তা বাহিনীকে অবাধ ছাড়পত্র, দ্বিতীয়টি হুঁশিয়ারি। দুয়ে মিলে এক ভয়ঙ্কর আশঙ্কা জেগে ওঠে। গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করার আশঙ্কা।
দোভালের পূর্বসূরিদের নিজস্ব স্টাইল ছিল। তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতেন। তাঁদের কেউই কোনও মেরুকরণ মতাদর্শের প্রতি অনুগত ছিলেন না এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘শত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করার মানসিকতাও তাঁদের ছিল না। এই শেষ পর্যায়ে দোভাল তাঁর পূর্বসূরিদের পথ অনুসরণ করলেই ভালো। যদি তাঁর কোনও বিশেষ ‘চতুর্থ-প্রজন্মের যুদ্ধের’ দক্ষতা থাকে, তাহলে তিনি সুশীল সমাজকে টার্গেট না করে, দেশের অভ্যন্তরে বিশেষ করে গোবলয়ের বন্দুকধারীদের দখল করা এলাকাগুলিতে তা প্রয়োগ করুন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজ দেশবাসীকে রক্ষা করা। গভীর পাঁকে আটকে যাওয়া গেরুয়া শিবিরকে উদ্ধার করা নয়!
02nd  December, 2021
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শিশুরাই বিপন্ন
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার মন্ত্রীরা বিরক্তিকরভাবে অনেক কথা বলে চলেন। যেমন—পাকিস্তানের হুমকি, নামোল্লেখহীন এক প্রতিবেশী দেশের (চীন) বৈরিতা, হিন্দুত্ব, সংসদে বিঘ্নসৃষ্টি, আন্দোলনজীবী (বারোমেসে প্রতিবাদী), রাজনীতিতে রাজতন্ত্র/পরিবারতন্ত্র, ৭০ বছরের অনুন্নয়ন, ভারত এক বিশ্বগুরু (বিশ্বের শিক্ষক), এবং আরও অনেক কিছু ।
বিশদ

কংগ্রেসকে নেতৃত্বে রেখে
মোদিকে হটানো যাবে না...
হিমাংশু সিংহ

কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্র করতে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলার তাগিদে। স্রেফ পরিবারতান্ত্রিক সরকার চালানোর জন্য নয়। দুর্ভাগ্য আমাদের, স্বাধীনতার পর সেই আবেগটাকেই একটা পরিবার ‘হাইজ্যাক’ করেছিল। পুরনো ইতিহাস খুঁড়লে এটাই ষোলোআনা সত্যি। বিশদ

05th  December, 2021
পথ দেখাল ত্রিপুরা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ভেবেছিলেন, মমতার দল কিস্যু করতে পারবে না। কিন্তু, অনেক ভয়ভীতি, মারধর সত্ত্বেও আগরতলার ২০শতাংশ ভোটার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। স্রেফ মমতা-ম্যাজিকে। বাংলার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও মমতার নামের পাশে ‘ম্যা঩জিক’ শব্দটি জুড়ে যাচ্ছে।
বিশদ

04th  December, 2021
মাননীয় হাইকমান্ড,
একটু আত্মবিশ্লেষণ করুন
সমৃদ্ধ দত্ত

তৃণমূল কংগ্রেস কেন গোয়ায় লড়াই করতে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন ত্রিপুরায় গিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন মুম্বইয়ে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে?
বিশদ

03rd  December, 2021
বিজেপির উন্নয়ন যেন
চৌর্যবৃত্তির মডেল

সন্দীপন বিশ্বাস

আদতে কোনও রাজনৈতিক দলের অসম্মানেই দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু এসে যায় না। সেটা একটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার, কেন্দ্রের মন্ত্রী, বিজেপির মন্ত্রী যখন এমন কাজ করেন, যাতে দেশের সম্মান ও গৌরব ভূলুণ্ঠিত হয়, তখন তা জাতীয় লজ্জা হিসেবেই দেখা দেয়।
বিশদ

01st  December, 2021
তথ্য সুরক্ষা বিল এবং
শাসকের ‘দূরের লক্ষ্য’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এ দেশের ক্ষেত্রে যদি নজরদারি চালানোটা আইনসিদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো আর আড়াল-আবডালের প্রয়োজনই থাকবে না। সেটাই চাইছে কেন্দ্র। আইনি সিলমোহর। সরকার বিরোধী মতামত দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে সরকারের ভাড়া করা সৈন্যরা। টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবে গারদের ওপারে।​​​​​
বিশদ

30th  November, 2021
প্রভাবশালী ধনীরা
জবাবদিহির ঊর্ধ্বে
পি চিদম্বরম

ধনীরা প্রভাবশালী হয় এবং প্রভাবশালীরা ধনী হয়। একবার প্রভাবশালী এবং ধনী হয়ে গেলে, স্পষ্টতই তারা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাবে। এটাই হয়েছে আজেকর বিপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন শেরম্যান (প্রথম অ্যান্টিট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৯০—সাধারণভাবে যেটিকে শেরম্যান আইন হিসাবে উল্লেখ করা হয়) বিশদ

29th  November, 2021
কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূল
হলে আপত্তি কোথায়?
হিমাংশু সিংহ

গোটা দেশে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধীদের শুকনো গাঙে তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্লবের নয়া কেতন উড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা থেকে গোয়া। জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও মমতাই আজ মোদির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিপক্ষ।
বিশদ

28th  November, 2021
পুরভোটের সন্ত্রাসে বিপদ
বাড়ল ত্রিপুরা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শূন্য প্রমাণের জন্য পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করে বিজেপি নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল। ২০২৩ সালে আর ইউনিট টেস্ট নয়, বিপ্লব দেবকে বসতে হবে বোর্ডের পরীক্ষায়। পরীক্ষকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

27th  November, 2021
কৃষকরা সকলের জন্যই
দিলেন জীবনের শিক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের কাছে একটাই সুসংবাদ যে, তিনি ইতিহাস চর্চা করেন না। যদি করতেন, তাহলে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভারতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখতেন। খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হতো না। কারণ তাঁর হাতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে।
বিশদ

26th  November, 2021
মোদির পিছু হটা কীসের ইঙ্গিত!
মৃণালকান্তি দাস

কে না জানে, একটি শাসকদল পিছু হটে তখনই, যখন সে বুঝতে পারে তার পায়ের তলার মাটি সরছে। পায়ের তলার মাটি একবার সরতে শুরু করলে কী হয় তা বাংলার মানুষ জানেন। সিঙ্গুরেও পিছু হটে নজির গড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবু ডুবেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষের মতামত না নিয়েই জোরজবরদস্তি জমি অধিগ্রহণ করে। মোদির ক্ষেত্রেও তাই। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ছাড়া কৃষিতে সংস্কারমূলক তিনটি আইন আনতে গিয়ে তিনিও ডুবেছেন।
বিশদ

25th  November, 2021
দুঃসময়ের রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী

একতারা হাতে এক বাউল এলেন। কোনও অনুরোধ ছাড়াই একটি প্রচলিত গান গেয়ে হাত পাতলেন। কিছু দেব কি দেব না ইতস্তত করছি। লোকটি আমার মন পড়ে নিলেন নিশ্চয়। কিছু দাবি করার পরিবর্তে প্রশ্ন রাখলেন, ‘বাবু, দুঃসময় কাকে বলে?’ বিশদ

24th  November, 2021
একনজরে
ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...

রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM