Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কৃষকরা সকলের জন্যই
দিলেন জীবনের শিক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

কী শিক্ষা দিয়ে গেল একটি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত? নিছক অনড় অবস্থান থেকে পিছু হটে সরকারের সিদ্ধান্ত বদল? না। এই বার্তা শুধুই বহিরঙ্গে। কিন্তু আদতে অন্তর্নিহিত মেসেজটি অনেক গভীরে। সেটি হল, ২০২১ সালের ভারতে আজও অহিংস গণ আন্দোলনে রাষ্ট্র ভয় পায়। রাষ্ট্র নত হয়। রাষ্ট্র ক্ষমা প্রার্থনা করে। অর্থাৎ রাষ্ট্র যতই নির্বাচনী সংখ্যাগরিষ্ঠতার শক্তিতে এক ইগো সর্বস্ব অতি আত্মবিশ্বাসের উঁচু পাহাড়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার মরিয়া চেষ্টা করুক, তাকে বাস্তবের জল কাদা রোদের মাটিতে টেনে নামানো সম্ভব হয়। 
রাষ্ট্র ও শাসক আজকের এই  অবিশ্বাস্য টেকনোলজি, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন আর ইনফরমেশন বিস্ফোরণের যুগে পুরনো সব প্রথাকে অতীত ও পরিত্যাজ্য হিসেবে তাচ্ছিল্য করেছিল। ভেবেছিল, আমরা যদি পাত্তা না দিই, আমরা যদি গুরুত্ব না দিই, আমরা যদি অগ্রাহ্য করি, তাহ঩লেই একদিন এই রাস্তায় বসে থাকা কৃষকের দল নিজেরাই চলে যাবে মাথা নিচু করে। আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল অবাধ অপপ্রচার, অসম্মান, অপমান। কৃষকদের বলা হয়েছিল অ্যান্টি ন্যাশনাল। খলিস্তানি। আন্দোলনজীবী। কৃষি আইন খুব ভালো। একথা রাষ্ট্র বলেছিল। প্রচার করেছিল। কিন্তু তার থেকে বেশি সেই রাষ্ট্র ও শাসকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল নাগরিক সমাজের বিপুল অংশ। তারাও দোহারের মতো বলে গিয়েছে অবিরত যে, হ্যাঁ, কৃষি আইন ভালো। কৃষকদের নিয়ে হাসাহাসি হয়েছে। কেন? কারণ তাদের মধ্যে শিক্ষিত ইংরেজি জানা যুবক যুবতীদের দেখা গিয়েছে পিৎজা খেতে আন্দোলনস্থলে। অর্থাৎ কৃষকদের পিৎজা খাওয়া বারণ। ইংরেজি জানা বারণ। রাষ্ট্র ও তার এই অনুগামীদের প্রবল এক ঝাঁকুনি দিলেন কৃষকরা। 
রাষ্ট্র এটা দেখতে পায়নি যে, দিল্লির সীমানায় রোদে ঝড়ে বৃষ্টিতে, শীতে খোলা আকাশের নীচে বসে এক বৃদ্ধ জানুয়ারির অপরাহ্নে জোরে জোরে পড়ছিলেন জন রিডের বিখ্যাত বই ‘দুনিয়া কাঁপানো দশদিন’। গুরমুখী ভাষায় অনুবাদ। আর তাঁকে ঘিরে একঝাঁক সাধারণ কৃষক শুনছেন সেই কাহিনি। রাষ্ট্র অবজ্ঞা করেছে তাঁদের, আন্দোলনস্থলের মাদুরে শুয়ে যাঁদের হাতে হাতে ঘুরেছে রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’। কৃষকরা যতটা নরেন্দ্র মোদিকে ধাক্কা দিয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি ধাক্কা দিয়েছেন সেই নাগরিক সমাজকে, যারা এতদিন ধরে কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেছে। কেন? কারণ, এই নাগরিক সমাজ হুজুগে ভেসে থাকে। 
নাগরিক সমাজের সিংহভাগকে সস্তার ইন্টারনেট ডেটা উপহার দিয়ে রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট প্রত্যেককে প্রাইভেট এক সমাজের বাসিন্দা করে দিয়েছে। একজনের সমাজ। একটি করে মোবাইল। অন্তহীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। পোর্টাল। এভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন অথবা জনস্বার্থে দলমতনির্বিশেষে আন্দোলনে শামিল হওয়া থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রমেই। যে কোনও প্রতিবাদে প্রথমেই ফেসবুক খুলে লিখতে ইচ্ছে করে! তাই এই সমাজের কাছে কখনও মিডিয়া ভিলেন। কখনও রাজনীতি ভিলেন। কখনও কর্পোরেট ভিলেন। মনোভাবটি খুব সহজ। আমি ভালো। অন্য সবাই খারাপ। আমাকে মিডিয়া, কর্পোরেট, রাজনীতি খারাপ করে দিচ্ছে। এই ধারণা থেকেই নাগরিক সমাজের বৃহৎ অংশ অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। আর তার ফলে গণ আন্দোলনের শক্তির মর্ম তারা বুঝতেই পারেনি। 
কৃষকরা প্রথম থেকেই বুঝেছিলেন যে, কৃষি আইন নিয়ে সবথেকে বেশি কথা বলছে এই দেশে তারাই, যারা কৃষিটাই বোঝে না। কতটা মাটিতে কতটা সার, কতটা বীজে কতটা জমিতে ফসল হবে, এই দুরূহ সমীকরণের পিছনে যে এক নিবিড় অনুশীলন, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর অভিনিবেশ থাকে, সেটা ক’জন মনে রাখে? তাই নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল, আইন আদালত কারও উপর একান্ত ভরসা করে না থেকে কৃষকরা একটাই কাজ করে গিয়েছেন। দাঁত দাঁত চেপে রাস্তায় বসে থাকা। নাগরিক সমাজের সকলেই কি দূরে সরে থেকেছেন? একেবারেই নয়। লাগাতার কৃষকদের এই অনড় আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বহু যুবক যুবতী মধ্যবয়সি এসে হাজির হয়েছেন আন্দোলনের তাঁবু ও মঞ্চের সামনে।  
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম প্রথম কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। যখন বৈঠক করেছে, তখন কৃষকদের সঙ্গে একসঙ্গে লাঞ্চ করার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রীরা সৌহার্দ্য  দেখিয়েছেন। যাতে প্রমাণ হয়, তাঁরা কৃষকদরদি। কিন্তু তিন কৃষি আইনে সবথেকে লাভ হবে কর্পোরেটের। আর সেই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় হয়ে রইলেন কৃষকরা। একদিন সেটা বুঝে গেল সরকার। আর তারপর থেকেই কৃষক দরদি মুখোশটা খুলে গেল। আধুনিক রাষ্ট্র কৃষক দরদি, শ্রমিক দরদি হতেই পারে না। তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য সর্বদাই ঩বিশ্ববাণিজ্যে প্রমাণ করা যে, এই রাষ্ট্র প্রাইভেটাইজেশনের পূজারি। আর সেটা করতে হলে সবার আগে কর্পোরেট এবং কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থের মধ্যে যে কোনও একটি দিক বেছে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাশিতভাবেই বেছে নিয়েছে কর্পোরেটের দিকটি। তাই দ্রুত কৃষকদের গায়ে তকমা দেওয়া হয়েছে অ্যান্টি ন্যাশনাল। 
নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের কাছে একটাই সুসংবাদ যে, তিনি ইতিহাস চর্চা করেন না। যদি করতেন, তাহলে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভারতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখতেন। খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হতো না। কারণ তাঁর হাতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে। ১৯২৮ সালে গুজরাতের বরদোলিতে (তখন গুজরাত নামক রাজ্য ছিল না) প্রবল কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের কালা কানুনের বিরুদ্ধে। কৃষকদের উপর প্রভূত অত্যাচার হয়। বিপুল ট্যাক্স আরোপ করা হয়। কারারুদ্ধ করা হয় আন্দোলনরতদের। কিন্তু কৃষকদের দমানো যায়নি। এবং কৃষকদের ওই লাগাতার বিদ্রোহ ও আন্দোলনের চাপে পিছু হটে ব্রিটিশ সরকার। ২২ শতাংশ করবৃদ্ধি কমিয়ে আনা হয় ৬ শতাংশে। জয় হয় কৃষকদের।  ওই কৃষক সত্যাগ্রহের অন্যতম নেতা ছিলেন এক কৃষকসন্তান। তিনি ১৯৩১ সালে করাচিতে আয়োজিত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আপ্লুত সেই নতুন কংগ্রেস সভাপতি ভাষণে বলেছিলেন, আজ আপনারা সামান্য এক কৃষকসন্তানকে ভারতের এই সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত করলেন। এ আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। আমি নিশ্চিত যে এই সম্মান আসলে গুজরাতের কৃষকদের। এই নতুন সভাপতির নাম ছিল বল্লভভাই প্যাটেল। বরদোলি সত্যাগ্রহের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় থেকেই তাঁকে অভিহিত করা হয়েছিল ‘সর্দার’ নামে। সর্দার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন সাধারণ মহিলাদের। যাঁরা খাদি পরে, চরকা কেটে, গান গেয়ে, প্রতিদিন রান্না করে, খাবার বিলি করে কৃষক আন্দোলনকে সজীব রেখেছেন দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। 
ঠিক এই চিত্রই দেখা যায় ২০২০ থেকে ২০২১ সালের গত এক বছরে। কৃষক আন্দোলনে। এই এক বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাতবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন। একবারও কৃষকদের আন্দোলনস্থলে আসেননি। এলে দেখতে পেতেন, ১৯২৮ সালের বরদোলি আন্দোলনেরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে দিল্লির সীমান্তে। রাষ্ট্র যখন নিজের দেশের ইতিহাস ভুলে গিয়ে নিজের ঐতিহ্যকেই অস্বীকার করে, তখনই সেই রাষ্ট্রের আসে দুঃসময়। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মোদিজির কাছে রোল মডেল।  তাহলে তাঁর একটি অমোঘ বাক্য মোদি রাখলেন না কেন? সর্দার বলেছিলেন, ‘কৃষক প্রাণের সঞ্চার ঘটায়, গোটা বিশ্বের মুখে খাদ্য জোগায়। আর সবথেকে বেশি পীড়নের শিকার হয় এই কৃষকই। তাই কৃষকের শক্তিকে অবহেলা করা সবথেকে বড় ভুল শাসকের।’ মোদি একই ভুল করেছেন প্যাটেলের অনুগামী হয়েও। 
আমরা সাধারণ নাগরিক সমাজ বিগত কয়েকমাস ধরে ক্রমেই আগ্রহ ও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমরা আর অত বেশি বেশি আলোচনা করতাম না কৃষক আন্দোলন নিয়ে। তাঁরা যে এখনও ওই একইভাবে অহিংস আন্দোলনে বসে আছেন, এটা আমরা ধীরে ধীরে ভোট, দুর্গাপুজো, আইপিএলের স্রোতে ভুলেই যাচ্ছিলাম। কম কম আলোচনা হতো আজকাল। আচমকা জিতে গিয়ে আমাদের সজোরে ধাক্কা দিলেন কৃষকরা। আমরা হতচকিত হয়ে দেখলাম, আত্মবিশ্বাসী আন্দোলনের কী বিপুল শক্তি! 
কৃষকরা জানতেন, এই লড়াই তাঁদের আগামীতে বাঁচার লড়াই। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। তাই তাঁরা অনড় রইলেন। ভারতবর্ষকে আবার উদ্বুদ্ধ করে বার্তা দিলেন যে, যত বড় শক্তিশালীই হোক, কোনও শাসকই লার্জার দ্যান লাইফ নয়। কেউ সুপারম্যান নয়। কেউ অপরাজেয় নয়। জনগণমনঅধিনায়ক হতে হলে মাটিতে নামতে হবে। নামতে রাজি না হলে? বাধ্য করতে হবে। কৃষকরা পারলেন! তাঁরা আমাদের মতো সাধারণ মানুষকেও আজীবনের মন্ত্র দিলেন যে, ধৈর্য আর সহনশীলতা বজায় রেখে, কঠোর আত্মত্যাগেও লক্ষ্য অবিচল থাকলে, জয় একদিন আসবেই! আমাদের যেন ভরসা হল, আমরাও তাহলে জীবনের ছোট ছোট লড়াইগুলো জিততে পারি! হাল ছাড়তে নেই!
26th  November, 2021
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শিশুরাই বিপন্ন
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার মন্ত্রীরা বিরক্তিকরভাবে অনেক কথা বলে চলেন। যেমন—পাকিস্তানের হুমকি, নামোল্লেখহীন এক প্রতিবেশী দেশের (চীন) বৈরিতা, হিন্দুত্ব, সংসদে বিঘ্নসৃষ্টি, আন্দোলনজীবী (বারোমেসে প্রতিবাদী), রাজনীতিতে রাজতন্ত্র/পরিবারতন্ত্র, ৭০ বছরের অনুন্নয়ন, ভারত এক বিশ্বগুরু (বিশ্বের শিক্ষক), এবং আরও অনেক কিছু ।
বিশদ

কংগ্রেসকে নেতৃত্বে রেখে
মোদিকে হটানো যাবে না...
হিমাংশু সিংহ

কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্র করতে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলার তাগিদে। স্রেফ পরিবারতান্ত্রিক সরকার চালানোর জন্য নয়। দুর্ভাগ্য আমাদের, স্বাধীনতার পর সেই আবেগটাকেই একটা পরিবার ‘হাইজ্যাক’ করেছিল। পুরনো ইতিহাস খুঁড়লে এটাই ষোলোআনা সত্যি। বিশদ

05th  December, 2021
পথ দেখাল ত্রিপুরা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ভেবেছিলেন, মমতার দল কিস্যু করতে পারবে না। কিন্তু, অনেক ভয়ভীতি, মারধর সত্ত্বেও আগরতলার ২০শতাংশ ভোটার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। স্রেফ মমতা-ম্যাজিকে। বাংলার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও মমতার নামের পাশে ‘ম্যা঩জিক’ শব্দটি জুড়ে যাচ্ছে।
বিশদ

04th  December, 2021
মাননীয় হাইকমান্ড,
একটু আত্মবিশ্লেষণ করুন
সমৃদ্ধ দত্ত

তৃণমূল কংগ্রেস কেন গোয়ায় লড়াই করতে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন ত্রিপুরায় গিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন মুম্বইয়ে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে?
বিশদ

03rd  December, 2021
দোভাল দর্শনে ভীত
নাগরিক সমাজ!
মৃণালকান্তি দাস

নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে যে সঙ্কেত দিতে চেয়েছেন, তা হল, পুলিস তথা নিরাপত্তা বাহিনীকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার নামে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ দমনে ‘তৎপর’ হওয়ার সঙ্কেত। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজ দেশবাসীকে রক্ষা করা। গভীর পাঁকে আটকে যাওয়া গেরুয়া শিবিরকে উদ্ধার করা নয়!
বিশদ

02nd  December, 2021
বিজেপির উন্নয়ন যেন
চৌর্যবৃত্তির মডেল

সন্দীপন বিশ্বাস

আদতে কোনও রাজনৈতিক দলের অসম্মানেই দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু এসে যায় না। সেটা একটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার, কেন্দ্রের মন্ত্রী, বিজেপির মন্ত্রী যখন এমন কাজ করেন, যাতে দেশের সম্মান ও গৌরব ভূলুণ্ঠিত হয়, তখন তা জাতীয় লজ্জা হিসেবেই দেখা দেয়।
বিশদ

01st  December, 2021
তথ্য সুরক্ষা বিল এবং
শাসকের ‘দূরের লক্ষ্য’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এ দেশের ক্ষেত্রে যদি নজরদারি চালানোটা আইনসিদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো আর আড়াল-আবডালের প্রয়োজনই থাকবে না। সেটাই চাইছে কেন্দ্র। আইনি সিলমোহর। সরকার বিরোধী মতামত দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে সরকারের ভাড়া করা সৈন্যরা। টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবে গারদের ওপারে।​​​​​
বিশদ

30th  November, 2021
প্রভাবশালী ধনীরা
জবাবদিহির ঊর্ধ্বে
পি চিদম্বরম

ধনীরা প্রভাবশালী হয় এবং প্রভাবশালীরা ধনী হয়। একবার প্রভাবশালী এবং ধনী হয়ে গেলে, স্পষ্টতই তারা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাবে। এটাই হয়েছে আজেকর বিপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন শেরম্যান (প্রথম অ্যান্টিট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৯০—সাধারণভাবে যেটিকে শেরম্যান আইন হিসাবে উল্লেখ করা হয়) বিশদ

29th  November, 2021
কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূল
হলে আপত্তি কোথায়?
হিমাংশু সিংহ

গোটা দেশে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধীদের শুকনো গাঙে তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্লবের নয়া কেতন উড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা থেকে গোয়া। জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও মমতাই আজ মোদির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিপক্ষ।
বিশদ

28th  November, 2021
পুরভোটের সন্ত্রাসে বিপদ
বাড়ল ত্রিপুরা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শূন্য প্রমাণের জন্য পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করে বিজেপি নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল। ২০২৩ সালে আর ইউনিট টেস্ট নয়, বিপ্লব দেবকে বসতে হবে বোর্ডের পরীক্ষায়। পরীক্ষকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

27th  November, 2021
মোদির পিছু হটা কীসের ইঙ্গিত!
মৃণালকান্তি দাস

কে না জানে, একটি শাসকদল পিছু হটে তখনই, যখন সে বুঝতে পারে তার পায়ের তলার মাটি সরছে। পায়ের তলার মাটি একবার সরতে শুরু করলে কী হয় তা বাংলার মানুষ জানেন। সিঙ্গুরেও পিছু হটে নজির গড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবু ডুবেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষের মতামত না নিয়েই জোরজবরদস্তি জমি অধিগ্রহণ করে। মোদির ক্ষেত্রেও তাই। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ছাড়া কৃষিতে সংস্কারমূলক তিনটি আইন আনতে গিয়ে তিনিও ডুবেছেন।
বিশদ

25th  November, 2021
দুঃসময়ের রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী

একতারা হাতে এক বাউল এলেন। কোনও অনুরোধ ছাড়াই একটি প্রচলিত গান গেয়ে হাত পাতলেন। কিছু দেব কি দেব না ইতস্তত করছি। লোকটি আমার মন পড়ে নিলেন নিশ্চয়। কিছু দাবি করার পরিবর্তে প্রশ্ন রাখলেন, ‘বাবু, দুঃসময় কাকে বলে?’ বিশদ

24th  November, 2021
একনজরে
ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...

কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM