ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
রিপোর্টে রেলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জানিয়েছে, দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রা শুরুর অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আগে তার প্রথম যাত্রী সংরক্ষণ তালিকা তৈরি করে ফেলা হয়। টিকিট কনফার্ম না হওয়া যাত্রীরা পড়ে থাকেন আরএসি (রিজার্ভেশন এগেইনস্ট ক্যানসেলেশন) অথবা ওয়েট লিস্টে। যেমন যেমন কনফার্ম টিকিট বাতিল অথবা আপডেট হয়, সেইমতো আরএসি বা ওয়েট লিস্টের যাত্রীদের আসন সংরক্ষণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট থেকে পাঁচ মিনিট আগে পর্যন্ত সময়ে দ্বিতীয় যাত্রী সংরক্ষণ তালিকা প্রস্তুত করে রেল। এই সময়ে কোনও যাত্রী অনলাইনে অথবা পিআরএস কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে পারেন। কার্যত এর যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে রেলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সুপারিশে তারা বলেছে, সেকেন্ড রিজার্ভেশন চার্ট তৈরির আদৌ প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা রেলের খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ এই সময়ে কাটা টিকিট কনফার্ম হওয়া প্রায় অসম্ভব, যেহেতু তার আগে হাজার হাজার টিকিট আরএসি অথবা ওয়েট লিস্টে আছে। এই প্রসঙ্গেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আশঙ্কা, এর ফলে দালালদের রমরমা বাড়ে। কারণ ‘লাস্ট মিনিট রাশ’ সামাল দিতে অনেকেই বেআইনি পদ্ধতির আশ্রয় নেন। উল্লেখ্য, দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট কনফার্মেশন অনেক সময়ই সাধারণ যাত্রীদের জন্য বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। সম্প্রতি এক আরটিআইয়ের জবাবে রেল বোর্ড জানিয়েছিল, টিকিট কনফার্ম না হওয়ায় চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ২১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৪৮ জন যাত্রীকে ট্রেনে জায়গা দেওয়া যায়নি। পরবর্তী ত্রৈমাসিকে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩১ লক্ষ ১০ হাজার ৭৯৩। এই সামগ্রিক বিচারেই সংশ্লিষ্ট কমিটির সুপারিশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।