ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
মোদি জমানায় পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারে। দাম বেড়েছে সব কিছুর। এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পায়নি পুলিসও। শুধু থানা-ফাঁড়ি নয়, খোদ ভিআইপি নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই শাখাও এই সমস্যায় ভুগছে। এই শাখাই প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সহ ভিআইপিদের সুরক্ষার দায়িত্বে। ভিন রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বা ভিআইপি এলে তাঁদের নিরাপত্তাও দেয় এই শাখা। প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০টি গাড়ি চলে এই শাখায়। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে গেলে রাজ্য পুলিসের এই শাখার নিরাপত্তারক্ষীরাই দু’দিন আগে সেখানে পৌঁছে যান গাড়ি নিয়ে। এমনকী, দূরবর্তী জেলাতেও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন এই নিরাপত্তারক্ষীরা। একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীও দপ্তরের কাজে নানা সময়ে জেলাগুলিতে যান। সেই সময়েও তাঁদের নিরাপত্তা দিতে গাড়ি নিয়ে ছোটেন এই শাখার পুলিস কর্মীরা।
রাজ্য পুলিস সূত্রে খূবর, নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলিতে জ্বালানি সরবরাহ করে বিভিন্ন তেল কোম্পানি। অনেকদিন ধরেই তারা ধারে তেল দিয়ে আসছে এই শাখাকে। বকেয়ার অঙ্ক বেড়ে এখন ৫৯ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৬৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তেল সংস্থাগুলি পুলিসকে জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া না মেটালে তাদের পক্ষে জ্বালানি তেল দেওয়া সম্ভব নয়।
এই হুঁশিয়ারিতেই ফাঁপরে পড়েছেন পুলিস কর্তারা। চলতি আর্থিক বছরে অর্থদপ্তর বাড়তি টাকা দিতে চাইছে না। তবে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য ভিআইপিদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ যেখানে জড়িত, তাই এই খাতে অর্থ বরাদ্দ সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নবান্নের সঙ্গে এ নিয়ে রাজ্য পুলিসের কর্তাদের কথা হয়েছে বলে খবর। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট শাখার ভারপ্রাপ্ত এডিজি বিবেক সহায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁকে ধরা যায়নি। অবশ্য হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তা দেখলেও কোনও বক্তব্য জানাননি তিনি।