ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার বলেন, যা পটাশ প্রয়োজন তার এক চতুর্থাংশও আমাদের জন্য বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। এরজন্য বরাদ্দ বাড়াতে কৃষিমন্ত্রী তৎপর হয়েছেন। আমরা লিক্যুইড পটাশ ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছি। তার পাশাপাশি সারের কালোবাজারি রুখতে আমরা তৎপর হয়েছি।
বাংলার মসনদ দখল করতে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে রাজ্যের কৃষকদের জন্য গালভরা ‘গল্প’ শুনিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। নানা প্রতিশ্রুতি ঝরে পড়লেও তার সঙ্গে যে বাস্তবতার কোনও মিল নেই, ফের তা প্রমাণ হল। ধান উৎপাদনে যেমন বাংলা প্রথম তেমনই আলু চাষেও পিছিয়ে নেই এখানকার চাষিরা। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া সহ বেশকিছু জেলায় বিপুল পরিমাণ আলু চাষ হয়। আলুচাষেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় পটাশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আলু হল রূপান্তরিত কাণ্ড। আলুর পাতায় সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন হওয়ার পর তা কাণ্ডে নিয়ে যেতে ক্যারিয়ারের ভূমিকা নেয় পটাশ। তাই পটাশ বাদ দিয়ে সার ব্যবহার করলে আলু গাছের পাতা বড় হলেও উৎপাদন কমে যাবে। এখানকার চাষিরা ১০:২৬:২৬ মিশ্র সার আলুতে বেশি ব্যবহার করেন। কিন্তু পটাশের অভাবে এই সারের ব্যাপক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। মিউরেট অব পটাশ সার ভারতকে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই রাজ্য চাইলেও তার জোগান বাড়াতে পারবে না। এই অবস্থায় লিক্যুইড পটাশ ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। এটি পাতায় স্প্রে করতে হয়। যদিও এর কার্যকারিতা মিউরেট অব পটাশের থেকে কম। কাজ চালাতে এখন এটিকেই হাতিয়ার করছে কৃষিদপ্তর।
এদিকে পটাশের ঘাটতির জন্য সারের কালোবাজারি আটকানোই প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বেআইনি মজুত ঠেকাতে তৎপরতা নেওয়া হয়েছে। বাজারগুলিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। যাতে চাষিদের কাছে বাড়তি দাম না নেওয়া হয় বা সঙ্গে কোনও অনুখাদ্য নিতে বাধ্য না করানো হয়। এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার কৃষিক্ষেত্রে কেন্দ্রের বঞ্চনা এই প্রথম নয়। ধান কেনার ক্ষেত্রেও বিমাতৃসুলভ আচরণ করে কেন্দ্র। অন্যান্য রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে কেন্দ্র বিপুল পরিমাণ ধান কিনলেও বাংলা থেকে ন্যূনতম ধান সংগ্রহ করে। বাকি ধান রাজ্যকে কিনতে হওয়ায় বাড়তি বোঝা চাপে।