ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
হিলি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। এনিয়ে আমরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। যদিও কিছু গাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। ফলে পণ্য কমে যাচ্ছে। ট্রাকমালিকরা আচমকা ধর্মঘট ডেকেছেন। আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। এতে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। বালুরঘাট ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক বাপ্পা সাহা বলেন, আমরা এপার থেকে যে গাড়িগুলি বাংলাদেশে পাঠাচ্ছি, সেগুলিতে ওপারে পণ্য ওজনে কম দেখানো হচ্ছে। এক্সপোর্টাররা আমাদের কাছে সেই পণ্যের দাম নিচ্ছেন। তেলের যে দাম তাতে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছি। তারপরে এভাবে যদি টাকা নিজের পকেট থেকে যায়, আমাদের প্রচুর টাকা ক্ষতি হবে। এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। ট্রাক থেকে পণ্য চুরির অভিযোগ মিথ্যা। কিছু গাড়িতে চুরি হয়। তবে প্রত্যেক গাড়িতে পণ্য কম হবে, এটা মানা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যা করছেন, তা খুবই অন্যায়।
হিলি ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সুজন ঘোষ বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের যা ভাড়া দিচ্ছেন, তার অর্ধেক পণ্য কমের জন্য কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা কেন নিজেদের পকেট থেকে টাকা দেব? আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র দিয়ে প্রতিদিন ২০০’র বেশি লরি পণ্য নিয়ে ওপারের পানামা বন্দরে যায়। আবার ওপার থেকে কিছু লরি পণ্য নিয়ে ফিরে আসে। অধিকাংশ লরি ৩০-৪০ টন পণ্য নিয়ে যায় ওপারে। অভিযোগ, প্রতিটি ট্রাকে বেশকিছু দিন ধরে বাংলাদেশে যাওয়ার পর ওজন কম হচ্ছে। এপার থেকে ওজন করে পাঠানোর পরে কীভাবে ওপারে গিয়ে ওজন কম হচ্ছে, তা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। তারইমধ্যে ওজন কম নিয়ে এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রাকমালিক সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে এনিয়ে প্রচুর টাকার কর লোকসান হচ্ছে সরকারের। এভাবে আরও কয়েকদিন চললে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে তার প্রভাব পড়বে।