ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
জেলা সভাপতি মাস খানেক আগে ব্লক সভাপতি হিসেবে তাঁর নিজের ‘পছন্দের’ নামের তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন বলে খবর। আবার দলের অন্য স্তর থেকেও ব্লক সভাপতি হিসেবে কিছু নামের সুপারিশ গিয়েছে। সবদিক বিচার করে ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত হবে।
কিন্তু, ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণার হওয়ার পর জেলায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, এবারের বিধানসভা নির্বাচনের কিছু আগে তৃণমূল জেলার ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করে। তারপরই বেশ কয়েকটি জায়গায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে দলকে রীতিমতো ফাঁপরে পড়তে হয়েছিল। যদিও এবার ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা হলেও তেমন কোনও সমস্যা হবে না বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দাবি।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, দলের রাজ্য স্তর থেকে নাম চাওয়ার পরই আমি ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা পাঠিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত জেলার ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা হবে। অন্যান্য জায়গা থেকেও ব্লক সভাপতিদের নামের সুপারিশ যেতে পারে। তবে ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা হওয়ার পর দলের অন্দরে কোনও সমস্যা হবে না বলে আশা করছি।
কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কোনও ঘটনা নয়। অতীতেও নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার সামনে এসেছে। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে দল খেসারত দিয়েছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের ফলাফল তার বড় উদাহরণ। এখানে ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই দল পরাজিত হয়। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অনেকেই মনে করেছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সব বিধানসভা জয়ের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট দিশা ঠিক না করা সহ একাধিক কারণে দলের এই হার হয়েছিল। ফল ঘোষণার পরই তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে সরিয়ে দেয়।
কিন্তু, তারপরও অবস্থার হেরফের হয়নি। দিনহাটা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল রেকর্ড ভোটে জয়ী হলেও সম্প্রতি সিতাই বিধানসভার দিনহাটা-১ ব্লকে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তে নেমে নেতৃত্ব ওই ব্লকের এক নেতাকে থেকে বহিষ্কার করেছে। যা মেনে নিতে পারেননি সিতাইয়ের বিধায়কও।