Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মাননীয় হাইকমান্ড,
একটু আত্মবিশ্লেষণ করুন
সমৃদ্ধ দত্ত

তৃণমূল কংগ্রেস কেন গোয়ায় লড়াই করতে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন ত্রিপুরায় গিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন মুম্বইয়ে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে? কখনও অসম, কখনও মেঘালয়ে অন্য দলে ফাটল ধরিয়ে সেই দলের নেতানেত্রীদের নিজেদের দলে যোগদান করাচ্ছে কেন তৃণমূল? কংগ্রেসের রাগ হয়েছে। সিপিএমেরও রাগ হয়েছে। খুবই স্বাভাবিক। নিজের দল ভেঙে যাচ্ছে কিংবা দুর্বল হচ্ছে, এটা কোনও দলই পছন্দ করবে না। এক্ষেত্রে দুটি প্রশ্নকে সামনে রেখে সেই রাগকে কংগ্রেস ও সিপিএমের বিশ্লেষণ করা দরকার ছিল। প্রথম প্রশ্ন, তৃণমূল কেন এরকম ‘অনৈতিক’ কাজ করছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন, আমরা কেন দলকে শক্তিশালী রাখতে পারছি না? কংগ্রেস ও সিপিএম সহজ পথ নিয়েছে। অর্থাৎ প্রথম প্রশ্নটি। আমার দল দুর্বল হচ্ছে। সেজন্য তৃণমূল দায়ী। আমার দোষ নেই । আমার দলকে মানুষ ভোট দিচ্ছে না, সেটা তৃণমূলের অপরাধ। আমার কোনও দায় নেই। কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতানেত্রীরা এই যুক্তিতে অনড় থেকে বেশি বেশি প্রচার করতেই পারেন। কারণ, এটা আসলে, তাঁদের নিজেদের দায় এড়ানোর যুক্তি। নিজেদের অপরাধস্খলনের প্রয়াস। তাঁরা তা করুন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই নেতানেত্রীদের অনুসরণ করে কংগ্রেস এবং সিপিএমের সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা কেন একইসুরে তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন? তাঁরা তো নিজেদের দলের নেতানেত্রীদের ফাঁদে পা দিয়ে তাঁদেরই সুবিধা করে দিচ্ছেন! কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা বরং সরাসরি নিজের দলের নেতানেত্রীদের প্রশ্ন করুন যে, তৃণমূল একটি রাজনৈতিক দল। সে নিজের ডালপালা বিস্তার করতেই চাইবে। যে আঞ্চলিক, সে চাইবে জাতীয় স্তরে পা রাখতে। সে সফল হতে পারে। ব্যর্থও হতে পারে। এই রাজনৈতিক উচ্চাশায় অন্যায়টা কী আছে বোঝা গেল না। কিন্তু সিম্পল প্রশ্ন করুন, আপনার দল কেন ব্যর্থ? 
কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মী সমর্থকদের প্রশ্ন হওয়া দরকার যে, আমাদের দলের থেকে মানুষ কেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে? আমাদের দলের অগ্রগতির জন্য আপনারা অর্থাৎ এই নেতানেত্রীরা কী করেছেন? গত পাঁচ বছরের একটি প্ল্যান দেখান যে, আপনারা আমাদের দলকে শক্তিশালী করার জন্য একটি সফল রূপরেখা তৈরি করেছেন। আমাদের কোনও ইস্যুতে মানুষের সাড়া পাই না কেন? আমাদের মানুষ সিরিয়াসলি নিচ্ছে না কেন? প্রশ্ন করুন, আদৌ কি আপনারা কংগ্রেস ও সিপিএমের মতো দুটি ঐতিহ্যশালী দলের সর্বোচ্চ স্তরের নেতানেত্রী হওয়ার যোগ্য? কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের উচিত তৃণমূলের এই রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে নিজেদের সম্প্রসারিত করার মরিয়া চেষ্টা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ সমালোচনা না করে নিজেদের দলের হাইকমান্ডদের এইসব প্রশ্ন করা যে, তৃণমূল তো সেদিনের দল। মাত্র ২৩ বছর বয়স। তাদের ভয়ে আমাদের কুঁকড়ে থাকতে হচ্ছে কেন? কেন প্রতিনিয়ত এই ২৩ বছরের দলটি  নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ করে রাখতে সক্ষম হচ্ছে? কেন আমরা পারছি না? এভাবে প্রশ্ন করলেই দেখা যাবে, কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতৃত্ব ভয় পাবেন। তাঁরা বুঝবেন, এবার পালে বাঘ পড়েছে। এবার আমাদের কর্মী সমর্থকরা সঠিক সমস্যার জায়গাটি চিহ্নিত করে বাস্তববাদী হয়েছে। অর্থাৎ এবার আমাদের  অযোগ্যতা বেআব্রু হয়ে যাচ্ছে। 
কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মী সমর্থককুলকে তাঁদের নেতারা নিজেদের অপদার্থতা থেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের দলকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, ভোটের এই বাস্তব ফলাফলের জন্য তৃণমূল দায়ী হবে কেন? কংগ্রেস ত্রিপুরায় মুছে গিয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক কী? বিজেপি এসেছে, কংগ্রেস ও সিপিএমকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছে। এর অর্থ কী? এর অর্থ হল, কংগ্রেস ও সিপিএম নিজেদের দল রাখতে পারেনি। সমর্থক ধরে রাখতে পারেনি। ভোটব্যাঙ্ক ছিনতাই হয়ে গিয়েছে। 
তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও সিপিএমের সবথেকে বড় অভিযোগ হল, আসলে তৃণমূল বিজেপির বন্ধু। তাই রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী ভোটে বিভাজন ঘটাতেই তৃণমূল ময়দানে নেমেছে ওইসব রাজ্যে। যেমন গোয়া, যেমন ত্রিপুরা, যেমন মেঘালয় ইত্যাদি। এই অভিযোগটির অন্তর্নিহিত মেসেজটি কী? সেটা হল, কংগ্রেস চায় আমি খোলা মাঠে গোল করব। বিজেপির প্রতি ভোটাররা যখন বিরক্ত হবে, তখন যেন একমাত্র বিরোধী ও বিকল্প হিসেবে কংগ্রেসকেই দেখা যায়। সুতরাং, মানুষের যেন আর কোনও অপশন  না থাকে। কংগ্রেস এটা কেন মনে করছে যে, যখনই বিজেপি বিরোধী তৃতীয় শক্তির আগমন ঘটবে, তখনই আমার জমি কেঁপে উঠবে? কংগ্রেসের এই কনফিডেন্স নেই কেন, আমি যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী শক্তি, সেখানে আমিই শেষ কথা হওয়ার মতো শক্তি ও সাংগঠনিক প্রভাব অর্জন করেছি? অন্য কোনও দল এলেও সে আমার আসন টলাতে পারবে না? সে তৃণমূল কিংবা আম আদমি পার্টি যতই আসুক না কেন? কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব আসলে লড়াই করার মানসিকতা আর প্রবল একরোখা রাজনৈতিক আগ্রাসী মনোভাবটি হারিয়ে ফেলেছে। তাই প্রতিপক্ষ দেখলেই ভয় পায়। সে যত ক্ষুদ্র প্রতিপক্ষই হোক। 
কংগ্রেসের এই আতঙ্ক অত্যন্ত স্বাভাবিক। কারণ, বছরের পর বছর এটাই হয়ে আসছে সাম্প্রতিক ইতিহাসে। যে রাজ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস ছাড়াও অন্য বিরোধী দল আছে, সেখানেই কংগ্রেস পিছনের সারিতে চলে যেতে থাকে। ক্রমে একসময় গুরুত্বহীন হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশে যেই সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির উত্থান ঘটল, কংগ্রেস জমি হারাতে শুরু করল। তখন কোথায় তৃণমূল? সেই হারানো জমি, হারানো ভোটব্যাঙ্ক কংগ্রেস আজও ফিরে পেল না। দলিত ভোট নিয়ে চলে গেলেন মায়াবতী। যাদব ও মুসলিম ভোট কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিলেন মুলায়ম সিং যাদব। উচ্চবর্ণের ভোট দখল করল বিজেপি। কংগ্রেসের হাতে কী রইল? 
কংগ্রেস এখন কোন কোন রাজ্যে এককভাবে শক্তিশালী? ঠিক যেখানে যেখানে কোনও তৃতীয় পক্ষ নেই। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, গোয়া, কেরল, পাঞ্জাব, গুজরাত। হয় কংগ্রেস বনাম বিজেপি। অথবা কংগ্রেস বনাম সিপিএম। কিংবা কংগ্রেস বনাম অকালি দল। অর্থাৎ দুটি দল প্রতিপক্ষ। তৃতীয় কেউ নেই। যে কোনও একটি দল ক্ষমতায় আসবে ভোট থেকে ভোটান্তরে। এই তালিকায় এতকাল ধরে ছিল দিল্লি। কিন্তু মাত্র এক বছর বয়সি একটা দল কংগ্রেসকে সরিয়ে বিজেপি বিরোধী জায়গাটি কায়েম করে নিল শুধু নয়, লাগাতার বিজেপিকে হারিয়ে সরকারও গঠন করে চলেছে। আম আদমি পার্টি। এবার সেই আম আদমি পার্টি যেই পাঞ্জাবে পা রাখছে, আবার কংগ্রেসের অন্দরে আশঙ্কার ছায়া। ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টি বিপুলভাবে সাফল্য পেয়েছে গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে এই রাজ্যে। অর্থাৎ যেখানেই তৃতীয় শক্তির উদয় হয়, সে ব্যর্থ হয় না। বরং ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় স্থান তাকে ছেড়ে দেয় কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র। সর্বত্র বিজেপির বিরুদ্ধে আর একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক দল আছে। ওইসব রাজ্যে কংগ্রেস সর্বদাই তৃতীয় পক্ষ। এসব কার দোষে? তৃণমূলের? 
তেলেঙ্গানা নামক নতুন রাষ্ট্র কে দিল? ইউপিএ সরকার। সেই প্রচার করতে পেরেছে কংগ্রেস? পারেনি। তাহলে তেলেঙ্গানায় এখন ক্রমেই তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বনাম বিজেপির লড়াই হচ্ছে কেন? কোথায় কংগ্রেস? অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে কোথায় কংগ্রেস? কেন নেই? যে দক্ষিণ ভারত ১৯৭৭ সালে গোটা উত্তর ভারতের ইন্দিরা গান্ধী বিরোধী ঝড়ের বিপরীত অবস্থানে দাঁড়িয়ে শ্রীমতী গান্ধীকে বিপুল ভোট দিয়েছিল, সেই দাক্ষিণাত্যে কংগ্রেস কেন শক্তিশালী হতে পারছে না? কেন কর্ণাটকে দেবগৌড়ার দলের সাহায্য ছাড়া কংগ্রেসের একার পক্ষে বিজেপিকে ঠেকানো সম্ভব হয় না? তৃণমূলের দোষ? গুজরাত কেন নরেন্দ্র মোদি প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি জমিদারির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে গেল? কার দোষে? তৃণমূলের? উত্তর পূর্ব ভারতে কংগ্রেস কেন ক্রমেই গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছে? ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস সবেমাত্র পা রাখল, আর তৎক্ষণাৎ সাফল্য পেল কেন? কোথায় কংগ্রেস? 
সুতরাং, তৃণমূল কেন আমাদের পাড়ায় মাঠে খেলতে এসেছে! এই শিশুসুলভ কান্নাকাটি না করে কংগ্রেস হাইকমান্ড বরং টুইটার ছেড়ে আগ্রাসীভাবে ময়দানে নেমে বিজেপি বিরোধিতা করুক। মানুষের স্বার্থে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছুটে ছুটে যাক। জনতা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও সজাগ। জনতার আস্থা অর্জনকেই পাখির চোখ করুন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সারাক্ষণ অন্য দল, রেফারি, দর্শক এবং প্লেয়িং কন্ডিশনকে  দোষারোপ করে কারা? যারা সর্বদাই হেরে যায়! ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ছিল ২০৬। ২০১৪ সালে ৪৪! কার দোষে? ২০০৪ সালে লোকসভায় বাংলা থেকে বামফ্রন্টের আসন সংখ্যা ছিল ৩৫। ২০১৯ সালে শূন্য! কার দোষে?
03rd  December, 2021
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শিশুরাই বিপন্ন
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার মন্ত্রীরা বিরক্তিকরভাবে অনেক কথা বলে চলেন। যেমন—পাকিস্তানের হুমকি, নামোল্লেখহীন এক প্রতিবেশী দেশের (চীন) বৈরিতা, হিন্দুত্ব, সংসদে বিঘ্নসৃষ্টি, আন্দোলনজীবী (বারোমেসে প্রতিবাদী), রাজনীতিতে রাজতন্ত্র/পরিবারতন্ত্র, ৭০ বছরের অনুন্নয়ন, ভারত এক বিশ্বগুরু (বিশ্বের শিক্ষক), এবং আরও অনেক কিছু ।
বিশদ

কংগ্রেসকে নেতৃত্বে রেখে
মোদিকে হটানো যাবে না...
হিমাংশু সিংহ

কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্র করতে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলার তাগিদে। স্রেফ পরিবারতান্ত্রিক সরকার চালানোর জন্য নয়। দুর্ভাগ্য আমাদের, স্বাধীনতার পর সেই আবেগটাকেই একটা পরিবার ‘হাইজ্যাক’ করেছিল। পুরনো ইতিহাস খুঁড়লে এটাই ষোলোআনা সত্যি। বিশদ

05th  December, 2021
পথ দেখাল ত্রিপুরা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ভেবেছিলেন, মমতার দল কিস্যু করতে পারবে না। কিন্তু, অনেক ভয়ভীতি, মারধর সত্ত্বেও আগরতলার ২০শতাংশ ভোটার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। স্রেফ মমতা-ম্যাজিকে। বাংলার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও মমতার নামের পাশে ‘ম্যা঩জিক’ শব্দটি জুড়ে যাচ্ছে।
বিশদ

04th  December, 2021
দোভাল দর্শনে ভীত
নাগরিক সমাজ!
মৃণালকান্তি দাস

নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে যে সঙ্কেত দিতে চেয়েছেন, তা হল, পুলিস তথা নিরাপত্তা বাহিনীকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার নামে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ দমনে ‘তৎপর’ হওয়ার সঙ্কেত। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজ দেশবাসীকে রক্ষা করা। গভীর পাঁকে আটকে যাওয়া গেরুয়া শিবিরকে উদ্ধার করা নয়!
বিশদ

02nd  December, 2021
বিজেপির উন্নয়ন যেন
চৌর্যবৃত্তির মডেল

সন্দীপন বিশ্বাস

আদতে কোনও রাজনৈতিক দলের অসম্মানেই দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু এসে যায় না। সেটা একটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার, কেন্দ্রের মন্ত্রী, বিজেপির মন্ত্রী যখন এমন কাজ করেন, যাতে দেশের সম্মান ও গৌরব ভূলুণ্ঠিত হয়, তখন তা জাতীয় লজ্জা হিসেবেই দেখা দেয়।
বিশদ

01st  December, 2021
তথ্য সুরক্ষা বিল এবং
শাসকের ‘দূরের লক্ষ্য’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এ দেশের ক্ষেত্রে যদি নজরদারি চালানোটা আইনসিদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো আর আড়াল-আবডালের প্রয়োজনই থাকবে না। সেটাই চাইছে কেন্দ্র। আইনি সিলমোহর। সরকার বিরোধী মতামত দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে সরকারের ভাড়া করা সৈন্যরা। টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবে গারদের ওপারে।​​​​​
বিশদ

30th  November, 2021
প্রভাবশালী ধনীরা
জবাবদিহির ঊর্ধ্বে
পি চিদম্বরম

ধনীরা প্রভাবশালী হয় এবং প্রভাবশালীরা ধনী হয়। একবার প্রভাবশালী এবং ধনী হয়ে গেলে, স্পষ্টতই তারা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাবে। এটাই হয়েছে আজেকর বিপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন শেরম্যান (প্রথম অ্যান্টিট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৯০—সাধারণভাবে যেটিকে শেরম্যান আইন হিসাবে উল্লেখ করা হয়) বিশদ

29th  November, 2021
কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূল
হলে আপত্তি কোথায়?
হিমাংশু সিংহ

গোটা দেশে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধীদের শুকনো গাঙে তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্লবের নয়া কেতন উড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা থেকে গোয়া। জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও মমতাই আজ মোদির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিপক্ষ।
বিশদ

28th  November, 2021
পুরভোটের সন্ত্রাসে বিপদ
বাড়ল ত্রিপুরা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শূন্য প্রমাণের জন্য পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করে বিজেপি নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল। ২০২৩ সালে আর ইউনিট টেস্ট নয়, বিপ্লব দেবকে বসতে হবে বোর্ডের পরীক্ষায়। পরীক্ষকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

27th  November, 2021
কৃষকরা সকলের জন্যই
দিলেন জীবনের শিক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের কাছে একটাই সুসংবাদ যে, তিনি ইতিহাস চর্চা করেন না। যদি করতেন, তাহলে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভারতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখতেন। খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হতো না। কারণ তাঁর হাতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে।
বিশদ

26th  November, 2021
মোদির পিছু হটা কীসের ইঙ্গিত!
মৃণালকান্তি দাস

কে না জানে, একটি শাসকদল পিছু হটে তখনই, যখন সে বুঝতে পারে তার পায়ের তলার মাটি সরছে। পায়ের তলার মাটি একবার সরতে শুরু করলে কী হয় তা বাংলার মানুষ জানেন। সিঙ্গুরেও পিছু হটে নজির গড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবু ডুবেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষের মতামত না নিয়েই জোরজবরদস্তি জমি অধিগ্রহণ করে। মোদির ক্ষেত্রেও তাই। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ছাড়া কৃষিতে সংস্কারমূলক তিনটি আইন আনতে গিয়ে তিনিও ডুবেছেন।
বিশদ

25th  November, 2021
দুঃসময়ের রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী

একতারা হাতে এক বাউল এলেন। কোনও অনুরোধ ছাড়াই একটি প্রচলিত গান গেয়ে হাত পাতলেন। কিছু দেব কি দেব না ইতস্তত করছি। লোকটি আমার মন পড়ে নিলেন নিশ্চয়। কিছু দাবি করার পরিবর্তে প্রশ্ন রাখলেন, ‘বাবু, দুঃসময় কাকে বলে?’ বিশদ

24th  November, 2021
একনজরে
পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM