Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির পিছু হটা কীসের ইঙ্গিত!
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে ‘আন্না হাজারের মুহূর্ত’ বহু বছর আগে এসেছে এবং চলেও গিয়েছে! আন্না হাজারের আন্দোলন ছিল ‘ইউপিএ ২’ সরকারের অবক্ষয় এবং পতনের অনুঘটক। এই আন্দোলন দুর্নীতির ইস্যুকে সামনে এনে নরেন্দ্র মোদির মতো নেতার জন্য রাস্তা পরিষ্কার করেছিল। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত’—এই স্লোগান তুলে একজোট করার যে প্রক্রিয়া চলেছিল, তা বাম-ডান সবদিকের বিশিষ্টজনদের এক মঞ্চে এনে দাঁড় করিয়েছিল। পরের পর আর্থিক কেলেঙ্কারি, টুজি থেকে শুরু করে কোল, কমনওয়েলথ— এই সবকিছুই তীব্র গণবিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছিল। ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ হয়ে উঠেছিল লক্ষ লক্ষ হুজুগে ভারতীয়র স্লোগান। ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল মনমোহন সিংয়ের সরকার। আর সেই একই প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে দেশের কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে। ২০১১-তে যদি লড়াইটা হয়ে থাকে আন্নার আন্দোলন এবং মনমোহন সিং সরকারের মধ্যে, তাহলে এই লড়াইটা ‘বিরোধী শক্তি বনাম নরেন্দ্র মোদি’-র। আর সেই লড়াইয়ের নেতৃত্বে দেশের কৃষকরা।
যে লড়াই শিখিয়েছে শাসকের চোখে চোখ রাখতে। ভয়ডরহীন প্রশ্ন ছুড়তে। যে লড়াই আঙুল তুলেছে সদর্পে। চেয়েছে উত্তর। দিল্লিতে শীত নেমে এসেছে রাতে। গোটা দিনরাত জবুথবু বসে। সঙ্গে কম্বল। দু’চারটে মোটা জামা। আর ছিল ওম। মানুষের। সংগ্রামের। জেদের। কৃষক স্বার্থের পক্ষে হানিকর তিনটি কৃষি বিল সংসদে কার্যত জবরদস্তি করে পাশ করিয়ে মোদি সরকার যে অন্যায়ের সূচনা করেছিলেন, পরবর্তী প্রায় দেড় বছর তারা সেই ট্র্যাডিশন সমানে চালিয়ে গিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কয়েকশো কৃষকের মৃত্যুও তাঁদের মনোবল ভাঙতে পারেনি। গেরুয়া শিবির স্বভাবসিদ্ধ ছল, বল ও কৌশল প্রয়োগ করতে গিয়ে ক্রমাগত পর্যুদস্ত হয়েছে, প্রতিবাদী কৃষকদের তীক্ষ্ণ ও সচেতন প্রশ্নবাণ তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করেছে। নিশ্চিত এই সমবেত প্রতিস্পর্ধা ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঠিক তার বিপরীতে, এবং তার সমান অনুপাতে, গভীর কলঙ্কের অক্ষরে লিখিত থাকবে মোদি সরকারের ভূমিকা। কৃষক আন্দোলনের মোকাবিলায় তাঁদের দম্ভ এবং নির্বুদ্ধিতা নিজেদের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছে।

নির্মম নিষ্ঠুরতার নিদর্শন, অথচ...
মোদি বাহিনী একটা বিষয়ে কৃষক আন্দোলনের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ। তাঁরা কৃষকদের প্রতিবাদের ক্ষমতাকে বুঝতে পারেননি। কৃষকদের মনোবল, আন্দোলনের প্রতি তাঁদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানসিকতা, আত্মনিবেদনের দুর্মর আকাঙ্ক্ষা বোঝার ক্ষমতা মোদি সরকারের নেই। নিজেদের অহমিকা ও আত্মম্ভরিতা, দর্প ও আত্মবিশ্বাস এমন পর্যায়ে যে, তাঁরা ভাবতেই পারেন না যে তাঁদের শক্তির কাছে মাথা নোয়াতে অস্বীকার করার সমান আত্মবিশ্বাস কৃষকদেরও আছে। সরকারের উচিত ছিল, আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘প্রতিপক্ষ’ হিসেবে না দেখে তাঁদের কথা শোনা। এটা তো জয়-পরাজয়ের লড়াই নয়, গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরীক্ষা। গত সাত বছরে মোদি সরকারের চালকরা সেই পরীক্ষায় ডাহা ফেল। নিখাদ নিরঙ্কুশ অহমিকা মোদি সরকারের স্বধর্ম হয়ে উঠেছে।
আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল এই কৃষকরা ‘সন্ত্রাসবাদী’, এঁরা পাঞ্জাবের ধনী চাষি, জোতদার। বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা দেখিয়েছিলেন, এই চাষিদের শিবিরে এসি মেশিন লাগানো, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউ গাড়ি আসছে, ট্রাক্টরে করে বহু পাঞ্জাবি পরিবার দিল্লি সীমান্তে এসে পিকনিক করছে, অনেকে তো আরও একধাপ এগিয়ে বলেছিলেন— কানাডা থেকে খলিস্তানিরা টাকা পাঠাচ্ছে। মোদি দেখলেন, ধনী-জোতদার জাতীয় তকমা দিয়েও কৃষক আন্দোলন ভাঙা যায়নি। উল্টে পাঞ্জাব-হরিয়ানার ধনী কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গোটা দেশের ভাগচাষি, প্রান্তিক চাষিরা। দলের নেতা-মন্ত্রীরা যখন দেশের অন্নদাতাদের অপমানকর আখ্যা দিয়েছেন, তখন রাজধর্ম পালন করে তাঁদের শাসন না করে মোদিজি স্বয়ং ‘আন্দোলনজীবী’ বলে কৃষকদের ব্যঙ্গ করেছেন।
শুধু তাই-ই নয়, তাঁর সরকার প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণ কৃষকদের মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও ধর্নাস্থলগুলির উপর প্রকাশ্যে ও গোপনে অন্তর্ঘাতমূলক দমন-পীড়ন চালিয়ে গিয়েছে। প্রথমে দিল্লিমুখী কৃষক মিছিলগুলিতে লাঠিচার্জ, প্রচণ্ড ঠান্ডায় অমানবিকভাবে যথেচ্ছ জলকামানের ব্যবহার। প্রধান জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলিতে সরকারি লোক নিযুক্ত করে আড়াআড়ি ভাবে দশ ফুট গভীর ও পাঁচ ফুট চওড়া পরিখার মতো গর্ত খুঁড়ে রাখা। এর পাশাপাশি দিল্লির চারটি সীমানা আটকে দেওয়া হয়েছে নৃশংস কাঁটাতারে। ভারী ভারী কংক্রিটের আড়াল। ৮ থেকে ১০ সারির লোহার খাঁচার ঝালাই করা দেওয়াল। এমনকী, সামনের রাস্তায় অজস্র প্রাণঘাতী ছুঁচলো লোহার শলাকা পুঁতে দেওয়া, যাতে কৃষকরা এগতে না পারে। সঙ্গে পানীয় জলের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো নির্মম নিষ্ঠুরতা। সর্বশেষ সংযোজন, লখিমপুরে আট চাষিকে হত্যা। সরকার ভেবেছিল ভয় দেখিয়ে জমায়েত ভাঙবে। না, ভাঙা যায়নি। যাকে ইংরেজিতে বলে ‘পয়েন্টস অব নো রিটার্নস’। কৃষক আন্দোলনকে সেই অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছে মোদি সরকারই।
ভারতের ইতিহাসের পাতায় জয়ী হতে চাওয়ার এমন শান্ত সুদৃঢ় প্রত্যয় আর কখনও কি এভাবে দেখেছে দেশবাসী? কৃষকজনতা বিস্ময়কর এক শান্ত জনসমুদ্র, সমস্ত উত্তাপকে ভিতরে সংহত করে বাইরে কী অদ্ভুত রকমের নিস্তরঙ্গ। যে পুলিস একটু আগেই তাদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ করেছে, তাদেরই রাজপথে পাত পেড়ে খাইয়েছে হাসিমুখে। অহিংস কৃষকসংগ্রামের চেতনায় রাজপথে জন্ম নিয়েছে সভ্যতার নতুন ব্যাকরণ।

ভোট, বুঝলেন ভোট...
৫৬ ইঞ্চি ছাতি মোদির এইভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা যে গত সাত বছরে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেনি, তা বলাই বাহুল্য। কৃষি আন্দোলন মোকাবিলায় গোড়া থেকেই যেরকম রণং দেহি মূর্তিতে সরকার ছিল, তাতে এইভাবে পিছু হটা যে দেশবাসীর কাছে বড় চমক, সে ব্যাপারেও কোনও সন্দেহ নেই। কেন সাত বছরে এই প্রথমবার মোদিকে পিছু হটতে হল, তার রাজনৈতিক ব্যাখ্যা বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর মতো খবরের কাগজ লিখেছে, হিন্দুত্ব-নির্ভর জাতীয়তাবাদের প্রভাব যে শিথিল হয়ে গিয়েছে, তা মোদির এই পিছু হটা থেকে স্পষ্ট। রাজনীতিতে যখন এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, অর্থাৎ কোনও দলের প্রধান মতাদর্শটি ভোঁতা হয়ে যায়, তখন তা মেরামত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্বের কার্ড খেলেও বিজেপি সুবিধা করতে পারেনি। সম্প্রতি রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশের উপনির্বাচনেও হিন্দুত্ব-নির্ভর প্রচার কোনও কাজই দেয়নি। ফলে ২০২২-এর গোড়ায় বিজেপির কাছে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ উত্তরপ্রদেশে জয়। নিন্দুকেরা বলছেন, মানুষ যে মোদি সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, তা মাত্র ছ’মাস আগের উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটের ফল থেকেই স্পষ্ট। গ্রামীণ উত্তর প্রদেশের তিন হাজার আসনের মধ্যে মোদির দল পেয়েছে কোনওরকমে হাজারের কাছাকাছি আসন। বিরোধীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট আছে, কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তরপ্রদেশে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না।  
তাই দেশবাসীর উদ্দেশে নত মস্তকে ক্ষমা চেয়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছেন। এটা ভোট-রাজনীতির দাওয়াই। পিছু হঠার রাজনৈতিক রণকৌশল। কে না জানে, একটি শাসকদল পিছু হটে তখনই, যখন সে বুঝতে পারে তার পায়ের তলার মাটি সরছে। পায়ের তলার মাটি একবার সরতে শুরু করলে কী হয় তা বাংলার মানুষ জানেন। সিঙ্গুরেও পিছু হটে নজির গড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বুদ্ধবাবুর ওই পিছু হটা বামফ্রন্টের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতেছিল। বুদ্ধবাবু ডুবেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষের মতামত না নিয়েই জোরজবরদস্তি জমি অধিগ্রহণ করে। মোদির ক্ষেত্রেও তাই। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ছাড়া কৃষিতে সংস্কারমূলক তিনটি আইন আনতে গিয়ে তিনিও ডুবেছেন।

না আঁচালে বিশ্বাস নেই...
এ দেশের মানুষ বিলক্ষণ জানেন, সব রত্নাকর বাল্মীকি হন না! মোদি তো নন-ই। কৃষি আইন প্রত্যাহারে মোদির নাটকে অভ্যস্ত পোড়খাওয়া কৃষক আন্দোলনের সচেতন নেতারা তাই স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, সংসদের দুই কক্ষে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না। দাবি তো শুধু নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার নয়, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি কোথায়? নয়া বিদ্যুৎ বিলের কী হবে? চার লক্ষ কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। তা নয়া কৃষি আইনের জন্য নয়, ফসলের দাম না পেয়ে। স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না পেলে কৃষক বাঁচবে না, সেইসঙ্গে অপঘাতে মৃত্যু হবে ভারতীয় কৃষিরও। তাই আন্দোলন চলবে। কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কথার ওপর ন্যূনতম আস্থা রাখতে নারাজ।
কেউ কেউ বলছেন, এটাই মোদির শেষের শুরু! ২০২০-র করোনা সংক্রামিত দুনিয়ায় মৃত্যুযাত্রার পাশাপাশি ভারত এক আশ্চর্য রকমের বাঁচার, বাঁচতে চাওয়ার ছবিও দেখছে, ছবিটা ২০২৪-এ আরও উজ্জ্বল হবে। নিশ্চিত। সেই ছবি জুড়ে কাস্তে। ট্র্যাক্টর। লাঙল। স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। কাঁধে কাঁধ। ব্যারিকেড। লড়াই। বিদ্রোহ। দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ। শাশ্বত। ঐতিহাসিক...।
ওরা জিতবে, জয়ী হয়েই ফিরবে কৃষকভারত।
25th  November, 2021
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শিশুরাই বিপন্ন
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার মন্ত্রীরা বিরক্তিকরভাবে অনেক কথা বলে চলেন। যেমন—পাকিস্তানের হুমকি, নামোল্লেখহীন এক প্রতিবেশী দেশের (চীন) বৈরিতা, হিন্দুত্ব, সংসদে বিঘ্নসৃষ্টি, আন্দোলনজীবী (বারোমেসে প্রতিবাদী), রাজনীতিতে রাজতন্ত্র/পরিবারতন্ত্র, ৭০ বছরের অনুন্নয়ন, ভারত এক বিশ্বগুরু (বিশ্বের শিক্ষক), এবং আরও অনেক কিছু ।
বিশদ

কংগ্রেসকে নেতৃত্বে রেখে
মোদিকে হটানো যাবে না...
হিমাংশু সিংহ

কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্র করতে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলার তাগিদে। স্রেফ পরিবারতান্ত্রিক সরকার চালানোর জন্য নয়। দুর্ভাগ্য আমাদের, স্বাধীনতার পর সেই আবেগটাকেই একটা পরিবার ‘হাইজ্যাক’ করেছিল। পুরনো ইতিহাস খুঁড়লে এটাই ষোলোআনা সত্যি। বিশদ

05th  December, 2021
পথ দেখাল ত্রিপুরা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ভেবেছিলেন, মমতার দল কিস্যু করতে পারবে না। কিন্তু, অনেক ভয়ভীতি, মারধর সত্ত্বেও আগরতলার ২০শতাংশ ভোটার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। স্রেফ মমতা-ম্যাজিকে। বাংলার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও মমতার নামের পাশে ‘ম্যা঩জিক’ শব্দটি জুড়ে যাচ্ছে।
বিশদ

04th  December, 2021
মাননীয় হাইকমান্ড,
একটু আত্মবিশ্লেষণ করুন
সমৃদ্ধ দত্ত

তৃণমূল কংগ্রেস কেন গোয়ায় লড়াই করতে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন ত্রিপুরায় গিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন মুম্বইয়ে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে?
বিশদ

03rd  December, 2021
দোভাল দর্শনে ভীত
নাগরিক সমাজ!
মৃণালকান্তি দাস

নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে যে সঙ্কেত দিতে চেয়েছেন, তা হল, পুলিস তথা নিরাপত্তা বাহিনীকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার নামে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ দমনে ‘তৎপর’ হওয়ার সঙ্কেত। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজ দেশবাসীকে রক্ষা করা। গভীর পাঁকে আটকে যাওয়া গেরুয়া শিবিরকে উদ্ধার করা নয়!
বিশদ

02nd  December, 2021
বিজেপির উন্নয়ন যেন
চৌর্যবৃত্তির মডেল

সন্দীপন বিশ্বাস

আদতে কোনও রাজনৈতিক দলের অসম্মানেই দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু এসে যায় না। সেটা একটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার, কেন্দ্রের মন্ত্রী, বিজেপির মন্ত্রী যখন এমন কাজ করেন, যাতে দেশের সম্মান ও গৌরব ভূলুণ্ঠিত হয়, তখন তা জাতীয় লজ্জা হিসেবেই দেখা দেয়।
বিশদ

01st  December, 2021
তথ্য সুরক্ষা বিল এবং
শাসকের ‘দূরের লক্ষ্য’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এ দেশের ক্ষেত্রে যদি নজরদারি চালানোটা আইনসিদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো আর আড়াল-আবডালের প্রয়োজনই থাকবে না। সেটাই চাইছে কেন্দ্র। আইনি সিলমোহর। সরকার বিরোধী মতামত দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে সরকারের ভাড়া করা সৈন্যরা। টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবে গারদের ওপারে।​​​​​
বিশদ

30th  November, 2021
প্রভাবশালী ধনীরা
জবাবদিহির ঊর্ধ্বে
পি চিদম্বরম

ধনীরা প্রভাবশালী হয় এবং প্রভাবশালীরা ধনী হয়। একবার প্রভাবশালী এবং ধনী হয়ে গেলে, স্পষ্টতই তারা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাবে। এটাই হয়েছে আজেকর বিপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন শেরম্যান (প্রথম অ্যান্টিট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৯০—সাধারণভাবে যেটিকে শেরম্যান আইন হিসাবে উল্লেখ করা হয়) বিশদ

29th  November, 2021
কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূল
হলে আপত্তি কোথায়?
হিমাংশু সিংহ

গোটা দেশে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধীদের শুকনো গাঙে তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্লবের নয়া কেতন উড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা থেকে গোয়া। জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও মমতাই আজ মোদির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিপক্ষ।
বিশদ

28th  November, 2021
পুরভোটের সন্ত্রাসে বিপদ
বাড়ল ত্রিপুরা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শূন্য প্রমাণের জন্য পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করে বিজেপি নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল। ২০২৩ সালে আর ইউনিট টেস্ট নয়, বিপ্লব দেবকে বসতে হবে বোর্ডের পরীক্ষায়। পরীক্ষকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

27th  November, 2021
কৃষকরা সকলের জন্যই
দিলেন জীবনের শিক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের কাছে একটাই সুসংবাদ যে, তিনি ইতিহাস চর্চা করেন না। যদি করতেন, তাহলে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভারতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখতেন। খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হতো না। কারণ তাঁর হাতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে।
বিশদ

26th  November, 2021
দুঃসময়ের রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী

একতারা হাতে এক বাউল এলেন। কোনও অনুরোধ ছাড়াই একটি প্রচলিত গান গেয়ে হাত পাতলেন। কিছু দেব কি দেব না ইতস্তত করছি। লোকটি আমার মন পড়ে নিলেন নিশ্চয়। কিছু দাবি করার পরিবর্তে প্রশ্ন রাখলেন, ‘বাবু, দুঃসময় কাকে বলে?’ বিশদ

24th  November, 2021
একনজরে
ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...

ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM