Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কংগ্রেসকে নেতৃত্বে রেখে
মোদিকে হটানো যাবে না...
হিমাংশু সিংহ

কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্র করতে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলার তাগিদে। স্রেফ পরিবারতান্ত্রিক সরকার চালানোর জন্য নয়। দুর্ভাগ্য আমাদের, স্বাধীনতার পর সেই আবেগটাকেই একটা পরিবার ‘হাইজ্যাক’ করেছিল। পুরনো ইতিহাস খুঁড়লে এটাই ষোলোআনা সত্যি। কাউকে অসম্মান না করেই বলছি, নেহরু থেকে ইন্দিরা পেরিয়ে রাজীব গান্ধীর সরকার ছিল তারই ফলশ্রুতি। কংগ্রেসের বহু প্রথম সারির নেতা সেদিন পাত্তাও পাননি। আজও সেই ট্র্যাডিশন সমানে বহমান। আর ইউপিএ নামক অদ্ভুত জোট গঠিত হয় স্বাধীনতার ৫৭ বছর পর বিভিন্ন দলের একটা মিলিজুলি সরকার পরিচালনার প্রয়োজনে। আন্দোলনের প্রয়োজনে নয়, জোটটা হয়েছিল ২০০৪ সালে সাধারণ নির্বাচনের ফল বেরনোর পর। সেদিন সোনিয়া মুখ হলে জোটটা সম্ভব হতো না। তাই প্রধানমন্ত্রী পদে অজাতশত্রু মনমোহনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন পরিবারের অন্তরাত্মা। পর্দার আড়ালে অবশ্য যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর হাতেই। সরকার চলাকালীনই যার 
ভাঙনও শুরু হয় নানা স্বার্থের সংঘাতে। আজ 
ইউপিএ তৈরির ১৭ বছর পর জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতটাই আমূল বদলে গিয়েছে। সেই কারণেই কংগ্রেসের মতো ইউপিএ’রও আজ দ্রুত প্রয়োজন ফুরচ্ছে। আন্দোলন বিমুখ কংগ্রেসের ছাতার তলায় আজ আর কোনও আঞ্চলিক দলই সেভাবে আশ্রয় নিতে ইচ্ছুক নয়। একমাত্র অস্তিত্বসঙ্কটে নুইয়ে পড়া কিছু বাম দল ছাড়া। অথচ সিপিএমই ২০০৮ সালে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউপিএ সরকারকে ফেলে দিতে উদ্যত হয়েছিল। আর ভাগ্যের কী পরিহাস, আজ তারাই মমতাকে কটাক্ষ করছে, নেত্রী ‘ইউপিএ এখন আর নেই’ বলায়। ক্রমেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, হীনবল কংগ্রেস আর ছন্নছাড়া বাম শক্তি আজ একে অপরের পরিপূরক।
কিন্তু দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক শক্তির আজ এই হতশ্রী দশা কেন? এর একটাই উত্তর যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। প্রধানমন্ত্রীর ছেলেও ক্ষমতার লড়াইয়ে একলাফে শীর্ষ আসনে সবসময় বসতে পারেন না। গাভাসকরের ছেলে গাভাসকর হয়নি! উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি মিললেও যোগ্যতা, নেতৃত্ব, রাস্তায় নেমে অক্লান্ত প্রতিবাদের উত্তরাধিকার রক্তের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় না। ওটা লড়ে অর্জন করতে হয়। কী রাজনীতি, কী ব্যবসা আর কী খেলাধুলা জীবনের সব ক্ষেত্রেই এটাই ষোলোআনা সত্যি! কোটিপতি ব্যবসায়ী মারা গেলে তাঁর ছেলে সহজেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেও ব্যবসা যে আগের মতো ফুলে ফেঁপে চলবে তার গ্যারান্টি নেই! যোগ্যতাটা কখনও উত্তরাধিকার সূত্রে মেলে না। ওটা যার যার নিজস্ব। অর্জন করতে হয়। রাস্তায় নেমে বুঝে নিতে হয় শত্রুর হিসেব। আর ওইখানেই হেরে যাচ্ছে কংগ্রেস দল। রাহুল গান্ধীর মধ্যে বাবা রাজীব গান্ধী কিংবা ঠাকুমা ইন্দিরার ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার ছিটেফোঁটাও দেখতে পাচ্ছে না দেশের মানুষ। মোদি জমানায় একের পর অগণতান্ত্রিক আঘাতে সাধারণ মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। কাজ নেই, মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া, তার ওপর হিন্দুত্বের নামে পদে পদে বিভাজন। মোদি নামক খামখেয়ালি নেতার অবিরাম বুলডোজারে মানুষের প্রাণ অতিষ্ঠ। মানুষ ফুঁসছে, কিন্তু গ্রহণযোগ্য বিকল্প নেই বলেই প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। এমনকী কৃষক প্রধান পাঞ্জাবেও দল আজ টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। এটা কার অদূরদর্শিতার পরিচয়? 
আসলে দেশের নেতা হতে গেলে খিদে লাগে। নেতা হওয়ার খিদে, এগিয়ে যাওয়ার খিদে এবং অবশ্যই শত্রুকে খতম করার সঙ্কল্প। সেইসঙ্গে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলনকে তীব্র করার শপথ। নরেন্দ্র মোদি আজও ওই খিদের জোরেই  দেশটাকে চালনা করছেন। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলুন তো গুরুত্বপূর্ণ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে কোথাও সেই তাগিদ দেখছেন? রাহুল গান্ধীকে কতবার লখনউ থেকে বারাণসী ছুটতে দেখা গিয়েছে গত ৬ মাসে। পশ্চিমবঙ্গের ভোটে কবার এসেছেন রাজীব পুত্র। হ্যাঁ প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশে ঘুরছেন বটে, তবে আহামরি কিছু নয়। অখিলেশ কিংবা রাষ্ট্রীয় লোকদল মোটেই এই কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে রাজি নয়। উল্টে মমতাকেই নেত্রী মানছেন মুলায়ম পুত্র। বলছেন কংগ্রেস শূন্য পাবে। কেন? ২০১৭ সালে সোনিয়ার দলের সঙ্গে জোট করে তারা ডুবেছিল, সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও অখিলেশকে তাড়া করছে। তাই ওই ফুটো নৌকায় আর নয়! 
আর এই খানেই প্রশ্ন, যোগ্যতা না থাকলেও খামোকা একজনকে নেতা হিসেবে টানা কেন? একটা জিনিস খুব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, কংগ্রেস নামক শতাব্দী প্রাচীন দলটার পরিবার ছাড়া গতি নেই। দলের মধ্যে ২৩ জন শিক্ষিত নেতা যতই চিঠি লিখুন, আড়ালে আবডালে ক্ষোভ উগরে দিন, সাড়ে সাত ঘণ্টা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর অসুস্থ স্টপগ্যাপ সভানেত্রী বলবেন, এবার দলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে। কিন্তু তারপরও মাসের পর মাস কেটে গেলেও সেই দিনটা আর আসবে না। আবার সেই অসুস্থ সোনিয়া আর তাঁর দুই অযোগ্য সন্তানের হাতেই দলের ভবিষ্যৎ বন্ধক দিয়ে ছ’মাসের জন্য সবাই ঘুমিয়ে পড়বে। অপেক্ষা করবে কখন বিরোধী রাজনীতির পালে হাওয়া লাগে। তাহলেই লাফিয়ে এসে আবার নেতা হতে হবে যে! কে জানে ফাঁকতালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগটাও চলে আসতে পারে। তাই ভোট এলেই শীতঘুম ভেঙে চারপাশটা একটু ঝালিয়ে নেওয়া, এটাই নেহরু গান্ধী পরিবারের এখন একমাত্র কর্তব্য।
কিন্তু আঞ্চলিক দলগুলি আর সেই সুযোগ দিতে রাজি নয়। বিগত সাত দিনে জাতীয় রাজনীতি কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফর এবং ত্রিপুরার পুরভোটের ফল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মানুষ বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির বিকল্প চাইছে, কিন্তু পাচ্ছে না। কংগ্রেস এই মুহূর্তে মোদি বিরোধী জোটের আত্মাকে বহন করতে অপারগ। তাহলে কী হবে? আল্লার নাম করে 
সবাই রণে ভঙ্গ দেবে? না কংগ্রেসকে ছাড়াই 
এগিয়ে যাবে। ভোটের ফল বেরলে তারপর দেখা যাবে কার দম কত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউপিএ বলে কিছু নেই বলায় অনেকের গোঁসা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, গত দু’বছরে যখন বিরোধীরা ক্রমাগত কোণঠাসা, তখন কংগ্রেস হাইকমান্ড নামক বায়বীয় নেতৃত্ব ক’টা বৈঠক করেছে শরিকদের সঙ্গে। 
তাঁদের ভালোমন্দের খোঁজ ক’বার নিয়েছে। দলের বৈঠকই হয় না, নেতাদের ক্ষোভ বিক্ষোভ শোনা হয় না, তা আবার ইউপিএ’র বৈঠক! আগামী এক বছরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ভোট আছে। সেই সব রাজ্যের ভোট কৌশল নিয়ে দলে কিংবা ইউপিএতে ক’টা বৈঠক হয়েছে, হিসেব আছে?
ইতিহাস বলছে, ইউপিএ কিন্তু ভোটের আগে তৈরি হয়নি। ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে কংগ্রেস যখন দেখল সরকার গড়ার একটা সুযোগ সামনে এসেছে তখন ইউপিএ জন্ম নিয়েছিল। কংগ্রেস সেবার জিতেছিল ১৪৫টি আসন। অর্থাৎ সরকার গড়তে গেলে বাইরে থেকে আরও অন্তত ১২৭ সদস্যের সমর্থন দরকার ছিল। কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। ইউপিএ গঠনের পরের সপ্তাহেই ২২ মে শপথ নিয়েছিলেন মনমোহন সিং। মূলত বামপন্থীদের কাঁধে ভর করেই ইউপিএ’র পথ চলা শুরু। অথচ ২০০৮ সালে সেই বামপন্থীরা অদ্ভুতভাবে নাকে কাঁদুনি কেঁদে ইউপিএ ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছেলেন। যদিও জোটের ভাঙন শুরু হয় ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মধ্যেই টিআরএসের সমর্থন প্রত্যাহারের মধ্যে দিয়ে। এরপর ইউপিএ ছাড়ে ভাইকোর এমডিএমকে। আর ২০০৮-এ জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায় সিপিএম তথা বামপন্থীরা। সেই যাত্রায় সরকারকে সঙ্কট থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন দু’জন। মুলায়ম সিং যাদব ও প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। সিপিএম নামক হার্মাদ দলটা সেদিন ইউপিএ’র ত্রাতা হয়ে দাঁড়ানোর অপরাধে সোমনাথবাবুকে  বহিষ্কার করেছিল। সেই আক্ষেপ বুকে নিয়েই সোমনাথবাবুর মৃত্যু হয়েছে। আর মুলায়ম সিং যাদবের দলের নিয়ন্ত্রণ আজ পুত্র অখিলেশের হাতে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইলেও উত্তরপ্রদেশে জোট করতে রাজি নন মুলায়ম-পুত্র। কারণটা কী? অখিলেশ যাদবের পরামর্শদাতাদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জোট করে লড়লে উত্তরপ্রদেশে বিরোধী শক্তিরই ক্ষতি। রাষ্ট্রীয় লোকদল পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। আসলে একটার পর একটা আঞ্চলিক শক্তি তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পারছে কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়া মানে সাড়ে সর্বনাশ। পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আপও শতাব্দী প্রাচীন দলটার সঙ্গে হাত মেলানোর চেয়ে একা লড়তে এত উৎসাহী কেন? কেন জোট করে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়লেও বর্ষীয়ান শারদ পাওয়ার রাহুল- প্রিয়াঙ্কার সমর্থনে একটি বাক্যও উচ্চারণ করছেন না। আর পশ্চিমবঙ্গের কথা না হয় বাদই দিন। কে না জানে এরাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়া মানে নিজের রাজনৈতিক ভিত্তিটাকে আরও সঙ্কটে ফেলা। সিপিএম তথা বামেদের এখন উভয়সঙ্কট। তাই সব জেনেও বার বার দলটা পাঁকে পা ডুবিয়ে মরছে। 
কিন্তু রাস্তায় নেমে নরেন্দ্র মোদির মতো শক্তিশালী পরিশ্রমী নেতার মুখোমুখি লড়তে দেশ তাই একজন স্ট্রিট ফাইটার খোঁজে। আর এই মুহূর্তে এই লড়াইয়ের পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে আদর্শ মুখ আর কে আছেন। তাই মুম্বই, গোয়া যেখানেই তিনি যান একরাশ খোলা বাতাস, একটা অদম্য লড়াইয়ের সঙ্কল্প সঙ্গে যায়। মুম্বইয়ের অনেক ঠোঁটকাটা বিদ্বজ্জনকেও তাঁর সামনে হাজির হয়ে বলতে হয়, আপনার উপরই দেশের আস্থা। পারলে আপনিই পারবেন প্রতিমুহূর্তে গণতন্ত্রের এই নির্মম হত্যা রুখে দিতে। এই আস্থা ও বিশ্বাসটা অর্জন করতে হয়। বংশানুক্রমে কিংবা কোনও দৈব আশীর্বাদে মেলে না। মমতা তা পেরেছেন। দিদাকে দেখতে যাওয়ার অছিলায় লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে মাঝে মাঝেই ইতালি পালিয়ে গেলে ওই বিশ্বাস হারিয়ে যায়। আর ফেরে না। গুরুতর অসুস্থ জেনেও সোনিয়া গান্ধীকে এই কঠিন সময়ে সভানেত্রী করে রাখার একটাই অর্থ, এখানে পরিবার আগে তারপর দল ও দেশ। পরিবার সর্বস্ব এমন দলের পক্ষে মোদি বিরোধী জোটের মুখ হওয়া কি আর সম্ভব। তাই সব আঞ্চলিক দলকে এক হতে হবে। তারপর ভোটের ফল বেরলে ঠিক হবে নেতৃত্ব দেবে কে। নাহলে পচাশামুকে পা কাটবে, লাভের লাভ কিছুই হবে না।
05th  December, 2021
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শিশুরাই বিপন্ন
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার মন্ত্রীরা বিরক্তিকরভাবে অনেক কথা বলে চলেন। যেমন—পাকিস্তানের হুমকি, নামোল্লেখহীন এক প্রতিবেশী দেশের (চীন) বৈরিতা, হিন্দুত্ব, সংসদে বিঘ্নসৃষ্টি, আন্দোলনজীবী (বারোমেসে প্রতিবাদী), রাজনীতিতে রাজতন্ত্র/পরিবারতন্ত্র, ৭০ বছরের অনুন্নয়ন, ভারত এক বিশ্বগুরু (বিশ্বের শিক্ষক), এবং আরও অনেক কিছু ।
বিশদ

পথ দেখাল ত্রিপুরা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ভেবেছিলেন, মমতার দল কিস্যু করতে পারবে না। কিন্তু, অনেক ভয়ভীতি, মারধর সত্ত্বেও আগরতলার ২০শতাংশ ভোটার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। স্রেফ মমতা-ম্যাজিকে। বাংলার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও মমতার নামের পাশে ‘ম্যা঩জিক’ শব্দটি জুড়ে যাচ্ছে।
বিশদ

04th  December, 2021
মাননীয় হাইকমান্ড,
একটু আত্মবিশ্লেষণ করুন
সমৃদ্ধ দত্ত

তৃণমূল কংগ্রেস কেন গোয়ায় লড়াই করতে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন ত্রিপুরায় গিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন মুম্বইয়ে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে?
বিশদ

03rd  December, 2021
দোভাল দর্শনে ভীত
নাগরিক সমাজ!
মৃণালকান্তি দাস

নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে যে সঙ্কেত দিতে চেয়েছেন, তা হল, পুলিস তথা নিরাপত্তা বাহিনীকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার নামে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ দমনে ‘তৎপর’ হওয়ার সঙ্কেত। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজ দেশবাসীকে রক্ষা করা। গভীর পাঁকে আটকে যাওয়া গেরুয়া শিবিরকে উদ্ধার করা নয়!
বিশদ

02nd  December, 2021
বিজেপির উন্নয়ন যেন
চৌর্যবৃত্তির মডেল

সন্দীপন বিশ্বাস

আদতে কোনও রাজনৈতিক দলের অসম্মানেই দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু এসে যায় না। সেটা একটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার, কেন্দ্রের মন্ত্রী, বিজেপির মন্ত্রী যখন এমন কাজ করেন, যাতে দেশের সম্মান ও গৌরব ভূলুণ্ঠিত হয়, তখন তা জাতীয় লজ্জা হিসেবেই দেখা দেয়।
বিশদ

01st  December, 2021
তথ্য সুরক্ষা বিল এবং
শাসকের ‘দূরের লক্ষ্য’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এ দেশের ক্ষেত্রে যদি নজরদারি চালানোটা আইনসিদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো আর আড়াল-আবডালের প্রয়োজনই থাকবে না। সেটাই চাইছে কেন্দ্র। আইনি সিলমোহর। সরকার বিরোধী মতামত দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে সরকারের ভাড়া করা সৈন্যরা। টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবে গারদের ওপারে।​​​​​
বিশদ

30th  November, 2021
প্রভাবশালী ধনীরা
জবাবদিহির ঊর্ধ্বে
পি চিদম্বরম

ধনীরা প্রভাবশালী হয় এবং প্রভাবশালীরা ধনী হয়। একবার প্রভাবশালী এবং ধনী হয়ে গেলে, স্পষ্টতই তারা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাবে। এটাই হয়েছে আজেকর বিপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন শেরম্যান (প্রথম অ্যান্টিট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৯০—সাধারণভাবে যেটিকে শেরম্যান আইন হিসাবে উল্লেখ করা হয়) বিশদ

29th  November, 2021
কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূল
হলে আপত্তি কোথায়?
হিমাংশু সিংহ

গোটা দেশে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধীদের শুকনো গাঙে তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্লবের নয়া কেতন উড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা থেকে গোয়া। জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও মমতাই আজ মোদির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিপক্ষ।
বিশদ

28th  November, 2021
পুরভোটের সন্ত্রাসে বিপদ
বাড়ল ত্রিপুরা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শূন্য প্রমাণের জন্য পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করে বিজেপি নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল। ২০২৩ সালে আর ইউনিট টেস্ট নয়, বিপ্লব দেবকে বসতে হবে বোর্ডের পরীক্ষায়। পরীক্ষকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

27th  November, 2021
কৃষকরা সকলের জন্যই
দিলেন জীবনের শিক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের কাছে একটাই সুসংবাদ যে, তিনি ইতিহাস চর্চা করেন না। যদি করতেন, তাহলে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভারতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখতেন। খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হতো না। কারণ তাঁর হাতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে।
বিশদ

26th  November, 2021
মোদির পিছু হটা কীসের ইঙ্গিত!
মৃণালকান্তি দাস

কে না জানে, একটি শাসকদল পিছু হটে তখনই, যখন সে বুঝতে পারে তার পায়ের তলার মাটি সরছে। পায়ের তলার মাটি একবার সরতে শুরু করলে কী হয় তা বাংলার মানুষ জানেন। সিঙ্গুরেও পিছু হটে নজির গড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবু ডুবেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষের মতামত না নিয়েই জোরজবরদস্তি জমি অধিগ্রহণ করে। মোদির ক্ষেত্রেও তাই। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ছাড়া কৃষিতে সংস্কারমূলক তিনটি আইন আনতে গিয়ে তিনিও ডুবেছেন।
বিশদ

25th  November, 2021
দুঃসময়ের রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী

একতারা হাতে এক বাউল এলেন। কোনও অনুরোধ ছাড়াই একটি প্রচলিত গান গেয়ে হাত পাতলেন। কিছু দেব কি দেব না ইতস্তত করছি। লোকটি আমার মন পড়ে নিলেন নিশ্চয়। কিছু দাবি করার পরিবর্তে প্রশ্ন রাখলেন, ‘বাবু, দুঃসময় কাকে বলে?’ বিশদ

24th  November, 2021
একনজরে
ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...

কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...

কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM