Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুঃসময়ের রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী

একতারা হাতে এক বাউল এলেন। কোনও অনুরোধ ছাড়াই একটি প্রচলিত গান গেয়ে হাত পাতলেন। কিছু দেব কি দেব না ইতস্তত করছি। লোকটি আমার মন পড়ে নিলেন নিশ্চয়। কিছু দাবি করার পরিবর্তে প্রশ্ন রাখলেন, ‘বাবু, দুঃসময় কাকে বলে?’ জুতসই উত্তর আমার কাছে নেই বুঝে শূন্যস্থান পূরণের কায়দায় বললেন, ‘মানুষ যে-সময় মানুষকে বিশ্বাস করতে ভয় পায়!’ আমার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অপেক্ষা করলেন না। একতারায় ধুন তুলে বাউল তাঁর পথেই এগিয়ে গেলেন। আমার দিকে পিছন ফিরলেন না। অনেক বাউলের সঙ্গে দেখা হয়েছে এর আগে পরে। কিন্তু নাম না-জানা এই বাউলের সঙ্গে দেখা হয়নি আর কখনও। 
দু-দশক বাদে তাঁর মুখটাই বেশি মনে পড়ছে। সৌজন্যে নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৯ নভেম্বর, শুক্রবার জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘোষণাটি করলেন, ‘আমরা কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি!’ নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল হয়তো কৃষকদের। গুরুনানক জয়ন্তীতে ‘স্ট্রংম্যান’ মোদি শুধু ভাঙলেন 
না, সারা পৃথিবী দেখল তিনি মচকালেনও, নজিরবিহীনভাবে, ‘দেশের কাছে ক্ষমা চাইছি। আন্তরিকভাবে এবং পবিত্র মন নিয়ে বলছি, আমাদের তপস্যায় অবশ্যই কিছু ভুল ছিল। তাই প্রদীপের আলোর মতো সত্য সব কৃষকভাইদের বোঝাতে পারিনি।’
শাসক, বিরোধী সব রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিত ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। মোদির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক মহলও। প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই আপত্তিকর কৃষি আইন তিনটি সরকার প্রত্যাহার করে নেবে। অতএব তাঁর আর্জি, ‘প্রতিবাদী কৃষকভাইরা এবার তাঁদের গ্রামে এবং পরিবারের কাছে ফিরে যান।’ প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, ‘আসুন, এক নতুনের সূচনা হোক।’
কিন্তু, কৃষকরা এখনই ঘরে ফিরে যেতে রাজি নন। তাঁরা বলছেন, রাস্তাটা থাকার জায়গা নয়, থাকার জায়গা বাড়িই। তবু তাঁরা বাড়ি ফিরবেন না, আইনগুলি খাতাকলেম বাতিল হওয়ার আগে। ওইসঙ্গে আছে আনুষঙ্গিক কিছু দাবিও। পূরণ হওয়া চাই সব, রাস্তা ছেড়ে যাওয়ার আগেই। কেন? দেশের কৃষকরা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করতে ভয় পাচ্ছেন। কেন? আচ্ছে দিন-এর উদ্গাতা গোড়া থেকেই কৃষকদের সঙ্গে ছলচাতুরি করেছেন। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যগগনে কৃষি সংস্কারের এই ধুয়ো তোলা হয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে দিয়ে ঘোষণা করা হয়, কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আর্থিক বুনিয়াদ আরও মজবুত করা জরুরি। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অংশ হিসেবেই কৃষি আইন তিনটি আনা হচ্ছে। ২০২০ সালের ৩ জুন মোদি মন্ত্রিসভা আইন তিনটিকে অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ আকারে অনুমোদন করে। আইন তিনটিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের সিলমোহর পড়ে দু’দিন বাদে। অধ্যাদেশ থেকে পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত করার উদ্দেশ্যে সে-বছর বর্ষা অধিবেশনেই (সেপ্টেম্বর, ২০২০) তিনটি বিল আনা হয়। সেসব তড়িঘড়ি পাশও করিয়ে নেন মোদি। 
অধ্যাদেশ জারি এবং কৃষি বিল পেশের দিন থেকেই প্রতিবাদের শুরু। আন্দোলনকারীদের এক ও একমাত্র দাবি ছিল, এসব পত্রপাঠ প্রত্যাহার করতে হবে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে গোড়ার দিকের প্রতিবাদটা প্রতীকীই ছিল। বিরোধীরা বলেছিল, পার্লামেন্টারি প্যানেল দিয়ে বিল তিনটির সবদিক স্ক্রুটিনি করতে হবে। অন্যদিকে, শাসক দল ও সরকার পরিস্থিতির এবং মহামারীকালে দেশবাসীর অসহায়তার সুযোগ নিতে মরিয়া ছিল। ভেবেছিল, আন্দোলনের জল বেশিদূর গড়াবে না। অতএব কৃষক এবং বিরোধীদের দাবিগুলি জোরের সঙ্গে খারিজ করা হল। আইন তৈরি হল জবরদস্তি। প্রথম দূরদৃষ্টির পরিচয় দিল মোদি মন্ত্রিসভার শরিক অকালি দল—সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাল। হরসিমরত বাদল মন্ত্রিসভা ছাড়লেন। দলটিও এনডিএ ত্যাগ করল! কক্ষে জোরালো প্রতিবাদের পরিণামে রাজ্যসভার হাফ ডজনের বেশি এমপি-কে একসপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হল। অতঃপর সারা পৃথিবী দেখল: ভারতের কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নিষ্ঠা। আন্দোলন কীভাবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হয়। ‘দিল্লি চলো’। দিল্লির উপকণ্ঠে (সিংঘু, গাজিপুর) রাজপথে পড়ে থেকে প্রতিবাদ। কনকনে শীত, গ্রীষ্মের দহনজ্বালা, প্রবল বর্ষা একে একে কাবু হল। যে-সরকার চীনা ফৌজের ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চরমভাবে ব্যর্থ, সেই সরকার প্রতিবাদী কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ ঠেকিয়ে রাখে সমস্ত প্রকার বল প্রয়োগের দ্বারা। কৃষকদের বুকের উপর দিয়ে লখিমপুর খেরির মতো বীভৎস কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নানাভাবে সাতশোর বেশি কৃষক আত্মবলিদান দিয়েছেন। তবু তাঁরা গান্ধীর পথই আঁকড়ে থেকেছেন। হাজার প্ররোচনাতেও হিংসাশ্রয়ী হননি। তাঁরা জানতেন, অহিংসা দিয়েই হিংসা ও ছলনাকে জয় করবেন।
১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ভিতর দিয়ে তারই সূচনা হয়েছে। তবু আন্দোলন এখনই তুলে নেবেন না তাঁরা। কারণ, ভারতের প্রধানন্ত্রীর মুখের কথাও বিশ্বাস করতে ভয় পাচ্ছেন! গত সাতবছরে এই প্রধানমন্ত্রী বার বার প্রমাণ দিয়েছেন, তাঁর মন আর মুখ এক নয়। তাহলে তিলে তিলে গড়া আন্দোলনটিকে তাঁরা ঠান্ডাঘরে পাঠিয়ে দেবেন কোন বিচক্ষণতায়! রাজনীতির নিম্ন শ্রেণির কারবারিদের একাংশের আয়ারাম গয়ারাম প্রবৃত্তিটা ইতিমধ্যেই আমাদের গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার ক্ষমতার উচ্চাসনের সেই চরিত্র প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করছে ভারত। কিছু জনপ্রতিনিধি তাঁদের মতলব মতো আজ এ-দল, কাল সে-দল... করে বেড়ান। রদ হওয়া আইনও যদি কোনও একদিন পুনর্বহাল হয়! 
ভয় পাওয়ার আরও কারণ আছে যে। ভারতের স্বাধীনতার সূর্য মহাত্মা গান্ধী। তাঁকেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হত্যা করেছিল স্বাধীনতার ঊষালগ্নে। দেশবাসীর তীব্র ঘৃণা বর্ষিত হয়েছিল হিন্দু মহাসভা এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রতি। এই দেশবাসী ক্ষমাসুন্দরও হয়ে ওঠে একসময়—‘পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো’ দর্শন থেকে। অটলবিহারী বাজপেয়ির মতো এক প্রিয়মুখ সামনে এনে রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ আসন অব্দিও পৌঁছে গিয়েছে তারা। অগ্নিমূল্যের আঁচে ভস্ম হয়ে গিয়েছিল এহেন বাজপেয়ির সরকারও। কিন্তু তার ভিতরে উপ্ত ছিল এক ফিনিক্স পাখির ডিম। মনমোহন সিংহের দশবছরে, জারিজুরির উষ্ণতায় সেই ডিমে তা দিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তা থেকেই ২০১৪-য় উঠে এসেছিল মোদি সরকার। মোদির প্রতিশ্রুতি ছিল: ইউপিএ সরকারের দুর্নীতির মূল উপড়ে ফেলবেন। সুসমৃদ্ধ আত্মনির্ভর ভারতীয় অর্থনীতির কল্যাণে সবার জীবনে আসবে আচ্ছে দিন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, উগ্র হিন্দুত্বের যে জুতোয় স্বাধীনতা-পূর্ব যুগে পা গলিয়েছিল, সেখান থেকে বেরতে রাজি নয় তারা।
আজও মোদিবাবুদের পুঁজি রামমন্দিরকে সামনে রেখে ‘রামরাজ্য’প্রতিষ্ঠার ধাপ্পাবাজি। স্বাধীন ভারতে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার প্রথম বলি কোনও মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান বা বৌদ্ধ নয়। একজন হিন্দু, চূড়ান্তরকমে রামভক্ত তিনি। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। গান্ধীর ঘাতকদের পুজো করতেও শাসকের লাই-পাওয়া লোকদের রুচিতে বাধে না। সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া কিংবা দেশের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা শত্রুর কাছে ফাঁস করা নিশ্চয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে এখন দেশদ্রোহিতা বলে গণ্য হয় মোদি-শাহ-যোগীর সমালোচনা কিংবা কৃষক আন্দোলন। শুধু ছাড় পেয়ে যাচ্ছে গান্ধীর ঘাতকদের পূজারিরা। না-হলে জামনগরে, গোয়ালিয়রে তাদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে কী করে? কেন তাদের ফাটকে ভরা হচ্ছে না? রক্তমাংসের কোনও মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। গান্ধীকে নিয়ে যেকোনও মানুষের পক্ষে বিপক্ষে মত থাকতে পারে। তাই বলে গান্ধীহত্যাকে সমর্থন! তাঁর ঘাতকদের ভিতরে বীররসের সন্ধান! একটি মতবাদ কতটা দেউলিয়া হলে এটা সম্ভব? এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কীসের বলিদান দিবস? ‘বলিদান’ কথাটির সঙ্গে মিশে রয়েছে ‘শ্রদ্ধা’। দেশের শত্রুকে নিধনের কারণে কারও জীবন বলিপ্রদত্ত হলে তা বলা যায়। গান্ধী কি তাহলে দেশের শত্রু ছিলেন! গান্ধীর ঘাতকদের নিয়ে নতুন এই মাতামাতি কি বৃহত্তর কোনও পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়? এর পিছনে রাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন মদত কি নেই? ‘দেশদ্রোহ’-এর সংজ্ঞা কি নতুন করে লেখার চেষ্টায় আছে মোদির ভারত? গডসে, আপ্তে, সাভারকারদের ইতিহাস পুনর্লিখনে প্রয়াসীদের কী করে বিশ্বাস করবেন কৃষকরা, দেশবাসী?
ক্ষমা একবার দু’বার যুক্তিগ্রাহ্য। কিন্তু বার বার নয়। মোদি কোম্পানির হাতযশে এই যে অবিশ্বাসের বাতারণ সমগ্র রাজনীতিকে স্পর্শ করল, একে আপনি দুঃসময় ছাড়া কী বলবেন? মোদির চাতুরির ফাঁদে পড়ে বিরোধী-ঐক্য হাঁসফাঁস করেছে এতকাল। ব্যতিক্রম কৃষক আন্দোলন। বিজেপি-বিরোধী প্রায় সব দল মতের মানুষ স্মরণকালের মধ্যে এতটা এককাট্টা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ছবিটাই বিম্বিত হয়েছে। সেদিন কংগ্রেস বাধ্য হয়েছিল বাংলায় মমতার হাত ধরতে। এবারের কৃষক আন্দোলন থেকে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, আরজেডি, সপা, অকালি, বাম প্রভৃতি বিরোধীরা কি মোদির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা নেবে?
24th  November, 2021
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ শিশুরাই বিপন্ন
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার মন্ত্রীরা বিরক্তিকরভাবে অনেক কথা বলে চলেন। যেমন—পাকিস্তানের হুমকি, নামোল্লেখহীন এক প্রতিবেশী দেশের (চীন) বৈরিতা, হিন্দুত্ব, সংসদে বিঘ্নসৃষ্টি, আন্দোলনজীবী (বারোমেসে প্রতিবাদী), রাজনীতিতে রাজতন্ত্র/পরিবারতন্ত্র, ৭০ বছরের অনুন্নয়ন, ভারত এক বিশ্বগুরু (বিশ্বের শিক্ষক), এবং আরও অনেক কিছু ।
বিশদ

কংগ্রেসকে নেতৃত্বে রেখে
মোদিকে হটানো যাবে না...
হিমাংশু সিংহ

কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্র করতে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলার তাগিদে। স্রেফ পরিবারতান্ত্রিক সরকার চালানোর জন্য নয়। দুর্ভাগ্য আমাদের, স্বাধীনতার পর সেই আবেগটাকেই একটা পরিবার ‘হাইজ্যাক’ করেছিল। পুরনো ইতিহাস খুঁড়লে এটাই ষোলোআনা সত্যি। বিশদ

05th  December, 2021
পথ দেখাল ত্রিপুরা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ভেবেছিলেন, মমতার দল কিস্যু করতে পারবে না। কিন্তু, অনেক ভয়ভীতি, মারধর সত্ত্বেও আগরতলার ২০শতাংশ ভোটার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। স্রেফ মমতা-ম্যাজিকে। বাংলার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও মমতার নামের পাশে ‘ম্যা঩জিক’ শব্দটি জুড়ে যাচ্ছে।
বিশদ

04th  December, 2021
মাননীয় হাইকমান্ড,
একটু আত্মবিশ্লেষণ করুন
সমৃদ্ধ দত্ত

তৃণমূল কংগ্রেস কেন গোয়ায় লড়াই করতে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন ত্রিপুরায় গিয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেস কেন মুম্বইয়ে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে?
বিশদ

03rd  December, 2021
দোভাল দর্শনে ভীত
নাগরিক সমাজ!
মৃণালকান্তি দাস

নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে যে সঙ্কেত দিতে চেয়েছেন, তা হল, পুলিস তথা নিরাপত্তা বাহিনীকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার নামে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ দমনে ‘তৎপর’ হওয়ার সঙ্কেত। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজ দেশবাসীকে রক্ষা করা। গভীর পাঁকে আটকে যাওয়া গেরুয়া শিবিরকে উদ্ধার করা নয়!
বিশদ

02nd  December, 2021
বিজেপির উন্নয়ন যেন
চৌর্যবৃত্তির মডেল

সন্দীপন বিশ্বাস

আদতে কোনও রাজনৈতিক দলের অসম্মানেই দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু এসে যায় না। সেটা একটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার, কেন্দ্রের মন্ত্রী, বিজেপির মন্ত্রী যখন এমন কাজ করেন, যাতে দেশের সম্মান ও গৌরব ভূলুণ্ঠিত হয়, তখন তা জাতীয় লজ্জা হিসেবেই দেখা দেয়।
বিশদ

01st  December, 2021
তথ্য সুরক্ষা বিল এবং
শাসকের ‘দূরের লক্ষ্য’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এ দেশের ক্ষেত্রে যদি নজরদারি চালানোটা আইনসিদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো আর আড়াল-আবডালের প্রয়োজনই থাকবে না। সেটাই চাইছে কেন্দ্র। আইনি সিলমোহর। সরকার বিরোধী মতামত দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে সরকারের ভাড়া করা সৈন্যরা। টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবে গারদের ওপারে।​​​​​
বিশদ

30th  November, 2021
প্রভাবশালী ধনীরা
জবাবদিহির ঊর্ধ্বে
পি চিদম্বরম

ধনীরা প্রভাবশালী হয় এবং প্রভাবশালীরা ধনী হয়। একবার প্রভাবশালী এবং ধনী হয়ে গেলে, স্পষ্টতই তারা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাবে। এটাই হয়েছে আজেকর বিপদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন শেরম্যান (প্রথম অ্যান্টিট্রাস্ট অ্যাক্ট, ১৮৯০—সাধারণভাবে যেটিকে শেরম্যান আইন হিসাবে উল্লেখ করা হয়) বিশদ

29th  November, 2021
কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূল
হলে আপত্তি কোথায়?
হিমাংশু সিংহ

গোটা দেশে ঝিমিয়ে পড়া বিরোধীদের শুকনো গাঙে তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিপ্লবের নয়া কেতন উড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা থেকে গোয়া। জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও মমতাই আজ মোদির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিপক্ষ।
বিশদ

28th  November, 2021
পুরভোটের সন্ত্রাসে বিপদ
বাড়ল ত্রিপুরা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

ত্রিপুরায় তৃণমূলকে শূন্য প্রমাণের জন্য পুরভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করে বিজেপি নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল। ২০২৩ সালে আর ইউনিট টেস্ট নয়, বিপ্লব দেবকে বসতে হবে বোর্ডের পরীক্ষায়। পরীক্ষকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

27th  November, 2021
কৃষকরা সকলের জন্যই
দিলেন জীবনের শিক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির বিরোধীদের কাছে একটাই সুসংবাদ যে, তিনি ইতিহাস চর্চা করেন না। যদি করতেন, তাহলে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভারতের ইতিহাসের দিকে চোখ রাখতেন। খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হতো না। কারণ তাঁর হাতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে।
বিশদ

26th  November, 2021
মোদির পিছু হটা কীসের ইঙ্গিত!
মৃণালকান্তি দাস

কে না জানে, একটি শাসকদল পিছু হটে তখনই, যখন সে বুঝতে পারে তার পায়ের তলার মাটি সরছে। পায়ের তলার মাটি একবার সরতে শুরু করলে কী হয় তা বাংলার মানুষ জানেন। সিঙ্গুরেও পিছু হটে নজির গড়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধবাবু ডুবেছিলেন, সিঙ্গুরের মানুষের মতামত না নিয়েই জোরজবরদস্তি জমি অধিগ্রহণ করে। মোদির ক্ষেত্রেও তাই। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ছাড়া কৃষিতে সংস্কারমূলক তিনটি আইন আনতে গিয়ে তিনিও ডুবেছেন।
বিশদ

25th  November, 2021
একনজরে
পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM