ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
মানিকচক থানার আই সি অক্ষয় পাল বলেন, ওয়ারেন্ট ছিল ওই প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে। সেই কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, তাই তাঁকে আমরা হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাইনি। আদালত তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ৭০ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছেন ওই প্রাক্তন প্রধান। তিনি ১০০ দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বেশিরভাগ কাজ না করেই বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পুরনো কাজকেই নতুন করে দেখিয়ে বিল করা হয়েছে। সেসবের প্রতিবাদ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। এমনকী শেষের দিকে নিজের দপ্তরে আসাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসন ও পুলিস তদন্ত করলেও বেপড়োয়া ছিলেন ওই প্রাক্তন প্রধান। বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। আমরা চাই জনগণের অর্থ নয়ছরের অপরাধে তাঁর যথোপযুক্ত শাস্তি হোক।
মানিকচকের তৃণমূল নেতা লিয়াকত খান বলেন, সিপিএম ছেড়ে এক সময় তৃণমূলে যোগ দেবে বলে জানিয়েছিলেন ওই প্রধান। কিন্তু তিনি অফিসিয়ালি তৃণমূলে যোগদান করেননি। লোকজন জানত তিনি তৃণমূলেরই প্রধান। কিন্তু তিনি ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা নির্দল হয়েই রয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানকে আদালতে পেশ করার পথে তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্য দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। তার জেরেই তাঁকে হেনস্তা হতে হচ্ছে। তার বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।
তবে সিপিএমের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনাটি নিয়ে আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূলের দিকে। সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবজ্যোতি সিংহ বলেন, সিপিএমে থেকে দুর্নীতি করা যাবে না বুঝতে পেরেই ওই প্রাক্তন প্রধান ক্ষমতায় থাকতেই তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। তারপরেই তিনি বিপুল দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সিপিএম এই ধরনের দুর্নীতি বরদাস্ত করে না।
জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, তৃণমূলে দুর্নীতির স্থান নেই। তাই রাজনৈতিক রঙ না দেখেই এরাজ্যে অপরাধী ও দুর্নীতিগ্রস্তদের অনায়াসে গ্রেপ্তার করে পুলিস। মানিকচকের ঘটনা সেই সত্যই আবার সামনে আনল।