ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
তিনি বলেন, মহামারীর কারণে বন্ধ হয়ে থাকা স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। খুব শীঘ্রই স্কুল খোলার ঘোষণাও হয়ে যাবে। সেই ব্যাপারেই ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় দু’বছর ধরে স্কুল বন্ধ। যার কারণে বিভিন্ন স্কুলের মেরামতির প্রয়োজন আছে। সেই নিয়েও কথা হচ্ছে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে।
তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কামতাপুরী ও রাজবংশী ভাষার যে নতুন স্কুলগুলি চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন সেই ব্যাপারে প্রশাসনিক কাজকর্ম দ্রুততার সঙ্গে চলছে। আমরা জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্কুলগুলির জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলছি। মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দেন তা তিনি পূর্ণ করেন। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না বলে তিনি জানান।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্মেলনে বিদ্যালয় শিক্ষাদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র, রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, ডিপিএসসি চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় প্রমুখ।
মহুয়া গোপ বলেন, শিক্ষক সংগঠন নিজের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি মূল দলকেও সহযোগিতা করুক। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, শিক্ষকদের সম্মেলনে সংগঠনের কিছু বাস্তবসম্মত দাবিদাওয়া ছিল, যেগুলি আমরা বিবেচনা করব বলে জানিয়েছি। তাঁর কথায় মুখ্যমন্ত্রী ২০১১ সাল থেকে যেভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে ও শিক্ষকদের জন্য কাজ করেছেন, তাতে কারও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তেমন কিছু সমস্যাও নেই। তবে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি ও অন্য রাজনৈতিক দল শিক্ষক মহলকেও ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। যাতে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছিলেন।
প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি স্বপনকুমার বসাক বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকাদের কিছু পেশাগত সমস্যার দিক তুলে ধরা হয়েছে। যেগুলি আমরা সম্মেলনের আগে প্রস্তুতি সভায় ঠিক করে নিয়েছিলাম। এদিন সেগুলি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যা, দীর্ঘ করোনাকালে সংগঠনের কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। আর এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।