ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, গত বছর মার্চ থেকে বেশকিছু দোকানে ই-পসের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়নি। ছ’মাসে ১৫-১৬ শতাংশ রেশন সামগ্রী বিতরণ ই-পসের মাধ্যমে বিলিবণ্টন হয়নি। আগামী চার মাসে ধাপে ধাপে সামগ্রী কমিয়ে সেটা ব্যালেন্স করা হবে। কোনও মাসে এনএসএফএ কার্ডের জন্য একশো কুইন্টাল খাদ্যসামগ্রী দিলে এখন সেটা কমে ৮৬ কুইন্টাল দিচ্ছে। কারণ হিসেবে অটোমেটেড বিলিবণ্টন না হওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। এই সামগ্রী ডিলারের দোকান কিংবা ডিস্ট্রিবিউটরের গোডাউনে জমা আছে বলে কেন্দ্র ধরে নিচ্ছে। আগামী চার মাস এভাবে সামগ্রী কেটে দেওয়া হবে।
গোটা রাজ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশ গ্রাহক এনএফএসএ কার্ডপ্রাপক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৪৯ লক্ষ ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে রেশন সামগ্রী পান। ওই কার্ড প্রাপকরা মাথাপিছু দু’কেজি চাল এবং তিন প্যাকেট আটা পান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় মাথাপিছু দু’কেজি চাল ও তিন কেজি গম দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ১৫ শতাংশ রেশন সামগ্রী বরাদ্দ ছাঁটাই শুরু করতেই ডিলারদের কাছে অন্যান্য মাসের তুলনায় কম সামগ্রী এসেছে। এই অবস্থায় ডিসেম্বরের শুরু থেকে রেশন সামগ্রী দেওয়ার সময় পূর্ব মেদিনীপুরের বেশকিছু এমআর ডিলার গ্রাহকপিছু ৫০০ গ্রাম করে ছেঁটে দিয়েছিলেন। এনিয়ে নানা জায়গায় অশান্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি সকল ডিলারের কাছে পুরো রেশন সামগ্রী দেওয়ার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার তমলুকের মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য প্রত্যেক রেশন ডিলারের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়ে গ্রাহকদের পুরো সামগ্রী দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও ডিলার এই নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন।
ময়না থানার গোড়ামহাল গ্রামের রেশন ডিলার স্বপন ভৌমিক বলেন, কিছু ডিলারের গোডাউনে অতিরিক্ত রেশন সামগ্রী থাকতে পারে। তবে, সেটা শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসের ঘাটতি পূরণ হতে পারে। জানুয়ারি থেকে এই ঘাটতি পূরণ হবে না। একদিকে বরাদ্দ ছাঁটাই, অন্যদিকে পুরো সামগ্রী দেওয়ার চাপের মুখে পড়ে ডিলারদের আন্দোলন ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা