ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
মেডিক্যাল গবেষণা সংক্রান্ত দেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) বিশেষজ্ঞ এই বাঙালি বিজ্ঞানী রবিবার ‘বর্তমান’কে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ওমিক্রন বা সার্স কোভ-টুর বি.১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্ট আগের প্রজাতিগুলির চেয়ে পাঁচগুণ বেশি সংক্রামক। ডেল্টার চেয়ে স্পাইকও বাড়ে দ্বিগুণ। তার জন্য আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। তবে এটি বাড়াবাড়ি রকমের কিছু করতে সক্ষম নয় বলেই এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। মৃত্যুর খবরও নেই। তাই অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো অর্থহীন। বরং সচেতনতা জরুরি। মাস্ক পরুন, ভ্যাকসিন নিন। তাহলেই হবে।’
কর্ণাটক, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের পর রাজধানী দিল্লিতেও রবিবার সন্ধান মিলেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের। তানজানিয়া থেকে এসেছিলেন ভারতীয় ওই নাগরিক। তবে টিকার ডবল ডোজ থাকায় তিনি স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন নয়াদিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ (এলএনজেপি) হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ সুরেশ কুমার। স্রেফ তিনিই নন। বিদেশ থেকে আসা আরও ১৬ জন কোভিড পজিটিভ হয়ে ভর্তি এলএনজেপিতে। তাঁদের ৬ জন আত্মীয়র রিপোর্টও পজিটিভ। তাঁরা কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না, তার জন্য জিনোম সিকোয়েন্সে পাঠানো হয়েছে নমুনা। রাতের খবর, পুনেতে সাত ও রাজস্থানে ন’জনের খোঁজ মিলেছে, যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত।
দেশে কোভিড আক্রান্তের দৈনিক সংক্রমণ নেমে এসেছে মাত্র ৯ হাজারে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও ১ লক্ষের নীচে। এই অবস্থায় ওমিক্রনের কাছে হারতে নারাজ কেন্দ্র। তাই টিকাকেন্দ্রে তো বটেই, ‘হর ঘর দস্তক’ কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণ সম্পূর্ণ করাই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের লক্ষ্য। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ৩২৪ দিনের মাথায় দেশের ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে। যা ভারতের মধ্যে বৃহৎ জনসংখ্যার দেশে স্বস্তির সংবাদ বলেই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।