উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এমনিতেই এটিএম জালিয়াতি গুরুতর উদ্বেগ চারিয়ে দিয়েছে নাগরিক পরিসরে। জালিয়াতরা যে এটিএম থেকে টাকা গায়েব করা শুরু করেছে, তা প্রশাসনের জানা ছিল। ব্যাঙ্কগুলিরও অজানা নয়। ক্লোনিং বা স্কিমিং—কোন কোন পদ্ধতিতে এটিএম থেকে বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা জালিয়াতরা হাতিয়ে নিতে পারে, তাও জানা ছিল। তা সত্ত্বেও একের পর এক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। শুনলে অবাক হবেন, এখন ব্যাঙ্ককর্মীরাই পাচার করছে তথ্য! ‘চেক ক্লোন’ করে উধাও হয়ে যাচ্ছে গ্রাহকের বিপুল অর্থ। গত মার্চে এই চক্রে একাধিক ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশ জড়িত বলে জানতে পেরেছেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা। এটিএম কার্ড ক্লোন-এর আতঙ্কে এমনিতে গ্রাহকদের মাথায় হাত। তার উপরে আবার চেকও হুবহু ‘ক্লোন’ হয়ে যাচ্ছে। তাহলে গ্রাহকেরা টাকা রাখবে কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। কী ভাবে হচ্ছে চেক ক্লোন? কোনও গ্রাহকের চেক হাতিয়ে নিয়ে প্রথমে তা ডিওডোরেন্টের বোতলের গায়ে শক্তকরে মুড়ে ফেলা হয়। এর পর রাসায়নিকের মাধ্যমে গ্রাহকের নাম এবং প্রয়োজনীয় ‘সিকিউরিটি কোড’ ধীরে ধীরে ব্লেড বা ধারালো কোনও কিছু দিয়ে তুলে দেওয়া হয়। পরে ওই জায়গায় বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে জালিয়াতরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম এবং প্রয়োজনীয় ‘সিকিউরিটি কোড’ বসিয়ে দেয়। সেই চেক যেখানে জমা করা হচ্ছে, ওই ব্যাঙ্কে আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট খুলে রাখা হয়। যে ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে জমার পর, তাঁকে কমিশনও দেয় জালিয়াতরা। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ জটিল প্রক্রিয়ায় ব্যাঙ্ক কর্মীরা জড়িত না থাকলে, কোনও ভাবেই সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারাই। তাহলে উপায় কী? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, ব্যাঙ্কগুলি তাদের যেসব জালিয়াতির কথা জানাচ্ছে, তার সবগুলির জন্যই ব্যাঙ্কগুলিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে হবে। তবে ব্যাঙ্কগুলি এখনও পর্যন্ত কত ক্ষেত্রে মামলা করেছে এবং কতগুলিতে সেই প্রক্রিয়া চলছে, সেই তথ্য রিজার্ভ
ব্যাঙ্কের হাতে নেই। মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের সিন্দুকে আমাদের অর্থ সুরক্ষিত, রাষ্ট্রের হেপাজতে আমরা নিরাপদ, এই বোধ যদি এক বার টলে যায়, তা সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।