উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এদিন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ করলেও ইমার্জেন্সির সামনে তাঁবু খাটিয়ে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে গোটা কাটোয়া শহরজুড়ে চিকিৎসকদের সমস্ত চেম্বার বন্ধ থাকায় নাজেহাল হতে হয়েছে রোগীদের। এবিষয়ে আইএমের কাটোয়া শাখার সম্পাদক ডাঃ সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা এদিন প্রতিবাদের জন্য আউটডোর বন্ধ রেখেছিলাম। তবে চিকিৎসা পরিষেবা সচল রেখেছিলাম। এদিকে, চিকিৎসকদের এই কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তারজন্য হাসপাতালে পুলিস মোতায়েন ছিল। এছাড়া কাটোয়া মহকুমার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।
অন্যদিকে, এদিন কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা থাকলেও জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে আসা রোগীরাও ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা করেন। হাসপাতালের সহকারী সুপার গৌতম বিশ্বাস বলেন, আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকলেও জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। এদিন আউটডোরে রোগীর সংখ্যা কম ছিল। চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগের ঘর ছাড়াও আলাদা ঘরে বসে রোগী দেখেন। মহকুমার পূর্বস্থলী-১ ব্লক হাসপাতালে আউটডোর এদিন চালু ছিল। এই হাসপাতালে এদিন প্রায় সাড়ে ৩০০ রোগীর চিকিৎসা করেন চিকিৎসকরা। ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ রত্না দত্ত বলেন, কলকাতার এনআরএসে চিকিৎসকদের উপর যে জঘন্য হামলা চালানো হয়। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে পুলিসি নিরাপত্তার দাবি করছি। তাই বলে আমরা আউটডোরের চিকিৎসা কোনওদিন বন্ধ রাখিনি।
অপরদিকে, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ও ইএসআই হাসপাতাল সহ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোরের রোগীদের পরিষেবা বন্ধ ছিল। এদিন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা করার জন্য টিকিট দেওয়া হয়। টিকিট নিয়ে চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা চেম্বারে না আসায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা না করিয়েই তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে হয়।