উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ির জেলা পুলিস সুপার শিল্পোদ্যোগীদের সমস্যা নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে পুলিস সুপার শিল্পোদ্যোগীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কারও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না। ওই বৈঠকে রাজগঞ্জের করতোয়া এলাকার ওই কারখানার মালিক সতীশ কুমার আগরওয়ালা অভিযোগ করেন, শাসকদলের স্থানীয় কয়েকজন নেতার মদতে কিছু শ্রমিক কাজ না করায় উৎপাদন মার খাচ্ছে। মালিকপক্ষ এর পরেরদিন কারখানায় গেলে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার মদতে কয়েকজন শ্রমিক মালিক ও ম্যানেজারের উপর চড়াও হন। ওই ঘটনায় রাজগঞ্জ থানায় মালিকপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সহ কয়েকজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। হামলার ঘটনার দিন থেকে কারখানাটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সতীশবাবুর অভিযোগ, কারখানা খোলা থাকলেও তৃণমূলের স্থানীয় ওই নেতার জন্য অন্যান্য শ্রমিকরা হামলার দিন থেকে কারখানায় কাজে আসতে পারেননি। মোট ৫৬ জন স্থায়ী শ্রমিক কারখানায় ছিল। এরমধ্যে হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়াও অস্থায়ী ১০ জন শ্রমিক রয়েছে। ছাটাই করা ১০ জন বাদে অন্য শ্রমিকদের জন্য কারখানার দরজা সবসময় খোলা রয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী কয়েকজনের ভয়ে অন্য শ্রমিকরা কাজে আসতে পারছেন না। নর্থবেঙ্গল ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন শিল্পদ্যোগীদের আহ্বান করছেন, তখন তাঁর দলের স্থানীয় কিছু নেতা দাদাগিরি করে শিল্প বন্ধ করে দিচ্ছে। তাদের দাদাগিরিতে প্রায় চার মাস একটি কারখানা বন্ধ হয়ে রয়েছে। এতে উত্তরবঙ্গে শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে মোটেই ভালো বার্তা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে নতুন করে কেউ এখানে শিল্প গড়তে এগিয়ে আসবেন না। স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গেও কয়েক দফায় আমরা আলোচনা করেছি। কিন্তু তাতে সমাধান সূত্র বের হয়নি। তাই গোটা বিষয়টি এখন মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনতে চাই। আসা করছি, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান সূত্র বের হবে। বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ১০ জন শ্রমিককে ছাঁটাই না করে কারখানা চালু করার ব্যাপারে আগেই দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে কারখানায় কোনও সমস্যা হলে আমি নিজেই দ্রুত হস্তক্ষেপ করব।