Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নরেন্দ্র মোদির মালদ্বীপ সফর এবং ভারত মহাসাগরে ভারতের নতুন রণনীতি
গৌরীশঙ্কর নাগ

নির্বাচন মিটলেও, ইভিএম বিতর্ক নিয়ে তরজার পারদ এখনই নামবে এমন সম্ভাবনা সুদূরপরাহত। গোদের ওপর বিষফোঁড়া—দ্বিমুখী চাপে বিদ্ধ ভারতের করুণ অবস্থা।
১) ট্রাম্পের আমলে নতুন করে ভারত অসম বাণিজ্যিক যুদ্ধের মুখোমুখি। এর প্রধান কারণ অবশ্যই সদ্য ঘোষিত জেনারেল সিস্টেম অব প্রেফারেন্স থেকে ভারতকে বাদ দেওয়া। এর ফলে কমবেশি আরও দু’হাজারটি পণ্য রপ্তানি বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে মোদিজি প্রতিক্রিয়া কী—তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভিসা-বিতর্ক, ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার পর জিএসপি—একের পর এক মার্কিন আঘাত হজম করেও মার্কিন তোষণ-নীতি থেকে ভারত বেরিয়ে আসতে পারেনি।
২) চলতি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ধোনির গ্লাভসে ভারতীয় প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের চিহ্ন—বিতর্ক নিয়ে যখন ভারত-পাক তরজা উত্তাপ ছড়াচ্ছে, তখন পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর পরই মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি অনেকটা যেন আত্মবিশ্বাসী মহারাজের মতো দুপা বাড়িয়ে মৃদু ব্যাকলিফ্‌ট থেকে হাফ ভলিতে বাউন্ডারি হাঁকালেন। বুঝতে অসুবিধা হয় না, এতে আমরা ভারতের নতুন কৌশলী চালের ইঙ্গিত পাচ্ছি।
প্রথমত, আমেরিকা যখন ভারতের ওপর খানিকটা আক্রোশবশত চাপ বাড়াতে চাইছে, যার অন্যতম কারণ হল যাতে ভারত মস্কো থেকে সফিসটিকেটেড মিসাইল প্রতিরক্ষা—প্রযুক্তি এস৪০০ না কেনে, তখন সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে আমরা দেখলাম মোদিজি নেতৃত্বে ভারতের বিদেশমন্ত্রক তার সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিল দক্ষিণ এশিয়ায় তার একান্ত নিজস্ব প্রতিবেশী এলাকায়।
দ্বিতীয়ত, মালদ্বীপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অভিনব দিকের সূচনার দিক থেকেও মোদিজির এই সফরকে দেখা যেতে পারে, তা হল বিশ্বকাপের আবহে এই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রিকেটীয় যোগসূত্র স্থাপন, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সবচেয়ে সফল কূটনীতির জায়গাটা হল ক্রিকেটীয় সম্পর্ক। কারণ, আফগানিস্তানের কয়েকজন প্লেয়ার আইপিএল-এ সম্ভাবনার স্বাক্ষর রেখেছেন। তা ছাড়া তাঁরা গ্রেটার নয়ডা ও দেরাদুনে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের পারসেপশনস হল—ভারতের জন্যই তাঁরা আইসিসি থেকে টেস্ট খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন। কৌটিল্যের মণ্ডল তত্ত্ব অনুযায়ী, পাকিস্তানকে চাপে রাখতে ভারতের আফগান যোগসূত্র বিশেষ করে ক্রিকেট কূটনীতি দারুণ কাজ করেছে। এখন প্রশ্ন হল, মালদ্বীপের অবস্থান, বিশেষত বিরূপ জলবায়ুর কারণে যখন দ্বীপরাষ্ট্রের অনেকটা জমি ক্রমশ সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে তখন নতুন করে ক্রিকেট ডিপ্লোম্যাসির ভবিষ্যৎ কী—বলা বেশ কঠিন। তবে, মোদি-সোলি যোগাযোগ যে এই জনপ্রিয় ক্রিয়ার আস্বাদনকে আরও প্রসারিত করার অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে তা বলাই বাহুল্য। উপদেশীয় ক্রিকেট উত্তেজনার ইমপালস মোদিজি ভালোই বোঝেন। তবে, মালদ্বীপে ক্রিকেট কূটনীতি হয়তো পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য ততটা নয়, যতটা-না শ্রীলঙ্কাকে বার্তা দেওয়া।
তৃতীয়ত, মালদ্বীপ মানেই আমরা ইতিমধ্যে যা দেখেছি তা হল রাজনৈতিক জমি দখলের জন্য চীন-ভারতের দ্বন্দ্ব। এর কারণ অবশ্যই মালদ্বীপের অবস্থানগত গুরুত্ব। তবে শুধু মালদ্বীপই নয়, ভারতের পাখির চোখ রয়েছে মরিশাস ও সিসেলসকে কেন্দ্র করে, কারণ চীনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নৌ-সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিলে তার নিজস্ব উপকূল থেকে এই প্রসারিত ক্ষেত্র তার প্রতিরক্ষাকে মজবুত করবে। রাষ্ট্রদূত ভদ্রকুমার মেল কুলানাগারার মতে, ভারতের বিদেশ নীতি একদিকে যেমন বহুদিন পর্যন্ত ভারত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের তাৎপর্যকে গুরুত্ব দেয়নি, তেমনি পরের দিকে ভারত-মহাসাগরের যে বৃত্ত—তার উপরিভাগের ভূ-মণ্ডলকে সে প্রভাবিত করতে চেয়েছে। মালদ্বীপ কিন্তু এই বৃত্তের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে অবস্থান করছে। সুতরাং ভিয়েতনাম যেমন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, ঠিক তেমনি ভারত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে মালদ্বীপ হয়ে উঠতে চলেছে ভারতের ঘনিষ্ঠ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার। এ প্রসঙ্গে এ-কথা বললে অত্যুক্তি হবে না, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজের প্রভাব বজায় রাখার স্বার্থে মোদি ২০১৫ সালে উচ্চাভিলাষী ‘সাগর ডকট্রিন’ ঘোষণা করেছিলেন। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হল চীনকে আটকানো। কারণ, দক্ষিণ চীন সাগরে কিছুটা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়ে চীন চাইছে ভারত মহাসাগরে প্রভাবের ক্ষেত্র বাড়াতে।
সুতরাং মোদিজির এই দ্বীপপুঞ্জ-সফর কেবলমাত্র হাসি বিনিময় ও করমর্দনের রাজনীতি হবে না, বরং এর প্রধান অ্যাজেন্ডাই হল প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মজবুত করা। তবে সেটা করতে গিয়ে ভারত যেন দ্বীপপুঞ্জের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অযথা হস্তক্ষেপ না করে বসে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, ভারত মালদ্বীপকে সন্ত্রাসবাদের নয়া ‘আঁতুড়ঘর’ হতে দেবে। কারণ ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি পাকিস্তান, আফগানিস্তান এমনকী মধ্যপ্রাচ্য থেকেও জেহাদি নেটওয়ার্কের কারবার মালদ্বীপেও পৌঁছে গিয়েছে। এই র‌্যাডিক্যালিজমের একমাত্র দাওয়াই হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও তার সহায়ক শক্তি হিসেবে রাজনৈতিক স্থিরতা। তবে ঘরে-বাইরে উপর্যুপরি চাপের মুখে দাঁড়িয়ে মোদি সরকার কি পারবে দক্ষিণ এশিয়ার সুদূর বিস্তৃত অঞ্চলে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীসুলভ আবহাওয়া তৈরি করতে? সার্কের ভবিষ্যৎ কিন্তু বিশবাঁও জলে। আবার মালদ্বীপের দিকে দৃষ্টি ঘোরানোর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়বে না তো? এর উত্তর হয়তো দিতে পারবে একমাত্র ‘মোদি-ম্যাজিক’।
লেখক সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
15th  June, 2019
বিধানসভা ভোট কিন্তু হবে মমতাকে দেখেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ইন্দিরা গান্ধীর টার্গেট ছিল একটাই। যেভাবে হোক সিপিএমের কোমর ভেঙে দিতে হবে। তিনি মনে করতেন, সিপিএম আসলে সিআইএ’র মদতপুষ্ট। ঠিকঠাক সুযোগ পেলে পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গে সশস্ত্র আন্দোলন করিয়ে বৃহত্তর বাংলা গঠন করে ফেলবে। কাজেই বাংলা কংগ্রেস এবং সিপিআই পছন্দের তালিকায় থাকলেও সিপিএমকে মোটে বরদাস্ত করতে পারতেন না ইন্দিরা।
বিশদ

ডাক্তারবাবুদের গণ-ইস্তফা নজিরবিহীন,
কিন্তু তাতে কি হাসপাতাল সমস্যা মিটবে?

 এ-কথাও তো সত্যি যে, হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বা ডাক্তারবাবুদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধানে তাঁর সদিচ্ছা আছে এবং ইতিমধ্যেই তার যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে প্রবীণদের বৈঠকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী সমাধানসূত্র খুঁজছেন— সেটাও কি ওই সদিচ্ছারই নামান্তর নয়? বিশদ

16th  June, 2019
সতর্কতার সময়
সমৃদ্ধ দত্ত

 ভারতীয় সংস্কৃতির সনাতন ধারাটি হল দিবে আর নিবে, মিলিবে মেলাবে। কিন্তু সেই সংস্কৃতি থেকে আমাদের সরিয়ে এনেছে অসহিষ্ণুতা আর স্বল্পবিদ্যা। আর সবথেকে বেশি জায়গা করে নিয়েছে বিদ্বেষ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি বিদ্বেষ।
বিশদ

14th  June, 2019
ক্ষমতার ‘হিন্দি’ মিডিয়াম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 উত্তর ভারতের সঙ্গে দক্ষিণের সীমারেখা। আর তার কারিগর আমরাই। আমাদের কাছে সাউথ ইন্ডিয়ান মানে মাদ্রাজি। দক্ষিণ ভারতের লোকজন নারকেল তেল খায়, অদ্ভুত ওদের উচ্চারণ, লুঙ্গি পরে বিয়েবাড়ি যায়... হাজারো আলোচনা। উত্তর ভারত মানে বিষম একটা নাক উঁচু ব্যাপার। আর দক্ষিণ মানেই রসিকতার খোরাক। তাই ওদের একটু ‘মানুষ’ করা দরকার। কীভাবে সেটা সম্ভব? হিন্দি শেখাতে হবে। বিশদ

13th  June, 2019
বারুদের স্তূপের উপর পশ্চিমবঙ্গ
হিমাংশু সিংহ

সংসদীয় রাজনীতিতে কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কারও মৌরসিপাট্টাই গণতন্ত্রে বেশিদিন টেকে না। সব সাজানো বাগানই একদিন শুকিয়ে যায় কালের নিয়মে। ইতিহাস কয়েক বছর অন্তর ফিরে ফিরে আসে আর ধুরন্ধর শাসককে চরম শিক্ষা দিয়ে তাঁকে, তাঁর ক্ষমতাকে ধুলোয় লুটিয়ে দিয়ে আবার ফকির করে দিয়ে যায়। সব ক্ষমতা এক ভোটে বিলীন। ধূলিসাৎ। আর এখানেই মহান গণতন্ত্রের জিত আর চমৎকারিত্ব। আর সেই দিক দিয়ে ২৩ মে-র ফল এই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকেও আবার এক মহান সন্ধিক্ষণের দিকেই যেন ঠেলে দিয়েছে। ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’ হয়নি, ‘২০১৯ বিজেপি ফিনিশ’—তাও হয়নি। উল্টে সারাদেশে বিজেপি থ্রি-নট-থ্রি (অর্থাৎ ৩০৩টি) আসন জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভোট-পণ্ডিতদের।
বিশদ

11th  June, 2019
মোদিজি কি ‘সবকা বিশ্বাস’ অর্জন করতে পারবেন?
পি চিদম্বরম

 নরেন্দ্র মোদি এবার যে জনাদেশ পেয়েছেন তা অনস্বীকার্যভাবে বিপুল। যদিও, অতীতে লোকসভা নির্বাচনে একটি পার্টি ৩০৩-এর বেশি আসন জেতার একাধিক দৃষ্টান্ত আছে। যেমন ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী ৩৫৩ এবং ১৯৮৪ সালে রাজীব গান্ধী ৪১৫ পেয়েছিলেন।
বিশদ

10th  June, 2019
 বিজেপি এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে
কঠিন চ্যালেঞ্জ মনে করছে কেন?
শুভা দত্ত

 কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটে গেল রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে। তাই আজও একই প্রসঙ্গ দিয়ে এই নিবন্ধ শুরু করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেই লিখেছিলাম, ভোটফল প্রকাশের পর রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় যেন একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
বিশদ

09th  June, 2019
ইচ্ছে-ডানায় নাচের তালে
অতনু বিশ্বাস

এ বছরের সিবিএসই পরীক্ষার ফল বেরতে দেখা গেল, প্রথম হয়েছে দু’টি মেয়ে। একসঙ্গে। ৫০০-র মধ্যে তারা পেয়েছে ৪৯৯ করে। দু’জনেই আবার আর্টসের ছাত্রী। না, পরীক্ষায় আজকাল এত এত নম্বর উঠছে, কিংবা আর্টস বিষয় নিয়েও প্রচুর নম্বর তুলে বোর্ডের পরীক্ষায় র‍্যাঙ্ক করা যায় আজকাল—এগুলোর কোনওটাই আমার আলোচনার বিষয়বস্তু নয়।
বিশদ

08th  June, 2019
ভারতের রাজনীতিতে ‘গেম মেকার’
মৃণালকান্তি দাস

মেধাবী হলেই যে পড়ুয়ার জন্য মোটা বেতনের চাকরি নিশ্চিত, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। শুধু প্রতিভা থাকলে আর পরিশ্রমী হলেই হবে না, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং ঠিকঠাক ‘গাইড’ না পাওয়ায় পড়ুয়ারা আজ আর সরকারি চাকরির লক্ষ্যভেদ করতে পারেন না।
বিশদ

07th  June, 2019
অবিজেপি ভোটে বাজিমাত
বিজেপির, এবং তারপর...
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আলোড়ন! নিঃসন্দেহে একটা জবরদস্ত আলোড়ন উঠেছে। লোকসভা ভোটফল প্রকাশ হওয়া ইস্তক সেই আলোড়নের দাপটে রাজ্য-রাজনীতি থেকে সাধারণের অন্দরমহল জল্পনা-কল্পনা, বিবাদ-বিতর্ক, আশা-আশঙ্কায় যাকে বলে রীতিমতো সরগরম! পথেঘাটে আকাশে বাতাসে যেখানে সেখানে ছিটকে উঠছে উৎকণ্ঠা নানান জিজ্ঞাসা।
বিশদ

06th  June, 2019
কর্ণাটক পুরনির্বাচন: আবার উল্টালো ভোটফল
শুভময় মৈত্র 

নির্বাচনে ভোটফল নিয়ে কখন যে কী ঘটছে তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না মোটেই। মানুষ অবশ্যই মত বদলাবেন। সে স্বাধীনতা তাঁদের আছে। সে জন্যেই তো ভোটফল বদলায়। নাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের কোনও অর্থই থাকে না।  
বিশদ

04th  June, 2019
বাংলায় রামবোকামির মরশুম
হারাধন চৌধুরী 

আমার মামার বাড়ি ভারত-বাংলাদেশের একটি সীমান্ত গ্রামে। বলা বাহুল্য, আমার মায়ের জন্ম দেশভাগের অনেক আগে। স্বভাবতই তাঁর স্মৃতির অনেকখানি জুড়ে ছিল অখণ্ড ভারতীয় গ্রামদেশ ও তার সংস্কৃতি। ১৯৪৭-এ মায়ের শৈশবের গ্রামের উপর দিয়েই ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের ভূগোল এবং ইতিহাস খুলেছিল এক নতুন অধ্যায়। 
বিশদ

04th  June, 2019
একনজরে
  মুম্বই, ১৭ জুন (পিটিআই): ৬৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিড়লা সূর্য সংস্থার ডিরেক্টর যশোবর্ধন বিড়লাকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ঘোষণা করল ইউকো ব্যাঙ্ক। রবিবার এ বিষয়ে জনস্বার্থে নোটিস জারি করেছে তারা। ...

  ফিলাডেলফিয়া ও লোয়া, ১৭ জুন (এপি): মার্কিন মুলুকে ফের বন্দুকবাজের হামলা। পার্টি চলাকালীন ফিলাডেলফিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক পড়ুয়ার। জখম হয়েছে আরও ৮ জন। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার কিছুটা আগে সাউথ সেভেনটি স্ট্রিট এবং রিড বার্ড স্ট্রিটের কাছে ...

  চেন্নাই, ১৭ জুন: তামিলনাড়ু পুলিসের এক সাব-ইন্সপেক্টরের বিশেষ রিপোর্টের ভিত্তিতে তিন আইএস সমর্থনকারীকে গ্রেপ্তার করল বিশেষ তদন্তকারী শাখা (এনআইএ)। ওই তিনজন কোয়েম্বাটোরের বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানে আত্মঘাতী হামলার ছক করেছিল বলে পুলিসের দাবি। ধৃতদের নাম মহম্মদ হুসেন, শাহজাহান এবং শেখ সইফুল্লা। ...

সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে আলিপুরদুয়ারে জেলা জুড়ে ফের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামছে বিজেপি। কিভাবে এই সদস্য সংগ্রহ হবে তার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে দলের জেলা ও মণ্ডল কমিটির চার নেতার নাম কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু
১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু
২০০৫- ক্রিকেটার মুস্তাক আলির মৃত্যু
২০০৯- প্রখ্যাত সরোদ শিল্পী আলি আকবর খানের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৯ টাকা ৭০.৬৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৩৪ টাকা ৮৯.৫৫ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৯ টাকা ৭৯.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,৬১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, প্রতিপদ ২৩/৫৮ দিবা ২/৩১। মূলা ১৭/১৬ দিবা ১১/৫০। সূ উ ৪/৫৬/০, অ ৬/১৮/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৭ মধ্যে পুনঃ ১/১৮ গতে ২/৫৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
২ আষাঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, প্রতিপদ ২২/২২/৩৮ দিবা ১/৫২/৩৩। মূলানক্ষত্র ১৭/২৭/২৯ দিবা ১১/৫৪/৩০, সূ উ ৪/৫৫/৩০, অ ৬/২১/২৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৬/১৫ গতে ৮/১৬/৫৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৯/১৩ গতে ২/৫৯/৫৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪০/৪৩ গতে ২/৫৯/৫৯ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৪ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। বৃষ: কর্মসূত্রে সন্তানের দূরে যাবার সম্ভাবনা। মিথুন: কাজের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু২০০৫- ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: আফগানিস্তানকে ১৫০ রানে হারাল ইংল্যান্ড

10:48:34 PM

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা, চালু কলকাতা পুলিসের হেল্প লাইন 
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত সমস্যার ...বিশদ

09:48:24 PM

বিশ্বকাপ: আফগানিস্তান ৮৬/২ (২০ ওভার) 

08:17:00 PM

দার্জিলিং পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করল রাজ্য সরকার 

08:08:39 PM