উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযানের পাশাপাশি ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে জনসংযোগের কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই জন্য ঘটা করে ২১ জুন দলের প্রতিটি মণ্ডলে যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয়ভাবে জেলা সদরেও আলাদাভাবে জাঁকজমক করে এই যোগ দিবসের অনুষ্ঠান করা হবে।
লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারেও তৃণমূলকে বিপুল ভোটে হারিয়ে উজ্জ্বীবিত বিজেপি। লোকসভা ভোটে জেতার জন্য এমনিতেই জেলা জুড়ে বিজেপি’র পালে আরও হাওয়া লেগেছে। তাহলে হঠাৎ করে বিজেপি কেন জেলা জুড়ে ফের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামছে?
বিজেপি’র অন্দরের খবর, এবার লোকসভা ভোটে বিজেপি আলিপুরদুয়ারে আড়াই লক্ষ ভোটে জিতলেও দল মনে করছে এই জয়ের পিছনে রয়েছে বিপুল সংখ্যক বাম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের ভোটব্যাংক। তৃণমূলকে টাইট দিতেই বাম ও কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মী সমর্থকরা বিজেপি’কে ঢেলে ভোট দিয়েছে। তার জন্যই আলিপুরদুয়ারে দলের জয় মসৃণ হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা ভোটে বাম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের ভোট দল নাও পেতে পারে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তাই লোকসভা ভোটে বাম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের সমর্থন ধরে রাখতেই জেলা জুড়ে ফের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে জেলায় বামেরা ভোট পেয়েছিল ২৭ শতাংশ। কংগ্রেস পেয়েছিল ১২ শতাংশ। এবার কংগ্রেস মাত্র ১ শতাংশ ও বামেরা ভোট পেয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। বিধানসভা ভোটে বাম কর্মী সমর্থকদের ভোট যে দল নাও পেতে পারে বিজেপি’র এই রাজনৈতিক মূল্যায়নের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্যেও। লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনার পর সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেছিলেন, বাম কর্মী সমর্থকদের মনে এই বিশ্বাস ঢুকে গিয়েছিল যে তৃণমূলকে টাইট দিতে পারে একমাত্র বিজেপি। সেজন্যই বামের ভোট রামের বাক্সে গিয়েছে। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, বিধানসভা ভোট নয়। দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান দলের একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিরই অঙ্গ হিসাবে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে ফের জেলা জুড়ে আমরা সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামছি। তবে এটা ঠিক যে বাম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের ভোট বিধানসভা ভোটে আমরা নাও পেতে পারি। সেই জন্যই দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে দল।