উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, শিলিগুড়ির উন্নয়নকে পাখির চোখ করে রাজ্যের পুর বাজেটের দিকে তাকিয়ে আমরা বাজেট করেছি। আমাদের এই বাজেট সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করবে। যা আগামীতে শহরকে দিশা দেখাবে। সেক্ষেত্রে আমাদের পেশ হওয়া বাজেট পাশ হয়ে গিয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার বলেন, অগণতান্ত্রিক ভাবে বামেরা সংখ্যালঘু হয়েও বাজেট পাশ করল। সংখ্যালঘু বোর্ড বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে অসাংবিধানিক কথা বলে আলোচনা সভার পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলে। বিরোধীদের আক্রমণ করে। তার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা সভা বয়কট করেছি। যদিও চেয়ারম্যান পদের মর্যাদা রক্ষা না করে দলীয় বাঁধনে আবদ্ধ হয়ে আমাদের সভায় যোগদানের বিষয়ে কোনও বাক্য খরচ করেননি।
পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য মুন্সি নুরুল ইসলাম তাঁর বাজেট বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে রাজ্যের কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বকেয়া না পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। উন্নয়নের কাজ থমকে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শহরের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন। নুরুল সাহেবের এই বক্তব্যের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলররা। মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে করা বক্তব্য তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে বামেরা পাল্টা চাপ বাড়াতে শুরু করে। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভা। সবশেষে একপ্রকার কোণঠাসা হয়েই বাম পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে শ্লোগান তুলে বাজেটকে দিশাহীন বলে সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান তৃণমূল কাউন্সিলাররা।
এদিকে বাজেটের আলোচনায় অনুপস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা সুজয় ঘটক বলেন, অতীতে বাজেট পাশের ক্ষেত্রে বামেরা আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করেছিল। যদিও প্রতিশ্রুতি মতো তারা কথা রাখেনি। তাই এবার আমরা বাজেটে গরহাজির থেকে বাজেটকে সমর্থন বা বিরোধিতা কিছুই করিনি। আমাদের উদ্দেশ্য শহরের উন্নয়ন। বাজেটের বিরোধিতা করে শহরের উন্নয়নকে স্তব্ধ করা আমাদের লক্ষ্য নয়।