উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
তাঁর পাশেই শুয়েছিলেন বয়স ষাটের সুলুউদ্দিন লস্কর। স্ত্রী নমিতা বিবি গত দু’সপ্তাহ আগে থেকে ভর্তি। বললেন, ভেবেছিলাম, সোমবার ছুটি হয়ে যাবে। মেয়ের জন্মদিন মঙ্গলবার। মেয়েকে এখনও জানাইনি, মায়ের ছুটি হবে। জন্মদিনের উপহার দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু আদৌ মঙ্গলবার আমার স্ত্রীর ছুটি হবে কি না, কে জানে! এরপরই রীতিমতো উচ্চস্বরে বলেন, এই চিকিৎসকদের নিয়ে কী আশা করব বলুন তো? এঁদের তো আমরা ভগবান মনে করি। কিন্তু এখন এঁদের ভূমিকা দেখুন! তাঁকে তখন শান্ত করতে দেখা যায় আশপাশের অন্যান্য রোগীর পরিজনদের।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভিতরে ঢুকে এক নার্সকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বললেন, অন্যান্য সোমবার এসে দেখবেন, আর এদিন দেখুন! তবে সকাল থেকে অনেক রোগী এসেছেন। প্রত্যেকেরই মুখে একটাই প্রশ্ন, কবে জুনিয়র ডাক্তাররা ফিরবেন কাজে? এই প্রশ্নের উত্তর কী করে দেব বলুন? কাজ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখেও বেশি কিছু করতে পারছি না। আমরাও আশা করছি, দ্রুত পরিস্থিতি শোধরাবে। তবে অন্যান্য দিনের মতো এদিন আউটডোরের পরিষেবা সব বন্ধই ছিল। আউটডোরের সামনে ফাঁকা রাস্তায় বহু মানুষকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।