উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বর্ধমান ও নদীয়ার মধ্যে দ্রুত যাতায়াতের সহজ উপায় হল জলপথ। কালনা ফেরিঘাট থেকে ভাগীরথী নদী পেরিয়ে নদীয়ার শান্তিপুরে যাওয়া যায়। ফেরিঘাটটি কালনা পুরসভার অন্তর্গত। প্রতিবছর এই ফেরিঘাটে ফেরি পারাপারের ইজারার জন্য নিলাম হয়। নিলামে তিন বছরের জন্য ফেরিঘাটের স্বত্ব দেওয়া হয়। এতদিন এই নিলাম হতো একটি বাক্সে দরখাস্ত জমা দেওয়ার মাধ্যমে। গত তিন বছরে নিলামের ডাক উঠেছিল বাৎসরিক ৪০ লক্ষ টাকা। তিন বছরের চুক্তিতে ইজারাদার ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ফেরিঘাট নিয়েছিলেন। অতীতে এই নিলাম পদ্ধতি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বারবার। তাই এবার অনলাইনে নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেয় কালনা পুরসভা।
এই ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ হাজার যাত্রী ছাড়াও কয়েকশো ভারী যানবাহন লোহার ভেসেলে পারাপার হয়। দু’বছর আগে এই ফেরিঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় ১৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এরপরই ঢেলে সাজানো হয় ফেরিঘাট। লাইফ জ্যাকেট, পর্যাপ্ত আলো, নৌকা ও ভেসেল ব্যবহার করে কঠোর নিয়মনীতি মেনে যাত্রী পারাপার শুরু হয়। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই কালনা ফেরিঘাটে লঞ্চে করে যাত্রী পারাপার হবে। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমে যাবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জলপথের গুরুত্ব বুঝে ভাগীরথীর উপর সেতু নির্মাণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা আর্থিক অনুমোদন দিয়েছেন। সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য জমি কেনার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন জমিদাতা জমি বিক্রির দামও পেয়েছেন। ভোটের জন্য কাজ থমকে রয়েছে। ফের জমি কেনার কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, এতদিন ফেরিঘাটে ওপেন নিলামের ব্যবস্থা ছিল। নিলামে স্বচ্ছতা আনার জন্য এবার আমরা অনলাইনে নিলামের ব্যবস্থা করেছি। ১১ জুলাই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।