উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
রাজ্যের সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে সব জেলাকেই এখন থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। যে সমস্ত শর্টকাট চ্যানেল ও খাল আছে, সেগুলির অবস্থা ও বাঁধগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা যে সমস্ত জায়গাগুলিকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা দুর্বল হিসেবে দেখিয়েছিলেন, তার কাজ ১৫ জুনের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে ডিভিসি মাত্র ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়লেই বর্ধমান ও বাঁকুড়ার একাংশ ও হুগলি ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা হত। কিন্তু, বর্তমানে বিভিন্ন শর্টকাট চ্যানেল তৈরি ও নদীতে পলি তোলার ফলে ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার কিউসেক জল ছাড়লেও বন্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। কিন্তু, একসঙ্গে তার বেশি জল ছাড়লে এই এলাকা ফের বন্যার কবলে পড়বে। তাই বর্ষা শুরুর আগেই এই নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তারা বলেছেন, কিছু দুর্বল বাঁধ আছে। সেগুলি দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিভিসি জল ছাড়লে বাঁকুড়া, বর্ধমানের একাংশ হয়ে দামোদরের মাধ্যমে ওই জল হুগলি ছাড়িয়ে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে পৌঁছয়। তখন উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে আট থেকে ৯ ফুট পর্যন্ত জল জমে যায়। তারপর ওই জল আমতায় ঢোকে। সেখান থেকে জলের একটি অংশ রূপরায়ায়ণ নদ ও কিছু অংশ দামোদর হয়ে গঙ্গায় গিয়ে মেশে। ফলে এই দু’টি ব্লকই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতি বছর হাজার হাজার বাড়ি ভেঙে যায় ও চাষের জমি জলের তলায় চলে যায়। গত বছর অবশ্য শর্টকাট চ্যানেল তৈরি হওয়ায় বন্যা হয়নি। তাই এবছরও যাতে ওই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রাখার জন্য প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেছেন, জেলা প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের নির্দেশমতো আমাদের ব্লকের সমস্ত বাঁধ আমরা পরিদর্শন করেছি। এখনও পর্যন্ত কোনও বাঁধ দুর্বল নেই। ফলে ডিভিসি এক সঙ্গে ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়লেও এই এলাকায় বন্যার আশঙ্কা নেই। কিন্তু, তার চেয়ে বেশি জল ছাড়লে বাঁধ উপচে জল এলাকায় ঢুকে যেতে পারে। সেই কারণে সমস্ত দপ্তরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় খাদ্য দপ্তর, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে এলাকার মানুষ বন্যার কবলে পড়লে তাঁদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায়। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে যাতে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই কারণে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত পানীয় জলেরও ব্যবস্থা রাখতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে বলা হয়েছে।