উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
কলকাতা, যাদবপুর, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। তাদের আসন অবশ্য আলাদা করে হিসেব করা হয়। তবে গত চার বছরে যেভাবে আসন সংখ্যা কমেছে, তা কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন এবার আসন কমল? জানা গিয়েছে, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা দু’টি কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রেখেছে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)। সেখানে কমপক্ষে ৭০০-৭৫০ আসন রয়েছে। তাছাড়া একটি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাওয়ায় তাদের এর অধীনে ধরা হচ্ছে না। এছাড়াও কয়েকটি বিষয়ের আসন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তা অবশ্য এই সংখ্যার সঙ্গে ধরা হয়নি। জট কাটিয়ে আসনগুলি এআইসিটিই ফিরিয়ে দিলে মোট আসন কিছুটা বাড়বে।
সব মিলিয়ে ১০০০ আসনও যদি বাড়ে, তাহলেও ৩০ হাজার ৬৫৯ আসন হবে। গতবারের চেয়ে প্রায় ৭০০ আসন কম। আর যদি ওই দু’টি কলেজের আসন না যুক্ত হয়, তাহলে গতবারের চেয়ে দেড় হাজারের মতো আসন কম হবে। তবে গত চার বছরের হিসেব বলছে, আসন ক্রমশ কমছে। ২০১৬ সালে প্রায় ৩৬ হাজার আসন ছিল। পরের বছর তা কমে ৩৩ হাজার হয়। আরও প্রায় দু’হাজার কমে ২০১৮ সালে আসন সংখ্যা কমে ৩১ হাজারে দাঁড়ায়। আসম কমে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, একাধিক রাজ্যে যে হারে আসন কমেছে, সেই তুলনায় আমরা এখানে তা ধরে রাখতে পেরেছি। এটা ইতিবাচক দিক। তবে শিক্ষামহলের মতে, আসন কমায় অন্য একটা দিকও আছে। সেটা হল, প্রতি বছরই দেখা যায়, মোট আসনের তুলনায় খালি আসনের অনুপাত বাড়তে থাকে। তাই আসন কমলে সেই ফারাক অনেকটা কমবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন সংখ্যা কমার প্রবণতা থাকলেও, ফার্মাসিতে কিন্তু এবার আসন বাড়ছে। গতবার ১০৩০টি আসন ছিল। এবার তা বেড়ে ১২৯০টি হয়েছে। আরও ২৪০টি আসন যুক্ত হবে বলে খবর। কারণ, নতুন চারটি কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসতে চলেছে। আর্কিটেকচার বিভাগে এবারে আসন রয়েছে একশোর মতো। এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বি টেকে ১২৭৩টি আসন রয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও পাঁচশোর বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং আসন আছে। জয়েন্ট বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার মপ-আপ কাউন্সেলিং শুরু করা হলেও, এবার তা হবে না বলেই খবর। এতে অনেকটাই সময় লেগে যাচ্ছে, তাই এই প্রক্রিয়া বাতিল করতে পারে বোর্ড।