উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এরই পাশাপাশি এদিন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সোমনাথ তালুকদার এবং বারাকপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির তিনজন সদস্যও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূলের কাউন্সিলারদের গেরুয়া শিবিরে যোগদান করিয়ে রাজ্যের কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি এবং ভাটপাড়া পুরসভা দখল করেছে বিজেপি। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা বিনয় তামাংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলারদের যোগদান করিয়ে দার্জিলিং পুরবোর্ডও হাতে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। গারুলিয়া পুরসভা দখলের ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি পুরবোর্ড বিজেপির হাতে চলে এল।
এদিন প্রতিপক্ষ দলের এই কাউন্সিলারদের গেরুয়া শিবিরে যোগদান করিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আজ তিনি বলেছেন, ‘বাংলায় ক্রমশ অরাজকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোধহয় তাঁর মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। আর সেই কারণে নিজের সরকারের প্রশাসনের সঙ্গেই হোক, অথবা সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি চরম দুর্ব্যবহার করে চলেছেন। এটি রাজ্যের জন্য কোনও ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মানসিক পরিস্থিতির জন্য হাজার হাজার তৃণমূল নেতা, কর্মী বিজেপির ছাতার তলায় চলে আসতে চাইছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এরকম আরও বেশ কিছু নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন।’
এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘এবারের লোকসভা আসনে সারা দেশের আর কোথাও হামলা সন্ত্রাসের খবর পাওয়া যায়নি। যত গোলমাল হয়েছে, তা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনকে কেন্দ্র করে। রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে। রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তৃণমূলের বহু নেতা আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে চাইছেন।’ বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দাবি, এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে রাজ্যের ১২৮টি পুরসভার মধ্যে ১০১টিতে পরাজিত হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক সুনীল সিং বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারা দেশে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ নীতি নিয়ে কাজ করছেন। তাই পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের উন্নয়ন একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।’