উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
একাধারে স্তুতি, অন্যদিকে নিজেদের দাবিদাওয়া সোজাসাপটাভাবে পেশ করে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কৌশলী অবস্থান নিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকী দেড় ঘণ্টার বৈঠকের সারমর্ম এবং দাবি আদায়ের লিখিত প্রতিশ্রুতিও মমতার কাছে চেয়ে নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের অন্যতম সদস্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষে পিজিটি ডাঃ অর্চিষ্মান ভট্টাচার্য। নরম গলায় কড়া দাবি জানানোর এই স্ট্র্যাটেজিতে মমতাও সন্তুষ্ট হয়ে দাবিপূরণে একের পর এক ঘোষণা করে গিয়েছেন। এমনকী হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতিতেও এবার থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি থাকার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে থাকবেন মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীরাও। এরই সঙ্গে একজন করে নন মেডিক্যাল ব্যক্তিকে হাসপাতালের জনসংযোগ আধিকারিক করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। যাঁর কাজ হবে সংশ্লিষ্ট রোগীর হালহকিকত পরিবারকে জানানো।
কেমন ছিল অভিজ্ঞতা? ফোনে প্রথমে কোনও কথাই বলতে চাননি অর্চিষ্মান। তারপর বলেন, কোনও কৌশল নয়, স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথা বলে গিয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ভালো মানুষ’ বলার পাশাপাশি গোটা বৈঠকপর্বে সবচেয়ে বেশি নম্রভাবে সরব থাকা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের এই অন্যতম ‘মুখ’ বলেন, বৈঠক যথেষ্ট ‘কাজের’ হয়েছে। আমি শুধুমাত্র প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলির যুক্তি সহকারে বলার চেষ্টা করে গিয়েছি মাত্র। আন্দোলনের সময় রণংদেহি থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর সামনে অত্যন্ত নম্র এবং অধিকাংশ সময় তাঁর প্রতি প্রশংসার সুরে কথা বলার প্রসঙ্গে অর্চিষ্মান বলেন, ভুলে গেলে চলবে না উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। চেয়ারটিকে সম্মান দেওয়াটাও আমাদের শিক্ষা। সেটাই করেছি।
বিকেল চারটে থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলা বৈঠকের মুধরেন সমাপয়েত হয় কেক, প্যাটিস, লাড্ডু, টেট্রা প্যাকের ঠান্ডা পানীয় আর চায়ে। মমতা তখন বলছিলেন, আজকে আলোচনাগুলির কাগজ তোমাদের দেওয়া হচ্ছে। তোমরা ততক্ষণ এখানে আরাম করে বসো। কোনও অসুবিধা নেই। আর খাবার না খেয়ে যাবে না কিন্তু! ফের করতালি নবান্নের ১৪ তলায়।