উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটপ্রাপ্তি ২০১৪ সালের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু আসন সংখ্যার নিরিখে ১২টি আসন কমেছে রাজ্যের শাসক দলের। উল্টোদিকে নজিরবিহীন উত্থান হয়েছে বিজেপির। শুধু ১৮টি লোকসভা আসন নয়, ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে রাজ্যের রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস দু’টি আসন পেলেও বামেরা বস্তুত মুছে গিয়েছে রাজ্যের সংসদীয় রাজনীতি থেকে। গেরুয়া শিবিরের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে সরব হলেও শেষ পর্যন্ত মেরুকরণ সক্রিয় থেকেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভোটের ফলাফল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিভাজন নির্ভর রাজনীতির উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নে গত আট বছর ধরে নেওয়া নানা প্রকল্পের সাফল্য বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হলেও রাজ্যবাসীর একাংশের মন জয় করতে পারেনি। কিন্তু কেন? দলের অন্দরে এই চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের কিছু নেতা-নেত্রীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুষ্টিমেয় নেতা-কর্মীর ভূমিকায় শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তার প্রতিফলন ভোটের মেশিনে পড়েছে বলেই তৃণমূল নেতৃত্বের ধারণা। মুখ্যমন্ত্রীও নির্বাচন পর্যলোচনায় বসে দলের নেতৃত্বের একাংশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরেও পদক্ষেপ করেছেন।
ভোটের ধাক্কার প্রেক্ষিতে আগামী ১৯২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের সাংগঠনিক প্রস্ততি শুরু করতে চান তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এই জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি ঠিক করে দেন মমতা। প্রথমে আজ, মঙ্গলবার থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন, পরিবর্তিত সূচি অনুসারে ২১ জুন থেকে শুরু হবে এই যাত্রা। দলের বাৎসরিক কেন্দ্রীয় সমাবেশ হবে তার ঠিক একমাস পর। স্বভাবতই, একইসঙ্গে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার সঙ্গে সঙ্গে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতিও সেরে নেবে এই জনসংযোগ যাত্রা। দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ বলেন, আসন কমে গেলেও সংখ্যাধিক্য মানুষ তৃণমূলকেই সমর্থন করেছে। তাই যারা ভোট দিয়েছে, তাদের যেমন অভিনন্দিত করা হবে, তেমনই যারা ভোট দেয়নি তাদের কাছেও পৌঁছে যাওয়া এই জনসংযোগ যাত্রার অন্যতম উদ্দেশ্য। পাশাপাশি বিজেপি রাজ্যজুড়ে যে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তার পাল্টা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে গ্রামে, শহরে, পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে এই বর্ণাঢ্য জনসংযোগ যাত্রা।