উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
রাজ্যের সাতটি পুরনিগম সহ ১২৫টি পুরসভার দলীয় কাউন্সিলারদের এদিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে ঘর গুছানো শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিকভাবে নিজের জায়গা পুনরুদ্ধারে নেমেছেন তিনি। তাঁর কাছে কাউন্সিলারদের জনসংযোগ, আচরণ এবং লাইফস্টাইল নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে। আগামী দিনে তাঁদের কীভাবে চলা উচিত এবং মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ আরও বাড়ানো উচিত, তার উপর জোর দিতে চান মমতা। বিভিন্ন প্রকল্পে কাটমানি খাওয়ার প্রবণত খুব বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ আসছে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলারদের সতর্ক করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে একটি গ্রিভ্যান্স সেলও তৈরি করা হয়েছে। মমতা চান, স্বচ্ছভাবে পুরসভাগুলি চলুক। স্থানীয় প্রশাসন বলতে পুরসভাই। কাউন্সিলারদের আচরণ মানুষ রোজ প্রত্যক্ষ করছেন। তাঁদের আচরণে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাঁদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার আশা করে মানুষ। এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতেই আজকের বৈঠক বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
এই প্রথম তৃণমূলের হাত থেকে একটি পুরবোর্ড দখল করেছে বিজেপি। আরও কিছু কাউন্সিলার ও চেয়ারম্যান চলে যেতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দল ভাঙানোর প্রক্রিয়াও জোরদার চলছে। বারাকপুর মহকুমার কয়েকটি পুরসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে তৃণমূল। তাই কাউন্সিলারদের বার্তা দিতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, আগামী বছর রাজ্যে কলকাতা, বিধাননগর, হাওড়া পুরনিগম সহ ১০০টি পুরসভার ভোট রয়েছে। তার আগে যাতে বিজেপি তৃণমূলের ঘরে থাবা বসাতে না পারে, তার জনই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে তৃণমূল শিবিরের চর্চা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের ফলাফল দেখে ২০০৪ সালের মতো ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছেন। দু’দফায় কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক করছেন দলের বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে। আগামী দিনে কী কী করা উচিত, মানুষের কাছে কোন কোন ইস্যু নিয়ে যাওয়া উচিত, তা আজকের বৈঠকে তুলে ধরবেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর নির্দেশ, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। মানুষের আপদে বিপদে পাশে দাঁড়ান। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ মানুষকে বোঝাতে হবে। মানুষকে সরকারি পরিষেবা দিতে হবে। মানুষের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা যেন ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয়, সেই নির্দেশ দেবেন মমতা।