উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ওই পরিকল্পনায় কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শহরাঞ্চলের বস্তি রয়েছে। সেই সব বস্তিবাসীদের কাজের সুযোগ করে দিতে অত্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ দিতে চায় সমবায় দপ্তর। কোন বস্তিতে কত লোক বাস করেন এবং কত বেকার যুবক রয়েছেন, তার সমীক্ষা চালায় সমবায় দপ্তর। কলকাতার একটি নামী কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপকদের দিয়ে ওই সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, শহরাঞ্চলে ৪০ লক্ষ বস্তিবাসী রয়েছেন। তাদের রোজগারের জন্য কৃষি ঋণের মতো সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির মাধ্যমে গ্রামীণ কৃষকদের চাষের সুবিধার জন্য সাত শতাংশ সুদের হারে ঋণ দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করলে চার শতাংশ সুদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ঋণগ্রাহককে মাত্র তিন শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়। আর স্বনির্ভর গোষ্ঠী যদি কোনও কাজের জন্য ঋণ নেয়, তাহলে তাদের ১১ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দিতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি তাদের ঋণের টাকা ফেরত দিয়ে দিলে, তাহলে তারা ফেরত পায় ৯ শতাংশ সুদের টাকা। অর্থাৎ মাত্র দু’শতাংশ হারে সুদ দিতে হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। কোনও ব্যাঙ্ক বা অর্থলগ্নি সংস্থা এত কম হারে ঋণ দেয় না। এই ফর্মুলাতেই বস্তিবাসী বেকার যুবকদের ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তা এখন নবান্নের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
বস্তিবাসীদের স্বরোজগারের জন্য সমবায় দপ্তরের এই পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্রেডিট সোসাইটি। গ্রামীণ এলাকায় কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি থেকে যেমন সহজ শর্তে কৃষি ঋণ দেওয়া হয়, ঠিক তেমনই ঋণ প্রদান শহরাঞ্চলের বস্তি এলাকায় শুরু হতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবার থেকে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী সহ সব সরকারি পরিষেবার টাকা সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হবে। তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় বিষয়টি নিয়ে দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এমভি রাও সহ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খুব শীঘ্রই সমস্ত কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বৈঠকে বসবেন বলে ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।