উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
যদিও লালবাজারের তরফে উদ্যোক্তাদের এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিসের বক্তব্য, ক্রীড়া ভারতীর তরফে রানি রাসমণি চেয়েই আবেদন করা হয়েছিল। গত তিনবছর ধরে ওই জায়গাতেই সফলভাবে এই যোগ দিবস পালন হয়ে আসছে। এবার লোকসংখ্যা বেশি হলে উদ্যোক্তারা ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত যোগ করতে পারবেন বলেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সাল থেকে এই বিশ্ব যোগ দিবস পালন করে আসছেন। প্রথম বছর থেকেই গোটা দেশজুড়ে এই কর্মসূচি আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) বিচার পরিবারের খেলাধুলোর শাখা ‘ক্রীড়া ভারতী’। জাতীয়স্তরে এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুনেতে অবস্থিত। প্রাক্তন ক্রিকেটার চেতন চৌহান যার সর্বভারতীয় প্রধান। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি এ রাজ্যে যোগদিবস আয়োজনে গঠিত কমিটির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ২১ জুনের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। বিভাসবাবুর কথায়, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান যে উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত, তিনি নিজে যেখানে সশরীরে অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন, সেই যোগ দিবসের অনুষ্ঠান স্থল ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরও বলেন, বর্ষার সময় মাঠ কিংবা অন্য কোনও জায়গায় যোগ করা সমস্যার। তাই আমরা রেড রোডকে বেছে নিয়েছিলাম। কলকাতা পুলিসের তরফে বিকল্প হিসেবে যে জায়গায়, অর্থাৎ রানি রাসমণি রোড দেওয়া হয়েছে, সেখানে বর্তমানে মেট্রো রেলের কাজ চলছে। যার জন্য গোটা এলাকা প্রচন্ড ধুলো-বালি এবং কাদায় ভরে থাকে। স্বভাবতই রাজ্যের প্রায় ৩২টি স্কুল থেকে আসা পড়ুয়াদের যোগ করার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে বলেও জানান বিভাসবাবু।
জানা গিয়েছে, ২১ জুন সকাল ছ’টা থেকে ছেলে-মেয়েরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করবে। মূল অনুষ্ঠান হবে সাতটা থেকে আটটা, একঘণ্টা। তারমধ্যেই থাকবে রাজ্যপালের ভাষণ, পুরষ্কার বিতরণ। যোগ দিবস প্রসঙ্গে ক্রীড়া ভারতীর রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক সহ-নাগরিক যোগ করুন। তাতে রোগভোগ কম হবে। শারীরিকভাবে অত্যন্ত চনমনে থাকা যাবে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে মানুষের বিবিধ দৈহিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান যোগের হাত ধরে হয় বলেও দাবি বিভাসবাবুর। এদিকে, ২১ জুন খোদ প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ভারতের একটি প্রদেশে হাজির থাকবেন। কলকাতাতেও কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আনার তোড়জোড় শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু ১৯ জুন পুরোদমে সংসদ শুরু হয়ে যাওয়ায়, ভিভিআইপি’দের ওই দিন হাজির হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।