উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এডিসিপি সায়ক দাস বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বর্ধমানে এক সিরিয়াল কিলারকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। সে নৃশংসভাবে যুবতী ও মহিলাদের হত্যা করেছে। ওই সিরিয়াল কিলার গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই অনেকের মধ্যে আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। তার মতো মানসিকতার অন্য কেউ হত্যালীলা চালাচ্ছে কি না তা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে।
ঘটনা ১: কয়েকদিন আগেই বারাবনির কেলেজোড়া গ্রামের পুকুর থেকে মাঝ বয়সি এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা মৃতদেহ উদ্ধারের চারদিন পরেও জানা যায়নি। মৃতার পরিচয় জানা যায়নি। এলাকায় ওই মহিলাকে কেউ আগে দেখেওনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ওই মহিলা ভবঘুরে হতে পারেন।
ঘটনা ২: জামুড়িয়ার বাকশিমুলিয়া গ্রাম থেকে চারদিন আগে আরএক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁরও পরিচয় পুলিস জানতে পারেনি। মৃত্যুর কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ওই মহিলার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
ঘটনা ৩: ডামরার জঙ্গল থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার। ওই যুবকেরও মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। এলাকার বাসিন্দারা জঙ্গলে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিসকে খবর দেন। ঘটনা ৪: সালানপুরেও অজয় নদের ধার থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এভাবে আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন জায়গা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ছ’জনের মৃতদেহ পুলিস উদ্ধার করেছে। পরপর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এর পিছনে কোনও সিরিয়াল কিলারের হাত নেই তো? পুলিসও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে রয়েছে। শরীরে কোনও আঘাত না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁরা মারা গিয়েছেন, তা নিয়েও রহস্য রয়েছে।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, যদি ধরেই নেওয়া যায় অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হচ্ছে, তাহলে মৃতদেহ পুকুরের জলে আসছে কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটি মৃতদেহ জঙ্গলের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। জঙ্গলের মধ্যেই বা কেন মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে সেটাও পরিষ্কার হচ্ছে না। মৃতদেহগুলিতে বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। তাতে সন্দেহ আরও বেশি দানা বেঁধেছে। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তা বোঝা যায়। কিন্তু, মৃতদেহগুলির শরীরে বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কেলেজোরা থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ কোনও ভবঘুরে মহিলার হতে পারে। তাঁর পরিচয় জানতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন এই জেলায় থাকা এক পুলিস আধিকারিক বলেন, শিল্পাঞ্চলে বেশিরভাগ সময় গুলি করে খুন করা হয়। মূলত অন্ধকার জগতের লোকজনই মারা যায়। কিন্তু, এখন যে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হচ্ছে, সেগুলিতে কোনও ক্ষত চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। ছ’জনের মৃত্যুর পিছনে কোনও কিলারের হাত রয়েছে, নাকি তাঁরা অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়। শিল্পাঞ্চলে বহু বাইরের লোকজন কাজের সূত্রে আসেন। সবসময় মৃতদেহ প্রথমেই চিহ্নিত করা যায় না। এক্ষেত্রেও রহস্য উন্মোচনে কিছুদিন সময় গড়াতে পারে।