উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বার্তা স্পষ্ট। নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে এতটুকুও রেয়াত করবেন না। আগে সন্ত্রাস দমন, তারপর আলোচনা। তা সে ব্যবসা নিয়ে হোক, কিংবা কাশ্মীর ইস্যু। আর সন্ত্রাস যদি প্রশমিত হয়, তাহলে কাশ্মীরের অন্তর্বর্তী সমস্যা এমনিতেই কমে যাবে। কারণ, কাশ্মীর উপত্যকায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার নেপথ্যেই রয়েছে পাকিস্তানের উস্কানি। আমাদের প্রতিবেশীদের সরকার বদল হয় নামেই। মানসিকতার পরিবর্তন হয় না। সন্ত্রাসবাদে তারা কখনও সরাসরি, আবার কখনও শুধু পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে মদত জুগিয়ে থাকে। ঠেকায় পড়ে আজ জয়েশ-ই-মহম্মদকে নিষিদ্ধ, বা মাসুদ আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তানি সরকার। কিন্তু তাতেও কি কাজের কাজ কিছু হয়েছে? এখনও তো ওখানে দাউদ ইব্রাহিম, হাফিজ সইদরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়। পুলওয়ামার স্মৃতি উস্কে দিয়ে সিআরপি জওয়ারদের উপর অনন্তনাগে জঙ্গি হানা হয়। তার দায় স্বীকার করে একটি পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। যদিও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এর নেপথ্যে আসলে রয়েছে জয়েশ-ই-মহম্মদ। তাহলে কি নিষিদ্ধ হওয়ার পর জয়েশ নাম বদলে ফের হামলা চালাতে শুরু করেছে? পাকিস্তান সরকারের মদত না থাকলে তো এমনটা সম্ভব ছিল না?
মোদি তাই নিজের জায়গায় অনড়। পাকিস্তান আগে শুধরোক। তারপর কথা বলব। দিনের পর দিন সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ, সেই সুযোগে ভারতের মাটিতে জঙ্গিদের ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনা এখনও চলছে। আর শিকার তো শুধু ভারত নয়! বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাও। গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এখন সন্ত্রাস-সঙ্কট। মোদি আপাতত সেই রাহুর থেকে মুক্তি চাইছেন। এটাই সরকারে ফিরে তাঁর প্রাথমিক এজেন্ডা। কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি এই লক্ষ্য থেকে সরবেন না। পাকিস্তানকে সামান্য ঢিলে দিলেই ওরা মাথায় চড়ে বসে। মুখে ভালো ভালো কথা, আর পিছনে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ। এটাই পাকিস্তানের স্বরূপ। এমন এক দেশকে কীভাবে বিশ্বাস করা যায়? তাই বিশ্বের যে কোনও মঞ্চে মোদি গিয়েই আগে সন্ত্রাস ইস্যুতে সরব হচ্ছেন। এবং কঠোরভাবে। তাঁর টার্গেট শুধুই ইসলামাবাদ। এসসিও সম্মেলন যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করল মাত্র। মোদি চাইছেন, বিশ্বের সব দেশকে দিয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করা। যদি সন্ত্রাসের শিকড় তারা উপড়ে না ফেলে, তাহলে তামাম দুনিয়া পাকিস্তানকে একঘরে করে দেবে। এটাই লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদির। তিনি বিলক্ষণ জানেন, পাকিস্তানের সঙ্গে শত্রুতা করা যায়, ওদের বিশ্বাস করা যায় না।