উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
চীন এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কেন? প্রথমত পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে যেভাবে মদত দেয় এবং যেভাবে ভারতের উপর হম্বিতম্বি করার সাহস দেখায়, তার প্রধান কারণই হল বেজিংয়ের উস্কানি। পিছন থেকে অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক দিক থেকে ইসলামাবাদকে সাহায্য করে যায় জি জিনপিংয়ের সরকার। পাশাপাশি আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপের মতো দেশগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে নিজেদের জাল ধীরে ধীরে বিস্তার করেছে চীন। অর্থনৈতিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ঋণের দায়ে বেঁধে ফেলেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে। সঙ্গে রয়েছে বাজার অর্থনীতি। এই মুহূর্তে চীনকে বুক ঠুকে চমকানোর ক্ষমতা ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও নেই। এহেন চীনা সরকারের ক্ষমতা যদি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মধ্যে খর্ব করতে হয়, তাহলে নিজেকে সমান্তরালভাবে বাড়াতে হবে। আর সেটাই এখন লক্ষ্য মোদির। মালদ্বীপের সংসদে ভাষণ দেওয়া সম্মানজনক কূটনৈতিক পদক্ষেপ তো বটেই, একইসঙ্গে সে দেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামও তৈরি করে দেবে ভারত। এমনকী মালদ্বীপ যে ক্রিকেট দল গড়বে, সেটাও ভারতেরই উদ্যোগ এবং সহযোগিতায় হবে। এছাড়া একইভাবে সন্ত্রাসের শিকার শ্রীলঙ্কার সাহায্যেও সরাসরি এগিয়ে এসেছে মোদি সরকার। সেখানেও পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চলেছে ভারত।
সন্ত্রাসের আঁতুড় পাকিস্তান যদি একঘরে হয়ে যায় এবং চীনকে অস্বস্তিতে ফেলা যায়, প্রাথমিকভাবে সেটাই হবে মোদির কূটনৈতিক সাফল্য। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষাও। কারণ, মোদির বিজেপি এবারের ভোট প্রচারে প্রথম থেকেই বলে এসেছে, পাকিস্তানকে আর কোনও ছাড় নয়। দরকার হলে ঘরে ঢুকে মারব। এই মারমুখী মনোভাব ভোটযন্ত্রে বিজেপিকে যথেষ্ট ডিভিডেন্ড দিয়েছে। একটা বিষয় ঠিক, বিনা প্ররোচনায় ভারত কখনওই পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে মারবে না। যেটা করতে পারে, তা হল কূটনৈতিক হামলা। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে সেনাপতি বানিয়ে আপাতত সেই পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন মোদি।
তবে এর মধ্যেও নিন্দুকে বলতে শুরু করেছে, আবার বিদেশ সফর! গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের জন্য খরচ হয়েছিল ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর শপথ নেওয়ার দিন পনেরোর মধ্যেই শুরু হয়ে গেল দ্বিতীয় জমানার সফর। প্রথম ইনিংসে রাষ্ট্রসঙ্ঘে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা, ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ানো এবং চীনকে পিছু হটতে বাধ্য করার মতো বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছিলেন মোদি। এবার কিন্তু মোদি অনেক বেশি ফোকাসড। বিদেশনীতি নিয়ে। ভারতকে জগৎসভায় ফের শ্রেষ্ঠ আসন দেওয়ার লক্ষ্যে।