সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
কেটি বাউম্যান। ফেসবুকে তাঁর পোস্ট করা ছবিটিকেই আজ কুর্নিশ করছে গোটা দুনিয়া। এই প্রথম বিশ্ব দেখল ব্ল্যাক হোলের ছবি। যার নেপথ্যে রয়েছে কেটির গবেষণা। এই ছবি তাঁরই সৃষ্টি। বিশ্বের আটটি কোণায় বসানো হয়েছিল রেডিও টেলিস্কোপ। সে যেমন আন্টার্কটিকায় ছিল, ঠিক তেমনই ছিল চিলিতে। টেলিস্কোপের সব তথ্য একটি হার্ড ড্রাইভে জমা করা হয়। তারপর সেগুলি পাঠানো হয় আমেরিকার বস্টন এবং জার্মানির বনে। সেই সব তথ্য অ্যালগরিদমের সাহায্যে বেঁধে ছবিটি পেয়েছেন কেটি। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তিনি। তিন বছর আগে যে অ্যালগরিদম কেটি শুরু করেছিলেন, তার ফসল মিলেছে এখন। অবশ্য কেটি একা নন, পরে আরও কয়েকজন বিজ্ঞানী তাঁর সঙ্গে মিলে একটি দল গঠন করেন। কেটি নিজেও বলেছেন, কারও একার পক্ষে এই বিপুল কাজ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন শিক্ষাক্ষেত্রের মানুষের সামগ্রিক প্রচেষ্টার ফল এই অ্যালগরিদম। কেটি এবং তাঁর দলের এই কাজের পরিধিকে এক কথায় বলে ‘স্টেম’। সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথেমেটিকসের সমন্বয়। বিজ্ঞানের দুনিয়ায় এক বিপ্লব আনল ব্ল্যাক হোলের ছবি। এল পরিবর্তন। আনলেন কেটি বাউম্যান। বয়স যাঁর মাত্র ২৯।
পরিবর্তন কখনও সমাজে, কখনও দেশে, কখনও গবেষণায়। এবং সর্বত্রই নেতৃত্বে নারী সমাজ। এই বাংলাও পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছিল বছর আষ্টেক আগে। ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সামনে থেকে যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদল তিনি তারপরও এনেছেন। এই রাজ্যের সমাজে। তাঁর একের পর এক উন্নয়নমুখী প্রকল্প আজ হাসি ফুটিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মুখে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, উৎকর্ষ বাংলার মতো প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরেও সম্মানিত করেছে বাংলাকে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী আল সালা, কেটি বাউম্যান কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়... এঁরা প্রত্যেকেই প্রমাণ করেছেন, পরিবর্তন আনতে গেলে সাহায্যের অপেক্ষায় বসে থাকার দরকার নেই। প্রয়োজন শুধু মানসিকতার, দৃঢ়তার। যাবতীয় প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে আজকের নারী সমাজ পাল্লা দিয়েছে দুনিয়ার দুরন্ত গতির সঙ্গে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের গরিমাও আজ মাথা ঝুঁকিয়েছে নারীর সামনে।
বিশ্বযুদ্ধের সময়ের সেই কিশোরী অ্যানে ফ্র্যাঙ্কের কয়েকটা শব্দ যেন এখন বেশি করে প্রাসঙ্গিক... ‘এই দুনিয়াকে আরও সুন্দর করতে এক মুহূর্তও অপেক্ষার প্রয়োজন নেই।’ শুরুটা করা যাক এখনই।